পশ্চিমবঙ্গ দিবসে সংশােধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রাসঙ্গিকতা

“সেই রাত্রেই কুখ্যাত মৃত্যুদূতেরা সশস্ত্র হয়ে হানা দিল আমাদের বাড়িতে। লাথি মেরে দরজা ভেঙে টেনে বের করল বাবা মামা আর দাদাদের। রাইফেল উঁচিয়ে টেনে নিয়ে গেল অন্ধকারে। আধাে অন্ধকারে তাদের চেনা গেল। তারা আমাদের গ্রামের হাতেম আলি, রহমান মিয়া আর বাসাবাটির মওলানার মদতপুষ্ট এনায়েতের ভাই ছােট্ট। তাদের আরও দুই সঙ্গী বিষ্ণুপুর কলাগাছিয়ার দুই দুষ্কৃতী। মামঞ্জুকে বুকে জড়িয়ে অন্ধকার ঠাকুর ঘরের কোণে লুকিয়ে ছিল। মায়ের বুক থেকে হ্যাচকা টানে ওরা ছাড়িয়ে নিল মঞ্জুকে। মা উপুড় হয়ে পড়ে জড়িয়ে ধরল একজনের পা। চিৎকার করে উঠল— তােমাদের পায়ে পড়ি ওকে ছেড়ে দাও। একটা লাথি পড়ল মা’র মুখে। অন্ধকার রাত ভেদ করে বাঁচাও, ও মা আমাকে বাঁচাও’আর্ত চিৎকারে কেঁপে উঠল সারা গ্রাম। পুঁটিমারি নদীর তীর থেকে সে আর্তনাদ ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে গেল। অন্ধকার রাস্তায় হোঁচট খেতে খেতে ছুটেও মা মঞ্জুকে বাঁচানাের জন্য কিছুই করতে পারল না!

‘নিদ্রাহীন অমানিশা শেষ হবার আগেই মা ভাইদের নিয়ে ছুটলেন। পথঘাট পেরিয়ে গিয়ে উঠলেন খাড়াসম্বল মামাবাড়ি। মা-কে সান্ত্বনা দেবার মিথ্যা চেষ্টা! সেই শাবকহারা পাখির আর্তনাদে আকাশ-বাতাস স্তব্ধ হয়ে গেল। বাবা রাতের অন্ধকারে কোথায় চলে গেছেন কেউ জানে না। সকালবেলা গ্রামের একজন মুসলমান অন্যান্যদের সঙ্গে নিয়ে মঞ্জুর ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত বস্ত্রহীন দেহটা পুঁটিমারির পাড় থেকে তুলে এনে এক টুকরাে বস্ত্র দিয়ে ঢেকে দিল। আমাদের বাড়ির একপ্রান্তে ওরাই ওকে বয়ে এনে শেষশয্যায় শুইয়ে দিল। মঞ্জুর হাতের লাল চুড়ির টুকরােগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রইল পুঁটিমারির কাদামাটির কূলে।” এই স্মৃতিচারণাটি সুদীপ অধিকারীর। সবকিছু খুইয়ে বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলা থেকে তিনি এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গে। তার এই স্মৃতিচারণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘হৃদয়ের টুকরােয় গাঁথা’শীর্ষক এক সংকলনে।

বাংলাদেশে কিশােরী পূর্ণিমা শীলের ওপর নির্যাতনের ঘটনাটিও সর্বজনবিদিত। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের কন্যা ছিলেন পূর্ণিমা। তিনি যখন কিশােরী, তখন এক রাতে তাদের বাড়িতে হানা দেয় মুসলমান জেহাদিরা। পূর্ণিমাকে তারা একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। পূর্ণিমার অসহায় মা সেই মুসলমান ধর্ষকদের পা ধরে অনুনয় করেছিলেন— “বাবা, আমার মেয়েটা বড্ড ছােটো। তােমরা একসঙ্গে সবাই ওর কাছে যেও না। ওর কষ্ট হবে। একজন একজন করে যাও।একজন মা কতখানি অসহায় হলে এইরকম আর্তি করতে পারে তা সহজেই। অনুমেয়। আগরতলা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক অরবিন্দ মাহাতাে বাংলাদেশে তার একটি অভিজ্ঞতার কথা আমাকে শুনিয়েছিলেন। বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একহিন্দু শিক্ষকের সঙ্গে অরবিন্দবাবুর আলাপ হয়েছিল। ওই হিন্দু শিক্ষকের স্ত্রীকে স্থানীয় মুসলমান মাতব্বরেরা মাঝে মাঝেই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। দু-তিনদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে। তারপর আবার বাড়িতে ফেরত দিয়ে যায়। শুধু ওই শিক্ষকের স্ত্রী নয়, হিন্দু পরিবারের তরুণীযুবতীদের ভাগ্যে প্রায়শই এরকম ঘটে থাকে।

