মরিচঝাঁপি গণহত্যা হলো বামজমানার আদি পাপ

মরিচঝাঁপি নিয়ে কিছু লিখতে গেলে বা বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হবে ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের নিষ্ঠুর পরিণতির কথা, মুসলমানদের দ্বারা অত্যাচারিত ও বিতাড়িত হয়ে জন্মভূমি হারানো উদ্বাস্তু মানুষগুলির দণ্ডকারণ্যের করুণ জীবনের কথা। কারণ মরিচঝাঁপির জঠরে লুকিয়ে আছে উদ্বাস্তু মানুষগুলির নিষ্ঠুর জীবন কাহিনি।

প্রবীণ সাংবাদিক সুখরঞ্জন সেনগুপ্তর ভাষাতেই বলতে হয়, দেশভাগের অপরিণামদর্শিতার গর্ভের সন্তান দণ্ডকারণ্য। আর দণ্ডকের সীমাহীন অন্যায় ও অবিচারের গর্ভে জন্ম মরিচঝাঁপি। দেশভাগ যদি হয় অখণ্ড ভারতের রাজনীতিবিদদের পাপ, তবে মরিচঝাঁপি হলো পশ্চিমবঙ্গের বামজমানার আদি পাপ।

সেদিন দেশভাগের বলি উদ্বাস্তু মানুষগুলিকে সম্পূর্ণ ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে দণ্ডকারণ্যে পাঠিয়ে ক্ষমতাপিপাসু আমাদের নেতারা তাদের দায় ঝেড়ে ফেলেছিলেন, সেইদিনই কিন্তু প্রকৃত পক্ষে মরিচঝাঁপির বীজ বপন করা হয়েছিল। দণ্ডকারণ্যে নির্বাসনে পাঠাবার সময় আমাদের নেতারা একটি বারের জন্য ভেবে দেখেননি বা সত্যি কথা বলতে গেলে ভাবার প্রয়োজন বোধ করেননি যে মূলত নরম আর্দ্র জল-হাওয়ার পরিবেশে বেড়ে ওঠা মানুষগুলো, মূলত যারা কৃষিজীবী দণ্ডকারণ্যের বালি, পাথরের রুক্ষ প্রাকৃতিক পরিবেশে তাদের পক্ষে কি আদৌ বেঁচে থাকা সম্ভব? এই প্রান্তিক কৃষিজীবী মানুষগুলির পক্ষে দণ্ডকে যে জীবনধারণ অসম্ভব এবং দণ্ডকের পুনর্বাসন যে কখনও সফল হওয়া সম্ভব নয়, তা কিন্তু সেই সময়ই উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দপ্তরের সচিব হিরন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। এবং তিনি ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, ওই উদ্বাস্তু মানুষদের যেন তাদের বসবাসের এবং জীবিকার উপযোগী সুন্দরবনের মরিচঝাঁপিতে পুনর্বাসন দেওয়া হয়। দণ্ডক সম্পর্কে শ্ৰীবন্দ্যোপাধ্যায়ের ভবিষ্যদ্বাণী যে কতটা সত্য ছিল, পরবর্তীকালে মরিচঝাঁপির ঘটনাই তা প্রমাণ করে।

দণ্ডকের রুক্ষ পাথুরে জমি, দীর্ঘ অনাবৃষ্টি, অনেক চেষ্টা করেও ফসল ফলাতে ব্যর্থ হওয়া, মাঝে মধ্যেই স্থানীয় জনজাতি মানুষের সঙ্গে সংঘাত, পুলিশ এবং সিআরপিএফ-এর অত্যাচার, পরিবারের স্ত্রী ও মেয়েদের পুলিশ দ্বারা সম্ভ্রম নষ্ট এবং সর্বোপরি নিজেদের সংস্কৃতি বিপন্নতার ভয়ে সেই ১৯৫৮ সাল। থেকেই দণ্ডকের উদ্বাস্তুরা যখনই সুযোগ পেয়েছে ছোট ছোট দলে দণ্ডক ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে এসেছে।

