গত দশকের শেষ সময় থেকে সারা বিশ্বে চলছে অর্থনৈতিক ক্ষমতা দখলের লড়াই। এই লড়াই জেতার ওপর নির্ভর করেই বিশ্বের সুপার পাওয়ারের তকমাটা নিজের মাথায় পরাতে পারবেন তিনিই, যিনি এই অর্থনৈতিক ক্ষমতাতে সবচেয়ে শক্তিশালী হবেন। করােনা ভাইরাস বা নােভেল করােনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯, এই তিনটি নামের একটি মারণ ভাইরাস, ক্ষমতা দখলের ক্ষেত্রে যে যুদ্ধ জারি হয়েছে, সেই যুদ্ধের প্রধান অস্ত্র হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। অভিযােগ এই ভাইরাসকে অস্ত্র করে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে জয়লাভ করতে চাইছে চীন। আর অন্যদিকে আমেরিকার দিকেও আঙুল যে ওঠেনি তা নয়। চীন তাদের গা থেকে সব অভিযােগ ঝেড়ে ফেলে দায় চাপিয়েছে আমেরিকার ওপর। এই দুটি দেশই এই মুহূর্তেই সারা বিশ্বে মহা শক্তিধর হিসেবে ধরা হয়। এই সময়ে আমেরিকাকে অর্থনৈতিক স্বয়ম্ভরতায় ছাড়িয়ে এগিয়ে গেছে চীন। ফলে দড়ি টানাটানি যে দু’দেশের মধ্যেই হবে, সেটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্র থেকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ কায়েমের চেষ্টায় কেউ কাউকে এক চুলও ছেড়ে কথা যে বলবেনা, সেকথা চোখ বন্ধ করেই বলে দেওয়া যায়। ২০১৯-এর মাঝামাঝি সময়ে যখন বিশ্ব অর্থনীতির একটি সমীক্ষায় ইতালি, ফ্রান্স, ভারত, ইরান-সহ বেশ কিছু দেশের অগ্রগমন প্রকাশ পেতে থাকে, ঠিক সেই সময়েই এমন কিছু একটা করে এই দেশগুলিকে ধাক্কা দেবার গেমপ্ল্যান তৈরি করে বাস্তবে তা রূপ দিতে শুরু করে চীন। এই অভিযােগ উঠছে চীনের বিরুদ্ধে বারে বারেই। সারা বিশ্বের বিভিন্ন । সংবাদপত্রে প্রকাশিত নানা খবরের মধ্যে সেই বিষয়টি সংবাদ আকারেও এসেছে।
মেডিক্যাল মাইক্রোবায়ােলজি নিয়ে ডক্টরেট, ড্যানি শােহাম ১৯৭০ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ইজরায়েল সামরিক গােয়েন্দা বাহিনীতে মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বব্যাপী জৈব ও রাসায়নিক অস্ত্র সংক্রান্ত বিষয়ের সিনিয়র বিশ্লেষক হিসেবে যুক্ত ছিলেন। ইজরায়েলের ওই প্রাক্তন সামরিক গােয়েন্দা কর্মকর্তা ড্যানি শােহাম বলেছেন, প্রাণঘাতী করােনা ভাইরাসটি চীনের একটি গােপনীয় জীবাণু অস্ত্র পরীক্ষাগার। থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে। গবেষণাগারটি। উহান শহরে অবস্থিত বলে দাবি করেছেন ওই কর্মকর্তা। ড্যানি শােহামের সাক্ষাৎকার ভিত্তিক সংবাদটি প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন টাইমস। ড্যানি শােহাম চীনের জীবাণু অস্ত্র বিষয়ে গবেষণা করেছেন। তার দাবি, “উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরােলজি’ প্রতিষ্ঠনটির সঙ্গে চীনের গােপনীয় জীবাণু অস্ত্র কর্মসূচির যােগসূত্র রয়েছে। তিনি বলেন, ইনস্টিটিউটের কয়েকটি গবেষণাগার সম্ভবত চীনা জীবাণু অস্ত্র গবেষণা এবং বিকাশের জন্য নিযুক্ত রয়েছে। করােনা ভাইরসা নিয়েও ওই প্রতিষ্ঠানটি গবেষণা করছে বলে ধারণা করছেন তিনি। সার্সের মতাে ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চীনের জৈব রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত বলে জানান ড্যানি। চীনের উহানে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের দেখা মেলার পর রেডিয়াে ফ্রি এশিয়া কিছুদিন আগে তাদের আর্কাইভ থেকে ২০১৫ সালের