বিভ্রান্তি কত দূর যেতে পারে!

বিভ্রান্তি কত দূর যেতে পারে সিএএ-কে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক আবহাওয়া তা যেন দেখিয়ে দিচ্ছে। সিএবি সংসদে পাশ হয়ে যাবার পর দেশের বেশ কিছু জায়গায় এর বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদগুলোর খবর আমরা পাচ্ছি তার কোনো যুক্তিগ্রাহ্য কারণ দেখা যাচ্ছে না। আন্দোলন হচ্ছে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ও বিভ্রান্তি প্রচার করার জন্যই। সিএএ হয়ে যাবার পর কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এখন আর অন্য কোনো অভিযোগ যেন নেই। শুধুই সিএএ। রাজনৈতিক আন্দোলন থেকে সভাসমিতি, পদযাত্রা, অবস্থান বিক্ষোভ সবকিছুই এখন সিএএ কেন্দ্রিক। যেন এই একটি বিষয় ছাড়া দেশে বলার মতো বা ভাবার মতো আর কিছু নেই। এই একটা আইন করে অদূর ভবিষ্যতে বাকি ভারতের কোটি কোটি মুসলমান জনতাকে একে একে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে! তাই চল….আন্দোলন করো, প্রতিবাদ করো, এই ঠাণ্ডায় রাস্তায় রাত জেগে বসে থাক! এগিয়ে আসুক মহিলারা, এমনকী সন্তান কোলে মায়েরা! সঙ্গে নাও জাতীয় পতাকা! দেখাও আমরাও কত দেশভক্ত, আমরাও দেশেরই নাগরিক। এই আন্দোলনে, প্রতিবাদে, জাতীয় পতাকাকেন্দ্রিক এই ভাবনায় সবকিছুতেই চূড়ান্ত বিভ্রান্তি।
বিজেপি বিরোধী প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল দেশের বৃহত্তম সংখ্যালঘু সমাজ মুসলমানদের মধ্যে এই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে যে তাদের নাগরিকত্ব এই আইনের বলে খুব সরু সুতোর উপর ঝুলছে। যে কোনো সময় তাদের নাগরিকত্বের প্রমাণবাহী এই এই ডকুমেন্ট দাখিল করতে হবে। প্রমাণ দিতে হবে নাগরিকত্বের। না পারলেই তাদের বলা হবে তোমরা সন্দেহজনক নাগরিক, ডি ভোটার; তাদের এর পর ডিটেনশান ক্যাম্পে পাঠানো হবে এবং তারপর সোজা বাংলাদেশ বা অন্য কোথাও ! বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে সভা-সমিতির মাধ্যমে, লিফলেট প্রচারে, উল্টোপাল্টা দেওয়াল লিখনে এবং অবশ্যই সামাজিক মাধ্যমে। বিভিন্ন গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠী আর বিজেপি বিরোধী কিছু রাজনৈতিক দল যারা মুসলমানদের শুধু ভোটার করেই রেখেছে তারা নানান সামাজিক মাধ্যমে ছড়াচ্ছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বহু ভিডিয়ো। সেগুলো আগুনের মতো ছড়াচ্ছে মুসলমান জনতার হাতে হাতে থাকা মোবাইল ফোনে। কত কিছুই না বলা হচ্ছে সেসব ভিডিয়োয়। আর তাদের মনে ছড়িয়ে পড়ছে বিদ্বেষের বিষ। এক জায়গায় দেখছিলাম রাস্তার কাজ করছিলেন কিছু শ্রমিক। তারা প্রায় সবাই মুসলমান। দুপুরের খাওয়ার পর তাদের। ক্ষণিক বিশ্রাম। সেই অবসরে একজনের। মোবাইলে বেজে উঠল এরকম একটি ভিডিয়ো। সবকটা ঘাড় মাথা মোবাইলের কাছে এল। সবাই মন দিয়ে শুনলেন ও দেখলেন সেই ভিডিয়ো। যেন গোগ্রাসে গিললেন। শুনলাম তাতে বলা হচ্ছে কোনো বিজেপি নেতা নাকি বলেছেন সিএবি পাশ হয়ে যাবার পর আর কিছুদিনের মধ্যেই মমতার যারা আসল ভোটার তাদের সবাইকে দেশ থেকে তাড়ানো হবে। সবাই থমথমে মুখে কিছুক্ষণ বসে থাকল। তারপর কেউ বিড়ি ধরাল। তারপর কাজে লাগল। দেশের সম্মাননীয়, সরল ও সাধারণ নাগরিকদের মনে এভাবে ছড়ানো হচ্ছে। ভয় আর আতঙ্ক। এই আতঙ্ককে স্থায়ী করারও চেষ্টা চলছে। যেন এই আতঙ্ক নিয়েই তারা ভোটবাক্স অবধি যেতে পারেন। দেশহিতকে বাদ দিয়ে সব কিছুরই পরিমাপ হচ্ছে ভোটের নিক্তিতে। ফলে আন্দোলন আর প্রতিবাদের যেন বিরাম নেই।