১৯৭৬ সালের ২৫ জানুয়ারি বামফ্রন্টের তথাকথিত মহান নেতা জ্যোতি বসু দণ্ডকারণ্যের সবথেকে বড় উদ্বাস্তু শিবির মানা ক্যাম্পের কাছেই ভিলাই শহরে এক বিরাট জনসভায় প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন, আপনারা আমাদের ভোট দিয়ে কেন্দ্রে আমাদের শক্তিশালী করুন। পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীরা ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত আপনাদের এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না। শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেছিলেন আমরা ক্ষমতায় এলে উদ্বাস্তুদের সুন্দরবনে বসতি স্থাপনের ন্যায্য দাবি অবশ্যই মানা হবে। অবশেষে ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসে। সারা ভারত উদ্বাস্তু সম্মেলনে উপস্থিত থেকে সমর মুখার্জি, হরিদাস মিত্র, রাম চ্যাটার্জি, কিরণময় নন্দ, জম্ববন্ত রাও ধৌতে উদ্বাস্তুদের সুন্দরবনে চলে আসার জন্য আহ্বান জানালেন। ফরোয়ার্ড ব্লকের অশোক ঘোষ সেদিন বলেছিলেন, আপনারা সব তৈরি থাকুন, আমরা ডাকলেই আপনারা বেরিয়ে পড়বেন। কিরণময় নন্দ মালকানগিরির সভা থেকে বললেন, আপনারা পশ্চিমবঙ্গে চলে আসুন, পাঁচ কোটি বাঙ্গালির দশকোটি হাত আপনাদের অভ্যর্থনা জানাবে। সুতরাং সেদিনের ওই উদ্বাস্তু মানুষগুলির সুন্দরবনের মরিচঝাঁপিতে চলে আসার কিন্তু একটা ইতিহাস আছে। শেষপর্যন্ত ১৯৭৭ সালের শেষের দিকে দণ্ডক বাস্তুহারা উন্নয়নশীল সমিতির পরিচালনায় পশ্চিমবঙ্গের প্রতিমন্ত্রী রাম চ্যাটার্জি ও উদ্বাস্তু উন্নয়নশীল সমিতির নেতা সতীশ মণ্ডল একটি সভার আয়োজন করেন এবং ওই সভায় উদ্বাস্তুদের দণ্ডকের জীবনের অন্যায়, অত্যাচার ও অবিচার নিয়ে আলোচনা হয়। মন্ত্রী রাম চ্যাটার্জি প্রতিশ্রুতিও দেন। সেদিন পশ্চিমবঙ্গের উদ্বাস্তু দরদি সরকারের একজন মন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতি পেয়েই স্বভূমে ফিরতে মরিয়া উদ্বাস্তুরা সতীশ মণ্ডলের নেতৃত্বে আওয়াজ তুলল, “চলো সুন্দরবন চলো। মরবো তো বাঙ্গলার মাটিতেই মরবো’, সেই শুরু হলো ঘরে ফেরার পালা। ১৯৭৮ সালের প্রথমদিক থেকেই উদ্বাস্তুর দল দণ্ডক থেকে ধেয়ে আসে বাঁধভাঙা বন্যার জলের মতো হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ হয়ে সুন্দরবনের জনমানবশূন্য ঝোপঝাড়, কাদা ও নোনাজল বেষ্টিত মরিচঝাঁপি দ্বীপে।

এই মরিচঝাঁপি হলো রায়মঙ্গল ও বাগনা নদীর পলি দ্বারা সৃষ্টি এক দ্বীপ। সুন্দরবনের শেষ জনবসতি কুমিরমারি দ্বীপের ঠিক বিপরীতে মরিচঝাপি। যাকে বলে সুন্দরবনের চৌকাঠ। অর্থাৎ মূল বন্য জগৎ ও মনুষ্য জগতের মধ্যে এক বাফার এলাকা।

অল্পকিছুদিনের মধ্যেই এই দেশ হারানো মানুষগুলো আবার পশ্চিমবঙ্গে ফিরতে পেরে গড়ে তুলল তাদের স্বপ্নের এক জনপদ। নিজেদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বেঁচে থাকার অদম্য ইচ্ছা নিয়ে তৈরি করল কাচা পথ-ঘাট, উচু বাঁধ দিয়ে মাছচাষের ব্যাবস্থা। নৌকা তৈরির কারখানা, পাউরুটির কারখানা, কামারশালা, কুমোরশালা, বিশ্রামের জায়গা, আর নিজেদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য গড়ে তুলল বিদ্যালয়। যার নাম নেতাজীনগর বিদ্যাপীঠ। এই জনপদটি নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর স্মরণে নাম দেওয়া হয়েছিল নেতাজী নগর।

