পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রশাসন সংবিধানের দৃষ্টিকোণ থেকে

ব্রিটেনের মতো ভারতেও সংসদীয় বা ক্যাবিনেট ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছে। যে কোনো অঙ্গরাজ্যের রাজ্য পালের সাংবিধানিক পদমর্যাদা সম্পর্কে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্যও বিশেষ প্রণিধানযোগ্য। ১৯৫৫ সালে রাম জাওয়াইয়া কাপুর বনাম পঞ্জাব রাজ্য মামলায় সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করেন, ‘ইংল্যান্ডের মতো আমাদের দেশেও একই ধরনের পার্লামেন্টারি এগজিকিউটিভ ব্যবস্থা আছে”। আর সংসদীয় ব্যবস্থার রীতি অনুযায়ী কেন্দ্রের মতো রাজ্যেও সংসদীয় ধাঁচের ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। এই ধরনের শাসন ব্যবস্থায় কেন্দ্রের রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যগুলির রাজ্য পালগণ হলেন সাধারণভাবে নিয়মতান্ত্রিক শাসক। আর প্রকৃত শাসনক্ষমতা ন্যস্ত থাকে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রীপরিষদের উপর। মন্ত্রীপরিষদের পরামর্শক্রমে রাজ্যপালের নামে রাজ্যের শাসনকার্য পরিচালিত হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে ভারতের রাষ্ট্রপতি তার নিজের এক্তিয়ারের মধ্যে যতটুকু ক্ষমতা ভোগ করেন অঙ্গরাজ্যের রাজ্যপাল তার এলাকায় অনেক বেশি ভূমিকা পালন করতে পারেন, অনেক বেশি ক্ষমতা ভোগ করতে পারেন। রাজ্যপাল একই সঙ্গে দুটি দায়িত্ব পালন করেন : একদিকে তিনি রাজ্য প্রশাসনের নিয়মতান্ত্রিক প্রধান, অন্যদিকে তিনি রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের তথা ভারতের রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি। রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক হয় যখন রাজ্যপালের এই দুই ভূমিকার মধ্যে কোথাও দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে সম্পর্ক যদি দ্বান্দ্বিক হয় সমস্যা হতে পারে সেক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে রাজ্যের প্রশাসন তথা মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রীসভার বিরোধকে ভারতের সংবিধান এবং এই রাজ্যের রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে বিচার করা যেতে পারে।
২০১৯-এর ৩০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেওয়ার কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজ্যপ্রশাসনের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত। কেউ কেউ একে নজিবিহীন সংঘাত বললেও বাস্তবে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসে। রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যপ্রশাসনের সংঘাত এর আগেও ঘটেছে। ১৯৬৭ সালের ২ মার্চ পশ্চিমবঙ্গে প্রথম যুক্তফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠার কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত শুরু হয়েছিল। তৎকালীন রাজ্যপাল পদ্মজা নাইডুর সঙ্গে প্রথম যুক্তফ্রন্ট সরকারের তেমন বিরোধ না ঘটলেও ১৯৬৭-এর ১ জুন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে ধরমবীর কার্যভার গ্রহণ করার পর থেকেই রাজ্যপালের সঙ্গে মন্ত্রীসভার বিরোধ চরমে ওঠে। অভ্যন্তরীণ কলহে দীপ্ত প্রথম যুক্তফ্রন্ট সরকারকে শেষ পর্যন্ত বরখাস্ত করেন রাজ্যপাল ধরমবীর ১৯৬৭ সালের ২২ নভেম্বর। ১৯৬৯ সালে দ্বিতীয় যুক্তফ্রন্ট গঠিত হওয়ার পর ধরমবীরের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক এমন জায়গায় পৌঁছেছিল সে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার ধরমবীরকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরিয়ে নেয়। রাজ্যপাল অনন্ত প্রসাদ শর্মার সঙ্গে জ্যোতি বসুর নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় বামফ্রন্ট মন্ত্রীসভার বিরোধও চরমে উঠেছিল যার সূত্র পাত হয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসবে সন্তোষ কুমার ভট্টাচার্যকে নিয়োগ করা থেকে। এছাড়াও রাজ্যপাল শান্তিস্বরূপ ধাওয়ান, রাজাপাল ভৈরব দত্ত পাণ্ডে, রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী এবং রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে রাজ্য মন্ত্রীসভার বিরোধ ঘটেছে। কিন্তু বর্তমান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত মন্ত্রীসভার বিরোধ সম্ভবত আগের বিরোধগুলিকে ছাপিয়ে যেতে চলেছে। এতদিন দল হিসেবে সিপিআই (এম) রাজ্যপাল পদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতো। এবার তৃণমূলও সেই প্রশ্ন করা শুরু করেছে। গত ২৭ নভেম্বর ২০১৯-এ পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভায় সংবিধান দিবসের বিশেষ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে রাজ্য মন্ত্রীসভার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী রাজ্যপাল পদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের কারোর মতে ‘রাজ্যপাল তার সাংবিধানিক পদের মর্যাদা রাখতে পারছেন না। কেউ বলেছেন “রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে নিরপেক্ষতা বজায় না রেখে বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন। কেই আবার আর একটু অগ্রসর হয়ে মত প্রকাশ করেছেন যে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে রাজ্যপাল পদের অবলুপ্তির সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যেতেই পারে। ভারতের সংবিধান প্রণয়ণের প্রক্রিয়ায় রাজ্যপালের পদ নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছে। রাজ্যপালের নিয়োগ প্রক্রিয়া, তার ক্ষমতার সীমা ও ভূমিকা সবকিছু নিয়ে অনেক আলোচনা তর্কবিতর্ক হয়। শেষ পর্যন্ত সকলেই রাজ্যপাল পদটিকে তৈরি করার ব্যাপারে একমত হন, শুধু তাই নয়, রাজ্যপালের পদটি নির্বাচিত হবে না, রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত হবেন এই বিধানটিও সংবিধানের অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ভারতের সংবিদান রচয়িতাগণ এটা জানতেন যে ভারতকে কখনোই আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের আদলে প্রকৃত যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা হিসাবে গড়ে তোলা সম্ভব নয়। ভারতের মতো একটি বিপুল বৈচিত্র্যময় দেশে কেন্দ্রপ্রবণ যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাই কাম্য। এখানে রাজ্যপাল রাজ্যের জনগণের দ্বারা নির্বচিত হলে বা রাজ্য মন্ত্রীসভা কিংবা বিধানসভার সুপারিশ অনুযায়ী নিযুক্ত হলে তার প্রাথমিক আনুগত্য থাকবে রাজ্যের প্রতি। কোনো বিষয়ে কেন্দ্র রাজ্যে বিরোধ উপস্থিত হলে তিনি রাজ্যের পক্ষ নিতে পারেন। ফলে আঞ্চলিক স্বার্থের জন্য জাতীয় স্বার্থ বিপন্ন হতে পারে। জাতীয় ঐক্য ও সংহতি ক্ষুন্ন হতে পারে। এ কারণেই রাজ্যপাল ভারতের রাষ্ট্রপতির তথা কেন্দ্রের প্রতিনিধি। নিজস্ব ক্ষেত্রে তিনি বহু বিষয়ে সুবিবেচনা অনুযায়ী কাজ করতে পারেন যা নিজের ক্ষেত্রে ভারতের রাষ্ট্রপতিও পারেন না। ১৯৬৭ সালে গৃহীত ভারতীয় সংবিধানের ৪২তম সংশোধনী অনুযায়ী ভারতের রাষ্ট্রপতি মন্ত্রীসভার পরামর্শ অনুযায়ী চলতে বাধ্য। কিন্তু রাজ্যপালের ক্ষেত্রে এই ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতির মতো পুরোপুরি নিয়মতান্ত্রিক শাসক হোন এটা সংবিধান রচয়িতা থেকে শুরু করে পরবর্তীকালের রাজনৈতিক নেতৃত্ব কেউই চাননি। এ কারণেই সমস্ত অঙ্গরাজ্যের মন্ত্রীসভাই চান রাজ্যপালের। সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে যাতে রাজ্যপ্রশাসন পরিচালনা করতে কোনো বাধার সৃষ্টি না হয়। কারণ সংবিধানের ১৫৪ কিংবা ১৬৩ ধারায় রাজ্যপালের এমন কিছু ক্ষমত আছে যাতে অনেক সময় তিনি স্ববিবেচনা অনুযায়ী কাজ করতে পারেন। ১৫৪ ধারা অনুযায়ী “রাজ্যের প্রশাসনিক ক্ষমত রাজ্যপালের হতে ন্যস্ত থাকবে এবং এই ক্ষমতাগুলিতার দ্বারা সরাসরি কিংবা তার অধস্তন অফিসারদের দ্বারা সংবিধান অনুযায়ী প্রমুক্ত হবে।”সংবিধান বিশেষজ্ঞদের একটা অংশ মনে করেন যে,সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যপালই হলেন রাজ্যের শাসনকর্তা। প্রয়োজনবোধে তিনি রাজ্যের মন্ত্রীসভার পরামর্শ ও সাহায্য গ্রহণ করতে পারেন, মন্ত্রীসভার পরামর্শ ও সাহায্য গ্রহণ করতে পারেন, আবার নাও পারেন। আবার এটও সত্যি যে কেন্দ্রের মতো অপরাজ্যগুলিতে সংসদীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সংবিধানে ১৬৩ ধারা, অনুযায়ী রাজ্যপালকে তার কাজে সাহায্য ও পরামর্শদানের জন্য রাজ্যগুলিতে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি মন্ত্রীপরিষদ থাকে। সাধারণ অবস্থায় রাজ্যপাল মন্ত্রীসভার পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করেন। কিন্তু সাহায্য ও পরামর্শদানের অর্থ এই নয় সে, রাজ্যপালকে মন্ত্রীদের পরমর্শ গ্রহণ করতেই হবে। বরং সংবিধানে বিপরীত কথাই বলা আছে। ১৬৩ (৩) ধারা অনুযায়ী মন্ত্রীগণ রজ্যপলকে কোনো পরমর্শ দিয়েছিলেন কিনা এবং দিয়ে থাকলে কী পরামর্শ দিয়েছিলেন সে বিষয়ে আদালতে কোনো প্রশ্ন তোলা যবে না। তবে সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতি অনুযায়ী নির্বাচিত মন্ত্রীসভাই দৈনন্দিন শাসনকার্য পরিচলনা করেন। সাধারণত ভারতের রাষ্ট্রপতির মতো অঙ্গরাজ্যের রাজ্যপালও তাতে হস্তক্ষেপ করেন না। কিন্তু রাজ্যপ্রশাসনেরও দায়িত্ব হলো রাজ্যপালের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করা। এখানে ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের কোনো জায়গা নেই।