একটি প্রতিবেদন পুনঃ সম্প্রচার করে। ওই প্রতিবেদনটি ছিল চীনের সবচেয়ে অত্যাধুনিক ভাইরাস গবেষণাগার উ হান ইন্সটিটিউট অব ভাইরােলজির ওপর। প্রতিবেদনে উহান শহরে অবস্থিত এই গবেষণাগারে প্রাণঘাতী বিভিন্ন ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চলছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। ইজরায়েলের প্রাক্তন সামরিক গােয়েন্দা কর্মকর্তা ড্যানি শােহামের মতে, উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরােলজি চীনের গােপন জৈব অস্ত্র প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত। একটি ই-মেইল বার্তায় তিনি বলেন, বেসামরিক-সামরিক গবেষণার অংশ হিসেবে জৈব মারণাস্ত্র নিয়ে গবেষণার কাজ হয়ে থাকে চীনের ওই গবেষণাগারে। এ ধরনের যে কোনাে প্রকল্প অবশ্যই গােপন রাখাহয়। এইই-মেইলের বিষয়টি ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে সারা বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে।
চীন যে এই ভাইরাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে, সেই বিষয়কে উসকে দিয়েছে নানা প্রশ্ন ও সাহিত্যের অংশ। মূল প্রশ্ন, ভাইরাসটি কী চীন বায়ােলজিক্যাল যুদ্ধের জন্য তৈরি করেছিল? এই প্রশ্নটা ওঠার মূলে ৪০ বছর আগের একটি উপন্যাস। সেই উপন্যাসটিতে একটি ভাইরাসের নাম রয়েছে উহান-৪০০। ওই থ্রিলার উপন্যাসটির নাম ‘আইজ অব ডার্কনেস’। ১৯৮১ সালে ডিন কুনজ এই উপন্যাসটি লেখেন। সেই উপন্যাসে উহান-৪০০ নামে একটি ভাইরাসের কথা বলা হয়েছে, যা নাকি চীনে বায়ােলজিক্যাল যুদ্ধের গবেষণাগারে প্রস্তুত করা হচ্ছে। বায়ােলজিক্যাল যুদ্ধ হলাে মারণ ভাইরাস প্রয়ােগ করে একটি দেশকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। সম্প্রতি উপন্যাসের এই কথাটি সারা বিশ্বের সংবাদমাধ্যমে গুরুত্ব পাচ্ছে। এদিকে এই উপন্যাসটি নিয়ে নেটিজেনদের মাতামাতি এই মুহূর্তে তুঙ্গে। সােশ্যাল মিডিয়াতে এই মাতামাতির খবর ইতিমধ্যে সংবাদেও বেশ খানিকটা জায়গা করে নিয়েছে। নেটিজেনদের দাবি, বইটির মাধ্যমে ৪০ বছর আগেই লেখকের করা ভবিষ্যদ্বাণী আজকের পরিস্থিতির সঙ্গে অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাচ্ছে। সােশ্যাল মিডিয়ায় এক ব্যক্তি প্রথম এই উপন্যাসের একটি অংশ পােস্ট করেন। আর সেখান থেকেই আজকের এই পরিস্থিতির সঙ্গে অনেকটাই মিল খুঁজে পেতে শুরু করেন নেটিজেনরা। এরপরই সেই পােস্ট ভাইরাল হয়ে যায়। উপন্যাসের ওই অংশটি দেখে স্তম্ভিত হয়ে পড়েন সােশ্যাল মিডিয়া নিয়ে যারা ঘাঁটাঘাঁটি করেন, তারা। কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারিও ওই পােস্টটি টুইটারে শেয়ার করে লিখেছেন, “করােনা ভাইরাস কি চীনের তৈরি করা বায়ােলজিক্যাল অস্ত্র ? এই বইটি ১৯৮১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। শুধু মণীশ তিওয়ারিই নন, ডিন কুনৎজের ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয়েছে বলে দাবি করছেন নেটিজেনদের অনেকেই। কেউ কেউ লিখেছেন, “এ এক আশ্চর্য মিল বর্তমান ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। কেউ আবার লিখেছেন, “আশ্চর্য এক দুনিয়ায় বাস করছি আমরা। প্রসঙ্গত, বায়ােলজিক্যাল যুদ্ধের খানিকটা শুরু হয়েছিল বহু আগেই। বায়ােলজিক্যাল অস্ত্র তৈরির ইতিহাস বিশ্বে বেশ পুরনাে। অ্যানথ্রাক্স, বরুসেলােসিস, করেরা, প্লেগ, নিউমনিক প্লেগ, টুলারেমিয়া, স্মল পক্স, গ্ল্যান্ডার্সেই মতাে মারণ ভাইরাস, ব্যাক্টোরিয়া একাধিক বার ব্যবহৃত হয়েছে যুদ্ধে। নেটিজেনদের এইসব মতামত সংবাদপত্রের পাতায় বেশ জায়গা করে নিতে বেশি সময় নেননি।