বিভ্রান্তি আর বিদ্বেষ এখন সর্বত্র। সিএএ খুব সরল সোজা একটি আইন। আইনে কোনো জটিলতা নেই। দেশের সংসদের উভয় কক্ষে বহু আলোচনার পর তা পাশহয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিএএ বিষয়ে বহু সাংসদের বহু সংশয়, সংকোচ এবং প্রশ্নের উত্তর সংসদেই দিয়েছেন। পরিশেষে রাষ্ট্রপতির সম্মতি পেয়েছে।
কোনো একটি বিষয়ে রাজনৈতিক কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধ থাকতেই পারে। সংসদে তাঁরা বিরোধিতা করতে পারেন। কিন্তু বিষয়টি আইনে রূপান্তরিত হবার পর প্রতিটি রাজনৈতিক দলের উচিত তাকে মান্যতা দেওয়া। নইলে সংবিধানের শাসন বা আইনের শাসনের কোনো মূল্য থাকে না। সিএএ লাগু হয়ে যাবার পর ভোটের রাজনীতির জন্য ও সেকারণেই দেশের মুসলমান জনগোষ্ঠীকে বিভ্রান্ত করার জন্য বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল বলছে আমরা সিএএ মানি না। সংসদে পাশ হয়ে যাওয়া একটি আইনকে মানব না বলে কয়েকটি রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব পাশও হয়ে গেছে। বিভ্রান্তির যেন চূড়ান্ত! একটি আইনকে কেন্দ্র করে এ ধরনের বিভ্রান্তি তথা নৈরাজ্য আগে দেখা দিয়েছে বলে মনে পড়ছে না। এই নৈরাজ্য থেকে বাঁচার একমাত্র পথ হয়তো বলে দিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট।
বলার অপেক্ষা রাখে না যে দেশের মুসলমানরাও এ দেশের নাগরিক। কোটি কোটি দেশভক্ত মুসলমান জনতাকে বাদ দিয়ে, বিশাল ভারত জুড়ে তাদের অবদানের কথা ভুলে গিয়ে এই ভারতকে কল্পনা করাও যায় না। একথা সবাই বোঝেন। শুধু না বোঝার ভান করেন কিছু রাজনৈতিক দল যারা ধর্মকে কেন্দ্র করেই রাজনীতি করতে চান। স্বাধীনতার আগে থেকেই এ দেশের এই মুসলমান জনতা ধর্মীয় রাজনীতির যুপকাষ্ঠে বন্দি। তাদেরকে নিয়ে শুধু রাজনীতিই করা যায় আর কিছুর যেন দরকার নেই। তাই তারা অশিক্ষিত থাক, ধর্মের কারাগারে বন্দি থাক, আধুনিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে শুধু সেকেলে মাদ্রাসায় যাক, এই আধুনিক যুগেও ইংরেজি না শিখে আরবি-ফারসি শিখুক। স্বাধীন ভারতেও এই একই ট্র্যাডিশান চলছে। মুসলমানরা আধুনিক শিক্ষায় সচেতন ও শিক্ষিত হলে আজকের ভারতের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের রাজনীতি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই তাদের জন্য মাদ্রাসা খোলা হোক একের পর এক। বৈধ অবৈধ নানাভাবে। এসব কারণেই সামান্য শিক্ষাদীক্ষা নেই। এমনকী আজও অনেকে নিরক্ষর। এরা কিন্তু নানা কর্মে দক্ষ। মাঠে ঘাটে নগরে বন্দরে এরা শ্রমিকের কাজ করেন। রাজমিস্ত্রির কাজে তো এরা বিশেষভাবে দক্ষ। অর্থাৎ নানা দিক দিয়ে এই অশিক্ষিত মুসলমান জনতা দেশ নির্মাণের কাজে নিয়োজিত। কিন্তু তাদের অশিক্ষার কারণেই তাদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো সহজ। সেইকাজ এখন যেন পুরোদমে চলছে।