বর্তমান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের বিরুদ্ধে রাজ্যের শাসকদলের কর্তাব্যক্তিদের প্রধান অভিযোগ, রাজ্যপাল নাকিতঁার ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করছেন এবং সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর চেষ্টা করছেন। রজ্যপালের জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করা নিয়ে। তাদের আপত্তি আর যাদবপুরে ছাত্র (?) বিক্ষোভে আটকে পড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করতে স্বয়ং রাজ্যপালের ঘটনাস্থলে যাওয়া নিয়ে তাঁদের ক্ষোভ। আইনের দৃষ্টিতে দেখলে এগুলির কোনোটির ক্ষেত্রেই রাজ্যপাল তার সাংবিধানিক বা আইনগত সীমা লঙ্ঘন করেননি। সংবিধানের ১৫৪ ধারা অনুযায়ী রাজ্যপাল নিজে কিংবা তার অধস্তন কর্মচারীদের মাধ্যমে রাজ্যের শাসন সম্পর্কিত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। তিনি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। শাসনবিভাগীয় প্রধান হিসেবে রাজ্যের কর্মচারিরা রাজ্যপালের অধীনস্ত। রাজ্যের মুখ্যসচিব বা তার মাধ্যমে যে কোনো কর্মচারীকে তিনি ডাকতে পারেন। তিনি রাজ্যের যে কোনো জায়গায় যেতে পারেন। এক্ষেত্রে কোনো আইনগত বাধা নেই। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের উচিত রাজ্যপালের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। বরং মুর্শিদাবাদের ডোমকলে একটি বেসরকারি কলেজের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ফেরার সময় যারা রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখিয়েছিল তারাই অন্যায় করেছিল। এতে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকের্তার দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া হয়েছে যা অত্যন্ত অন্যায় অন্যদিকে রাজনীতিকে রাস্তায় নামিয়ে আনা হলো। রাজ্যের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পক্ষে এটা খুব ভালো উদাহরণ নয়। রাজ্যের রাজ্যপাল আইনবলে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যাওয়ার পূর্ণ অধিকার তার আছে। রাজ্যপালের বারংবার অনুরোধ সত্ত্বেও রাজ্য প্রশাসন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও হয়ে থাকা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে উদ্ধার করতে নিজে চলে যান। যদি সেদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কোনো বড়ো ক্ষতি হতো তাতে রাজ্যের ভাবমূর্তি আরো তলানিতে চলে যেত সন্দেহ নেই। রাজ্যপাল সেই লজ্জার হাত থেকে রাজ্যকে বাঁধিয়েছেন।
রাজ্যে যদি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠত নিয়ে কোনো মন্ত্রীসভা থাকে, প্রশাসন সক্রিয় ও নিরপেক্ষ থাকে, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থা স্থিতিশীল থাকে তবে রাজ্যপালের সক্রিয় হওয়ার প্রয়োজন থাকে না। এ রাজ্যে শাসকদল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ। কিন্তু রাজ্যপ্রশাসনের সক্রিয়তা নিরপেক্ষতা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন আছে। ফলে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে রাজ্যপালের সক্রিয়তাও অনুভূত হচ্ছে বার বার। কেন্দ্র ও রাজ্যে ভিন্ন ভিন্ন মতের সরকার থাকলে পারস্পরিক সন্দেহের বাতবরণ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে রাজ্য মন্ত্রীসভার সঙ্গে রাজ্যপালের ব্যবধান বেড়ে যায়। পশ্চিমবঙ্গে এটাই ঘটেছে। কিন্তু এই লড়াই রাজ্যের উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করে দিতে পারে। অবিলম্বে রাজ্যপাল ও রাজ্য মন্ত্রীসভার মধ্যে দ্বন্দু না মিটলে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হতে পারে। এই পরিস্থিতি আটকতে রাজ্যকেই উদ্যোগ নিতে হবে।
বিমল শঙ্কর নন্দ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.