আষাঢ়মাসের শুক্লা দ্বিতীয়ার পুণ্যতিথিতে ভ্রাতা-ভগিনীর ত্রয়ীরূপ ধারণ করে শ্রীভগবানের যাত্রা। জগন্নাথ দেবের মূল মন্দির ছেড়ে প্রায় তিন কিলোমিটার রাজকীয় পথ পরিক্রমা করে তাঁরা মাসির বাড়ি গুন্ডিচা মন্দিরে পৌঁছান। সেখানে আটদিন তাঁদের পুণ্য অবস্থান ঘটে। তারপর সকলে ফিরে আসেন আপন মন্দিরে। গমন ও প্রত্যাগমনের এই চিরায়ত যাত্রায় ভগবান আমাদেরও যেন পথেRead More →

কথামৃতে রয়েছে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বলছেন, “দয়ানন্দ বাঙলাভাষাকে বলত ‘গৌড়াণ্ড ভাষা’।” ‘গৌড়’ ছিল বাঙ্গালা দেশের অন্যতম নাম। মহাভারতে ‘গৌড়’ নামটি পাওয়া যায়, অবশ্য ‘বঙ্গ’ নামটিও পাই। পাণিনির অষ্টাধ্যায়ীতে ‘গৌড়পুর’ কথাটি আছে। হয়তো গুড়ের দেশ ব’লেই নামটি ‘গৌড়’। মধ্যযুগের বাঙ্গালায়, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য ‘গৌড়িয়া’ শব্দটি ব্যবহৃত হত, জানিয়েছেন ড. সুনীতিRead More →

থিমের পূজা নিয়ে বাঙালির “ন যযৌ ন তস্থৌ” অবস্হা। না পারছে অতিক্রম করতে, না আছে থেমে! থিমে নতুনত্ব আনতে গেলে সনাতনী হিন্দু ধর্মকে বেইজ্জত করতেই হবে, যেমন জুতোর প্যাণ্ডেল নির্মাণ, যেমন মা দুর্গার অস্ত্রবিহীন মূর্তি। কথায় বলে, বাঙালির মনে ধরলে ৩৪ বছর লাগে তা দূর হতে। বাঙালির স্থিতিজাড্য প্রবল। নানানRead More →

[‘ইন্ডিয়া’ কথাটি ভারতীয় ঐতিহ্যানুগ না হলেও নামটি ছাড়ছে না এই দেশ। কিন্তু এখন থেকে ‘ভারত’ নামটিই সর্বত্র ব্যবহার করতে চাইছে। এটা একটি আত্মমর্যাদার প্রশ্ন, স্বাভিমান জুড়ে আছে এই প্রস্তাবে। হাজার হাজার বছর ধরে যে নামে দেশের পরিচিতি ও প্রসিদ্ধি, আত্মনির্ভর ভারত সেই নামটি কেবল নিতে চায়। ধারের জীবন, বিদেশী শাসনেরRead More →

বঙ্গদেশ তথা ভারত রাজনারায়ণ বসুকে মনে রাখবে কেবল শ্রীঅরবিন্দ বা বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষের মাতামহ হিসাবে নয়, সম্পাদক ও নির্বাসিত নেতা কৃষ্ণকুমার মিত্রের শ্বশুরমশাই হিসাবেও নয়। ভারতবাসী এই চিন্তানায়ক ও শিক্ষাবিদকে মনে রাখবে, ব্রিটিশ যুগের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অধঃপতিত হিন্দুজাতিকে সঙ্গবদ্ধ করে পুনরায় একটি আদর্শ জাতি হিসাবে উত্থাপন করার মহান পরিকল্পনারRead More →

সাভারকারের দৌলতে (Hindutva: Who is a Hindu গ্রন্থের সুবাদে) ‘হিন্দুত্ব’ শব্দটির ব্যবহার ও মর্যাদা নিঃসন্দেহে বেড়েছিল, কারণ তিনি ছিলেন একজন স্বনামধন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, হিন্দু মহাসভার বরিষ্ঠ কার্যকর্তা, সভাপতি। কিন্তু তারও ৩১ বছর আগে বাংলার বুকে হুগলী জেলার সিঙ্গুরের কাছে কৈকালা গ্রাম থেকে হিন্দু পুনরুত্থানবাদী আন্দোলনের পুরোধা হয়ে নেতৃত্ব দিলেন যেRead More →

“সাত কোটি সন্তানেরে হে মুগ্ধ জননী/রেখেছো বাঙালি করে, মানুষ করো নি।” বাঙালিকে মানুষ হতে না দেবার দায় কেবল বাঙালি মায়ের নয়; লেফ্ট-লিবারেলদের, সেকুলারদের, অহিন্দু উগ্রবাদীদের। রাম-বিদায়ের পরিকল্পনা বাংলায় অনেকদিন ধরেই সক্রিয়। শ্রীরাম শক্তিশালী হলে হিন্দু পাছে বল পায়,পাছে বাঙালি হিন্দুর লড়াইয়ের মানসিকতা পেয়ে বসে; তাই রামকে গুটকাখোর-খৈনীটেপাদের দেবতা করার চেষ্টাRead More →

‘সোনা’ বলতে কী বুঝি? সোনা মানে ‘উত্তম’, সোনা মানে ‘শ্রেষ্ঠ’৷চর্যাপদে পাচ্ছি — “সোনা ভরিতী করুণা নাবী/রূপা থোই নাহিক ধাবী।” আমার সোনায় নৌকো ভরেছে, রূপার জন্যও আর স্থান নেই। আমরা বলি ‘সোনার ছেলে’, ‘সোনার মেয়ে’। ছড়ায় শিশু হয়ে যায় ‘সোনা’। সেরকমই সোনার মাটি, সোনার ফসল, সোনার গৌর। “হৃদ্ মাঝারে রাখবো ছেড়েRead More →

[ বিশ্বময় এখন ‘হিন্দু’ দেখতে শুরু করেছে বামেরা! রজ্জুতে সর্পভীতি। অথচ বিশ্ব-সন্ত্রাসীদের ধর্ম নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই! ওদেরই ন্যারেটিভ — ব্রিটেনে যা ভাবা যায়, ভারতে নাকি তা ভাবা অসম্ভব! প্রকারান্তরে বার্তা এই, ভারতে অহিন্দু/অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের পক্ষে প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদে যাওয়ার ভাবনা একেবারেই অসম্ভব! কিন্তু সত্যিই কি তাই? বামেরা কেন বলছেRead More →

১৮৯৮ সালের আগষ্ট মাস, স্বামীজি কাশ্মীরের জাগ্রত দেবীস্থান ক্ষীরভবানী মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে দেখলেন মন্দিরের নিদারুণ ভগ্নদশা। মনে তীব্র ক্রোধ আর হতাশা জন্ম নিল, মনে মনে প্রবল বিদ্রোহী হয়ে উঠলেন মন্দির ধ্বংসকারী মুসলমানদের উপর। “যবনেরা এসে তাঁর মন্দির ধ্বংস করে গেল, তবু এখানকার লোকগুলি কিছুই করল না। আমি যদি তখনRead More →