এই ঘটনাগুলি যে খুব বিচ্ছিন্ন ঘটনা—ঠিক এমন নয়। চল্লিশের দশক থেকে এই পর্যন্ত তদানীন্তন পূর্ববঙ্গ, পরে পূর্ব পাকিস্তান এবং বর্তমানে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের সঙ্গে নিত্যদিন এইরকমই ঘটে চলেছে। হিন্দুদের খুন, হিন্দুর সম্পত্তি লুটতরাজ এবং হিন্দু রমণীদের ধর্ষণ ও অপহরণ, ধর্মান্তরণ— এতে একদিনের জন্যও বিরতি পড়েনি। বাংলাদেশেই প্রকাশ্যে দেওয়াল লেখা হয়েছে— ‘একটা-দুইটা হিন্দু ধর/সকাল বিকাল নাস্তা কর। অতীতে পূর্ব পাকিস্তান, বর্তমানে বাংলাদেশ- এশিয়া মানচিত্রের এই অঞ্চলটিতে অবাধে চলছে এথনিক ক্লিনজিং।

এই অঞ্চলটিতে যে এভাবেই হিন্দুরা অত্যাচারের শিকার হবে—তাদের জীবন সংকট হবে, একথা বুঝেছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখােপাধ্যায়। বিশেষ করে ভারতের শরীরের থেকে পাকিস্তান ছিনিয়ে নেওয়ার উদগ্র বাসনায় জিন্নাহর নেতত্বে মুসলিম লিগ যখন প্রত্যক্ষ সংগ্রামের নামে ১৯৪৬ সালের আগস্ট মাসে কলকাতায় অবাধে হিন্দু ও শিখ নিধন চালিয়েছিল এবং তৎপরবর্তীতে ওই বছরই অক্টোবর মাসে নােওয়াখালিতে অবাধে হিন্দু হত্যা করেছিল, তখনই শ্যামাপ্রসাদ-সহ অন্য অনেকেই বুঝে গিয়েছিলেন—জিন্নাহর মুসলিম লিগের শাসনে হিন্দুরা আদৌ নিরাপদ নয়। জিন্নাহ তার যে স্বপ্নের পাকিস্তানের পরিকল্পনা করেছিলেন, তার ভিতর সমগ্র বঙ্গপ্রদেশকে ধরেছিলেন। বিশেষ করে কলকাতার দখলদারি চেয়েছিলেন জিন্নাহ্। শ্যামাপ্রসাদ বুঝেছিলেন, জিন্নাহ যদি তার দাবিমতাে সমগ্র বঙ্গপ্রদেশকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন—তাহলে বাঙ্গালি হিন্দুর অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে। যে কারণেই ভারত ভাগের সঙ্গে বঙ্গবিভাগের দাবি সেদিন জানিয়েছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। তার সঙ্গে সেদিন ছিলেন বিজ্ঞানী মেঘনাথ সাহা, ভাষাচার্য সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়, ইতিহাসবিদ রমেশচন্দ্র মজুমদার ও যদুনাথ সরকার, রাজনীতিবিদ সুচেতা কৃপালনি এবং এন সি চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। বঙ্গপ্রদেশের যে অংশে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ সেই অংশটি অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গকে ভারতে রেখে দিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন তাঁরা। বাঙ্গালি হিন্দুর স্বার্থেই তারা সেদিন পশ্চিমবঙ্গের দাবিতে সরব হয়েছিলেন।