সিএএতে বলা হয়েছে খুব সহজ কথা সহজ ভাবে। তা হলো আমাদের প্রতিবেশী তিনটি দেশ আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, শিখ, পারসি ও জৈন ধর্মের মানুষেরা ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪-র আগে এদেশে এলে ভারত তাদের নাগরিকত্ব দিবে। ওই তিনটি দেশ ইসলামিক দেশ। নানা সময়ে এই দেশগুলিতে ইসলাম ছাড়া অন্যদের উপর বিশেষ করে হিন্দুদের উপর ধর্মীয় নিপীড়ন হয়ে থাকে। একথা সারা বিশ্ব জানে। এই অত্যাচারিত মানুষেরা প্রাণের ভয়ে স্বাভাবিকভাবেই ধর্মনিরপেক্ষ দেশ ভারতে আসেন। ভারত কি তাদের অবহেলা করতে পারে? অবহেলা করলে তারা কোথায় যাবেন? আগত মুসলমানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা এই আইনে বলা নেই। এতেই তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলগুলির বিরোধিতা। নাগরিকত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে এই সরকার ধর্মের বিভেদ করছে কেন? এ তো সংবিধানের পরিপন্থী ! গেল গেল রব উঠল চারদিকে। ওই তিনটি দেশ থেকে আগত মুসলমানদের কেন নাগরিকত্ব দেওয়া হবে এর কোনো যুক্তিগ্রাহ্য জবাব এরা কেউ দিচ্ছেন না। কিন্তু প্রতিবাদ সভাগুলিতে, দিল্লির শাহিনবাগে বহু ভাষণ হচ্ছে। আসল কথাটাই বলা হচ্ছেনা। ওই তিনটি দেশই ইসলামিক দেশ। মুসলমানদের উপর সেখানে কোথাও ধর্মীয় নিপীড়ন হতে পারে না। সেখান থেকে যেমুসলমানরা এ দেশে আসছেন। তারা যদি অত্যচারিত হয়ে আসেন এবং দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন তাহলে তারাও নাগরিক হতে পারেন। কিন্তু অবৈধ উপায়ে উদ্দেশ্যপ্রণাদিত ভাবে এদেশে এসে এদেশের নাগরিকত্ব দাবি করবেন এটা তো হতে পারে না। এরা সবাই নাগরিক হলে আমাদের দেশের হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে সবার জীবন ও জীবিকার উপর কোপ পড়বে। সরকারের সব পরিকল্পনা লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে। এই সহজ কথাটা সবাই বুঝেও না বোঝার ভান করছেন। শুধু ভোটের স্বার্থে এ দেশের মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছেন; আর অনুপ্রবেশকারীদের এদেশে থেকে যেতে উৎসাহ দিচ্ছেন।
সিএএ সরল ও সোজা আইন। নানা অবান্তর প্রশ্ন তুলে তাকে জটিল করে তুলেছে। কয়েকটি রাজনৈতিক দল। অশিক্ষিত ও কম শিক্ষিত মুসলমান জনতার মনে আতঙ্ক তৈরি করে তাদের বিভ্রান্ত করে তুলেছে এই দলগুলি। মুসলমানদের মধ্যে এই বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এই আইনের বলে তাদেরকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। ফলে তারা আতঙ্কিত। আতঙ্কে হাজারে হাজারে মানুষ যাচ্ছেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের দরজায় দরজায় আধার কার্ড বানানোর বা সংশোধনের লাইনে। রাত থেকেই লাইন। এমনকী লাইনেই দিন রাত কাটছে! ভোটার কার্ড সংশোধনের লাইনেও ভিড়। ভিড় প্রতিবাদে, অবস্থানে, বিক্ষোভে, জমায়েতে, পদযাত্রায়। একদিন দ’দিন নয়। প্রায় প্রতিদিন। এখানে সেখানে। বসন্ত পঞ্চমীর দিন সিএএ-র বিরুদ্ধে একটা ভারত বনধও হয়ে গেল। বামদলগুলির সাহায্যে বেশ কয়েকটি দল এই বন্ধ ডেকেছিল। কয়েকটি শহরে বনধের ভালোই প্রভাব ছিল। সিএএ-র বিরুদ্ধে ডাকা বধে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে গুলি চলল। মারা গেলেন দু’জন। তাদের মধ্যে একজন বছর উনিশের যুবক সালাউদ্দিন শেখ। বিভ্রান্তির যেন চূড়ান্ত। যাঁরা শিক্ষিত মুসলমান বিভ্রান্তি তাদের