যে বামপন্থীরা এক সময় ছিল এই উদ্বাস্তুদের প্রধান বন্ধু, ত্রাতা, যাদের সংগঠনের মূল ভিত্তিই ছিল উদ্বাস্তু মানুষ, যারা উদ্বাস্তু মানুষদের আন্দামানে পুনর্বাসনের বিরোধিতা করে আর একটা নতুন বঙ্গভূমি সৃষ্টিতে বাধা দিয়েছিল। উদ্বাস্তু মানুষদের বিপথে চালিত করে ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের পরিকল্পনাকে বানচাল করে দিয়েছিল। সেই বামপন্থীদের আশ্বাসে ও প্ররোচনায় এই পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে বাঁচতে এসে দণ্ডকের উদ্বাস্তু মানুষেরা খুন হলো জনদরদি বামফ্রন্ট সরকারের হাতে।

জ্যোতি বসুর নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকার কিছুতেই সমাজের ‘ছোটোলোকের দল’ এই উদ্বাস্তু মানুষগুলিকে পশ্চিমবঙ্গে থাকতে দিতে চাইল না। জোর করে আবার তাদের দণ্ডকে ফেরত পাঠাবার সবরকম ব্যবস্থা করতে থাকল। খাবারের জোগান বন্ধ করে, পানীয় জল বন্ধ করে মানুষগুলিকে ভাতে মারার চেষ্টা চলল। মরিচঝাঁপিতে সংবাদমাধ্যমের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো। তবুও সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে কিছু সাংবাদিক মরিচঝাঁপির আসল চিত্র প্রকাশ করলে সভ্যসমাজ সেদিন আঁতকে উঠল।বহু বিদ্বজ্জন ও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের জ্ঞানীগুণী মানুষ প্রতিবাদেশামিল হয়ে বামফ্রন্ট সরকারকে ওই উদ্বাস্তু মানুষগুলির উপর অত্যাচার বন্ধের আবেদন করলেও ক্ষমতার দম্ভে বলীয়ান বামফ্রন্ট সরকার কোনো আবেদনে কান না দিয়ে উলটে অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। একদিকে সরকারি অত্যাচার, অন্যদিকে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা দুই মিলে অভুক্ত মানুষের মৃত্যুর মিছিল দিন দিন দীর্ঘ হলো। বৃদ্ধ ও শিশুমৃত্যু এই মিছিলের দীর্ঘতা আরও প্রসারিত করে চলল। রামকৃষ্ণ মিশন এবং ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসীরা খাদ্য ও ওষুধপত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল ত্রাণকার্যে। এখানে একটা কথা বলা দরকার। আজকের আমাদের সবার কাছে যিনি বিশ্বজননী, দরিদ্র এবং আর্তের ত্রাতা সেই মাদার টেরেসা কিন্তু ওই অসহায় মানুষগুলির পাশে দাঁড়াবার কথা দিয়েও কথা রাখেননি। অর্থাৎ কোনও এক অদৃশ্য কারণে সাহায্যের হাত সরিয়ে নিয়েছিলেন।

কুমিরমারির মানুষ কিন্তু তাদের সীমিত ক্ষমতা নিয়ে সবরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। কুমিরমারির মানুষেরা মরিচঝাঁপির অসহায় মানুষদের উপর এই অবর্ণনীয় অত্যাচার কিছুতেই মন থেকে মেনে নিতে পারেনি। তার অবশ্য একটা আত্মিক কারণ আছে। কারণ উভয়েই ছিল মূলত অবিভক্ত ভারতের যশোর, খুলনা ও বরিশালের নিম্নবর্ণের নমঃশূদ্র সমাজের প্রান্তিক মানুষ।