জিন্নাহর পাকিস্তানে যে হিন্দুরা কখনই নিরাপদ নয়, তা আরও একজন বুঝেছিলেন। তিনি মােহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। গান্ধীর না বােঝার কোনাে কারণও ছিল না। ১৯৪৬-এ নােয়াখালিতে হিন্দু নিধনে গান্ধী গিয়েছিলেন সেখানে। স্বচক্ষে দেখেছিলেন পরিস্থিতি। নােয়াখালির মুসলমানরা গান্ধীকে বুঝিয়ে দিয়েছিল, তাদের স্বপ্নের পাকিস্তানে তারা হিন্দুদের চায় না। ওই সময় দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকার একটি রিপাের্টে দেখা যাচ্ছে, নােয়াখালির একটি গ্রামে গান্ধীজী সভা করতে গিয়েছেন। সেই গ্রামটি তখন হিন্দুশূন্য। সভায় মুসলমানরা শুধু গান্ধীজীর বক্তব্য শুনতে এসেছে। গান্ধীজী তাদের জিজ্ঞাসা করলেন— ‘আপনারা কী চান না হিন্দুরা এই গ্রামে আবার ফিরে আসুন?’ স্টেটসম্যান লিখেছে—“গান্ধীর কথার উত্তর না দিয়ে মুসলমানরা সভা ত্যাগ করে চলে গেল। বুঝিয়ে দিয়ে গেল, তারা চায় হিন্দুরা আর এখানে ফিরুক। মুসলমানদের এই মনােভাব দেখে গান্ধী বুঝেছিলেন, জিন্নাহর পাকিস্তানে হিন্দুরা অসম্মানের জীবন যাপন করবে। সে কারণেই ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার প্রাক্কালে দিল্লিতে দুটি জনসভায় পাকিস্তানে যেসব হিন্দুরা থেকে যাবে, তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ফেলেছিলেন গান্ধী। ১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে দিল্লিতে একটি সভায় গান্ধী বলেছিলেন, যেসব হিন্দুরা পাকিস্তানে থেকে যাবে তাদের মনে একটা ভয় কাজ করবে। নিরাপত্তা হীনতায় ভুগবে তারা। তারা যদি নিরাপত্তার জন্য, জীবন জীবিকার জন্য তখন ভারতে আশ্রয় নিতে চায় ভারতের উচিত হবে ভাইয়ের মতাে দু’হাত বাড়িয়ে তাদের গ্রহণ করা।” ওই ১৯৪৭-এর জুলাই মাসেই দিল্লিতে আর একটি সভায় গান্ধী বললেন—“আমার এক বন্ধু আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন, আমরা যখন ১৫ আগস্ট এখানে উৎসব করব, তখন পাকিস্তানে যেসব হিন্দুরা থেকে গেল— তারা কী করবে সেটা কী কখনাে ভেবে দেখেছি। আমরা?

বাঙ্গালি হিন্দুকে একটি নিজস্ব আবাসভূমির সন্ধান দিয়েছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। জিন্নাহর করালগ্রাস থেকে অখণ্ড বঙ্গপ্রদেশের হিন্দ সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলটি তিনি ছিনিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। যদি শ্যামাপ্রসাদ সেদিন এ কাজে ব্যর্থ হতেন তাহলে বাঙ্গালি হিন্দুকে কেমন অসম্মানের জীবন যাপন করতে হতাে— আজকের বাংলাদেশ তার প্রমাণ। এ হলাে। ইতিহাসের একটি পর্ব। কিন্তু এতেই শ্যামাপ্রসাদের আরব্ধ কাজ সমাপ্ত হয়ে গেল না, অথবা এরকমও মনে করার কোনাে কারণ নেই, পশ্চিমবঙ্গ জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই সমগ্র বাঙ্গালি হিন্দুসমাজ নিরাপদ হয়ে পড়ল। তাদের জীবন ও জীবিকার আর কোনাে সংকট রইল না। মনে রাখতে হবে, দেশভাগের পরেও তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশে বাঙ্গালি হিন্দু সমাজের একটি অংশ রয়ে গেছে। নানা কারণে, দেশভাগের সময় বা পরবর্তীতে তারা এদেশে আসতে পারেননি বা পারছেন না। তারাই প্রতিনিয়ত পূর্ব পাকিস্তানে অত্যাচারের সম্মুখীন হয়েছেন, বাংলাদেশেও হচ্ছেন। অত্যাচার সীমা ছাড়িয়ে উঠলে এদের একটি অংশ সীমান্ত পেরিয়ে এই বঙ্গে এসে আশ্রয়। নিয়েছে। ১৯৫০-এ এবং সত্তরের দশকে দু-দুবার বিপুল পরিমাণে হিন্দু শরণার্থী এসে আশ্রয় নিয়েছিল এই বঙ্গে। এছাড়াও, তথ্যেই প্রকাশ প্রতিবছর গড়ে পাঁচশােরও বেশিশরণার্থী এদেশে আশ্রয় নিতে আসে। এদেশে, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে এই হিন্দু শরণার্থীদের আশ্রয় নিতে আসার কারণ এই যে, দেশভাগ হয়ে গেলেও ভারতকে এরা মনে করে প্রধানত হিন্দুদের দেশ। এবং পশ্চিমবঙ্গে এদের জীবন জীবিকা সুরক্ষিত হবে— এমনটাই ধারণা করে এরা।