মধ্যেও। দিল্লির শাহিনবাগে মাসাধিককাল ধরে যাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ করছেন তারা মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষিত শ্রেণীর। তাঁরা কেউ এ কথাটার উত্তর দিচ্ছেন না যে ওই তিনটি দেশ থেকে আসা মুসলমানদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে কেন? আর ওই দেশগুলি থেকে ধর্মর্গত কারণে নিপীড়িত হয়ে সেখানকার যে সংখ্যালঘু মানুষেরা এদেশে এসেছেন তাদের নাগরিকত্ব দিলে অসুবিধা কোথায়? এই সহজ প্রশ্নগুলির উত্তর দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু অপ্রাসঙ্গিকরাগের প্রকাশ ঘটছে বহু অর্থহীন ভাষণেও
তারা সিএএ-র সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছেন এনআরসিকে। কোন্ বিজেপি নেতা এন আর সি নিয়ে কোথায় কী বলেছেন, কখন থেকে মুসলমানদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে-এইসব কথা বলা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে এনআরসি নিয়ে দিল্লির রামলীলা ময়দানে সরকারের মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন এন আর সি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্যাবিনেটে আজ পর্যন্ত কোনো আলোচনা হয়নি। তাই এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার এখন কোনো অবকাশ নেই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কথার তাঁদের কাছে যেন কোনো দাম নেই। অন্য কে কী বলেছেন সে সব কথা বলা হচ্ছে। আর বলা হচ্ছে আজাদির কথা। কীসের আজাদি, কার আজাদি তাও ঠিকভাবে জানে না। সংবাদমাধ্যম থেকে প্রশ্ন করা হলে উত্তর আসছে মোদীর থেকে আজাদি। এমনকী তিন-চার বছরেরর বালক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু প্রার্থনাও করছে। বার বার মোদী সরকারকে বলা হচ্ছে ফ্যাসিবাদী, ইনটলারেন্ট ও আরও কত কী। কিন্তু সিএএ-কে নিয়ে এদের অভিযোগের সারবত্তা ঠিক কতখানি তা বলা হচ্ছে না। শুধুই মানুষকে প্রতিবাদের নামে হুজুগে মাতিয়ে রাখা হয়েছে। আর এইহুজুগকে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছে কিছু সংবাদমাধ্যম। তাদের দৈনন্দিন খোরাকির এখন যেন কোনো অভাব নেই।
সরকারের পক্ষ থেকে বার বার বলা হচ্ছে এ দেশের মুসলমান জনতার সিএএ নিয়ে ভাববার কোনো দরকারই নেই। তাদের কোনো ডকুমেন্ট কেউ দেখতে যাবে না। কারণ এই আইন দেশের নাগরিকদের জন্য নয়ই। এই আইন নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। কিন্তু যে সমস্ত মানুষ যারা ধর্মে মূলত মুসলমান এবং যারা অবৈধভাবে দেশের সীমা লঙ্ঘন করে এসেছে। এবং এখানে বাস করছে তাদের ফিরে যেতে হবে। কারণ তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যে অনেকে ফিরতে শুরুও করেছে। সুতরাং এ দেশের মুসলমান, যারা এ দেশের সম্মাননীয় নাগরিক তাদের কোনো প্রতিবাদে শামিল হওয়ার দরকারই নেই। ভারতীয়দের জন্য এ আইন নয়ই। তবুও বিভ্রান্তি যেন দুর্নিবার। মানুষের মুখে মুখে, প্রতিবাদ সভার। আবোল-তাবোল বক্তৃতায়, মোবাইলে মোবাইলে ভিডিয়োর লেনদেনে এই বিভ্রান্তির ছড়াছড়ি। আশা করি দেশের মুসলমান সমাজ এই বিভ্রান্তি থেকে দ্রুত সরে আসবেন ও উপযুক্ত শিক্ষা নেবেন।
গৌতম কুমার মণ্ডল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.