জ্যোতি বসুর সর্বহারার বাম সরকার শত চেষ্টা করেও যখন অদম্য বাঁচার ইচ্ছা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকা মরিচঝাপির মানুষগুলির মনোবল ধ্বংস করতে পারল না, তখন ১৯৭৮ সালের ১৯ আগস্ট প্রচুর সংখ্যায় পুলিশবাহিনী দিয়ে লঞ্চের সাহায্যে সম্পূর্ণ সামরিক কায়দায় গোটা মরিচঝাপি দ্বীপকে অবরোধ করা হলো। তা সত্ত্বেও ওই ছোটোলোকের দল মানুষগুলিকে দমাতে না পেরে অবশেষে ৬ সেপ্টেম্বর পুলিশের লঞ্চ উদ্বাস্তুদের বেঁচে থাকার রসদ ও খাদ্যসামগ্রী বোঝাই প্রায় ২০০টি লঞ্চকে নদীতে ডুবিয়ে দিয়েছিল। দ্বীপের বাইরের কোনো মানুষ যেন কিছুতেই খাদ্যসামগ্রী ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বাঁচার উপকরণ নিয়ে মরিচঝাপিতে ঢুকতে না পারে তার সবরকম ব্যবস্থা করা হলো। জ্যোতি বসু বিধানসভায়। দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যম, বুদ্ধিজীবী ও বিরোধীদের সব তথ্য অস্বীকার করে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, এই উদ্বাস্তু মানুষগুলিকে কোনও মতেই এই পশ্চিমবঙ্গে থাকতে দেওয়া চলবে না। কারণ তারা মনে করেন মরিচঝাঁপির ওই মানুষেরা রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এরা শুধু চোরাচালানকারী নয় , সংরক্ষিত বনাঞ্চলকেও ধ্বংস করে চলেছে। এরা বাম সরকারের স্থিতিশীলতানষ্টকারী শক্তি। এরপর শুরু হলো মরিচঝাঁপিকে উদ্বাস্তু শূন্য করার চূড়ান্ত অভিযান। ১৯৭৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর মরিচঝাপিতে প্রথম ১৪৪ ধারা জারি করা হলো। এই ১৪৪ ধারা যে শুধু জাতীয় জন আইন বিরোধী ছিল তা নয়, এটা ছিল আন্তর্জাতিক জনআইন বিরোধীও।

অবরুদ্ধ দ্বীপে চলল মৃত্যুর মিছিল। মানুষ ক্ষিদের জ্বালায় নারকেল গাছের কচিপাতা এবং যদুপালং নামে এক ধরনের ঘাস খেতে থাকল। একদিকে এসপি অমিয় সামন্তের নেতৃত্বে পুলিশ ও পুলিশের পোশাকে গুন্ডা বাহিনীর অত্যাচার, অন্যদিকে অনাহার, মৃত্যু যেন মানুষের শিয়রে এসে দাঁড়াল। অবশেষে ১৯৭৯ সালের ১৩ মে ভোর রাত্রে শুরু হলো চূড়ান্ত পর্যায়ে উচ্ছেদ অভিযান। মরিচঝাঁপির সমস্ত বাড়ি-ঘর, বাজার-দোকান এমনকী স্কুলেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হলো। মরিচঝাঁপির উল্টদিক থেকে অসহায়ের মতো কুমিরমারির মানুষেরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখল জতুগৃহের মতো গোটা মরিচঝাঁপির জনপদকে আগুনের প্রাসে ভষ্মীভূত হতে। মানুষ প্রাণ বাঁচাতে পালাতে গেলে ছুটে এসেছিল ঝাঁকে ঝাঁকে পুলিশের গুলি। ২৪-৩১ জানুয়ারি এই আটদিন চলল নরসংহার। পুলিশের গুলি থেকে বাঁচতে কত যে মানুষ নদীতে ঝাপ দিয়ে অতলজলে তলিয়ে গেল তা অজানাই রয়ে গেল। মৃত ও অধমৃত মানুষগুলিকে নৌকা করে ফেলে দেওয়া হলো মাঝ নদীতে। জ্যোতিবসুর স্নেহধন্য সেদিনের তথ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সদর্পে ঘোষণা করলেন, মরিচঝাঁপি সম্পূর্ণ উদ্বাস্তুশূন্য।

মরিচঝাপির মানুষেরা সেদিন কিন্তু বামফ্রন্ট সরকারের থেকে বেঁচে থাকার কোনো সাহায্য চায়নি। তারা নিজেদের চেষ্টায় আর অক্লান্ত পরিশ্রমে নিজেদের বাঁচার ব্যবস্থা নিজেরাই করে নিয়েছিল। তবুও বাঙ্গালি হয়েও এই পশ্চিমবঙ্গে তাদের ঠাই হয়নি। অথচ আজ রোহিঙ্গা মুসলমানরা সেই সুন্দরবন অঞ্চলেই। ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক আশ্রয়ে আস্তানা গড়ে তুললেও দণ্ডকের নিম্নবর্ণের হিন্দুদের কিন্তু কোনো আশ্রয় সেদিন হয়নি।

রুদ্রাক্ষ বসু

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.