দেশভাগ হলেও তদানীন্তন পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হবেই— এরকম একটি ধারণা ভারতের জাতীয় নেতৃত্বের ছিলই। সে ধারণা ভুলও ছিল না। সেই আশঙ্কা থেকেই মােহনদাস করমচাঁদ গান্ধী থেকে বল্লভভাই প্যাটেল প্রত্যেকেই বলেছেন, এই নির্যাতিত মানুষগুলির প্রতি ভারত দায়বদ্ধ। কাজেই এরা যদি জীবন ও নিরাপত্তার খোঁজে ভারতে আশ্রয় চায়, তাহলে তাদের আশ্রয় দেওয়াটা হবে ভারতের কর্তব্য। এই শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় সংসদও বিভিন্ন সময় সরগরম হয়েছে। পঞ্চাশের দশকে, যখন তদানীন্তর পূর্ব পাকিস্তান থেকে অত্যাচারিত হিন্দু শরণার্থীর ঢল ভারতে এসে পৌঁছেছিল, তখন সংসদে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু স্বয়ং বলেছিলেন— এই শরণার্থীদের আশ্রয়দানের বিষয়ে চলতি নাগরিকত্ব আইনে কিছু সংশােধনী আনতে হবে। এর পরেও এই শরণার্থীদের বিষয়ে সংসদে একাধিকবার সরব হয়েছেন বিশিষ্ট বামপন্থী সংসদ ভূপেশ গুপ্ত, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুলজারিলাল নন্দ, এমনকী বাসুদেব আচার্য, শ্যামল চক্রবর্তী, প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায়ের মতাে সিপিএম সাংসদরাও। প্রত্যেকের বক্তব্যেই একটি বিষয় পরিষ্কার হয়েছে, এই অত্যাচারিত, নির্যাতিতশরণার্থীদের প্রতি ভারত তার দায়িত্ব এবং কর্তব্য এড়িয়ে যেতে পারে না।

কিন্তু এতকিছু বলার পরেও, এই নির্যাতিত লাঞ্ছিত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়ে। প্রয়ােজনীয় কর্তব্য কর্মটুকু এরা সম্পাদন করেনি। অর্থাৎ দেশের নাগরিকত্ব আইনটি সংশােধন করে এদের পাকাপাকিভাবে ভারতের নাগরিকত্ব প্রদান করে জীবন ও জীবিকার সুরক্ষা করার কাজটি কেউ করেনি। এই কাজটি এতদিন পরে করল নরেন্দ্র মােদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতীয় জনতা পার্টি তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে এই প্রতিশ্রুতিটি দিয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতিটি নরেন্দ্র মােদীর সরকার পালন করেছে। এখন এই সংশােধিত নাগরিকত্ব আইনটিকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মানবিকতার দৃষ্টিতে দেখতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমাদের জাতীয় নেতৃত্বও কিন্তু দেশভাগের পরবর্তী সময়ে শরণার্থী সমস্যাকে মানবিক দৃষ্টিতেই দেখার কথা বলেছিলেন। কুযুক্তির জালে বিষয়টিকে জড়িয়ে দিতে তারা চাননি। সংশােধিত নাগরিকত্ব আইনে পরিষ্কার বলা হয়েছে, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত নির্যাতিত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের এদেশে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই সংশােধিত আইনে এও বলা হয়েছে, এদেশে বসবাসকারী মুসলমানরা কোনােরকম নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন না। কুযুক্তি তােলার কোনাে অবকাশই রাখেনি এই সংশােধিত আইনটি। পুঁটিমারির মঞ্জু বাকিশােরী পূর্ণিমাদের অত্যাচার, অপমান ও লাঞ্ছনার জীবন থেকে মুক্তি দেবার কথা বলেছে এই আইনটি।শ্যামাপ্রসাদনির্যাতিত হিন্দর জন্য পশ্চিমবঙ্গ আদায় করে দিয়ে গিয়েছেন। শ্যামাপ্রসাদের সেই লড়াই সম্পূর্ণ হবে সংশােধিত নাগরিকত্ব আইনের সফল প্রয়ােগে।

রন্তিদেব সেনগুপ্ত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.