চীনের দিকে অঙ্গুলি হেলনের কারণ আরাে আছে। সে কথায় আবার আসছি। তবে সবচেয়ে ভয়ংকর যে বিষয়টার দিকে লক্ষ্য দিতে হয় সেটা হলাে, এই নােভেল করােনা ভাইরাস ৩৮০ বার তার জিনগত চরিত্র বদল করেছে। এই বদলের সঙ্গে সঙ্গেই আরও ভয়ংকর রূপ নিয়েছে এখন। গবেষকরা বলছেন, সাধারণ ভাইরাসের থেকে এই করােনা ভাইরাসের সংক্রমণজনিত মারণ বিষ অনেকটাই বেশি। সেই কারণেইবিজ্ঞানীদের মাথা অনেকটাই খারাপ করে দিচ্ছে এই ভাইরাস। একে সামাল দিতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে গবেষক থেকে বিজ্ঞানীদের। অন্য ভাইরাস একজন আক্রান্তকে চিকিৎসার সামান্য হলেও একটু সুযােগ দেয়, আর এটির উপস্থিতি জানতে জানতেই আক্রান্ত অনেকটাই চিকিৎসাব্যবস্থার সাহায্য নেবার জায়গা থেকে দূরে সরে যায়। করােনা ভাইরাস তাই সেই অর্থে সারাবিশ্বে মহামারীর চেহারায় এই একটি কারণে।
আবার ফিরে আসি আগের প্রসঙ্গে। ইজরায়েলের গােয়েন্দা ড্যানিআর পৃথিবীর নানা প্রান্তেরমাইক্রোবায়ােলজিস্টদের দাবির সমর্থনে সরব হয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়েস কলেজের আইনের অধ্যাপক ড. ফ্রান্সিস বয়েল। রাসায়নিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ সংগঠনের একজন শীর্ষ কর্তাও তিনি। বিভিন্ন সংবাদপত্রে তার মতামত বেশ গুরুত্ব-সহ সঙ্গে তাঁর করা তারা কর্ম প্রচেষ্টার কথাও ফলাও প্রকাশিত হচ্ছে। যেমন তার চেষ্টাতেই যে ১৯৮৯ সালে ‘বায়ােলজিক্যাল ওয়েপনস অ্যান্টি টেররিজম অ্যাক্ট’ বিল পাশ হয়েছে, সেটি এই ভাবেই সামনে এসেছে। এই নােভেল করােনা ভাইরাস যে শুধু মাত্র একটা সাধারণ ভাইরাসের চরিত্র বহন করছে, সেটা মানতে চাননি ফ্রান্সিস। সেই সরবতা প্রকাশ পেয়েছে পৃথিবীর প্রায় সব কটি সংবাদপত্রের শিরােনামে। তার কথায়, উহানের ইন্সটিটিউট অব ভাইরােলজির বায়ােসেফটি লেভেল ফোর ল্যাবে খুব গােপনেই মারণাস্ত্র তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। সেখান থেকেই ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, যে চীনের একটি সমুদ্রজাত পণ্যের বাজার থেকে এই করােনা ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে যে গল্প এখন লােকের মুখে মুখে ফিরছে, তানিছক আসল বিষয় থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেবার প্রচেষ্টা মাত্র। তিনি দাবি করেছেন যে, এই মারণাস্ত্র তৈরির বিষয়টা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে। অজানা নয়। তার এই দাবিও সারা বিশ্বের নানা সংবাদমাধ্যমে ইতিমধ্যেই দেখেছেন নিশ্চয়। এই দাবির সমর্থনে তার যুক্তি, উহানের ওই ল্যাবকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুপার ল্যাবের তকমাও দিয়েছে। এর পিছনে যে বিষয়টা আছে, সেটি হলাে নিরাপত্তা। এই ল্যাবে নাকি জীবাণু নিয়ে কাজ হলেও, সম্পূর্ণ নিরাপদ, আর এটির এমন একটি উইং আছে যেটির সঙ্গে বাইরের পরিবেশের সঙ্গে কোনােরকম যােগাযােগ নেই। আর এখানে কী কাজ চলছে, সেটিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিশ্চয়ই গােচরে থাকাটা স্বাভাবিক নিয়মের মধ্যেই পড়ে।
চীনের সমুদ্রজাত পণ্যের গল্পটা আরেকবার জেনে নেওয়া যাক। এই করােনা ভাইরাস নাকি একটি প্যাঙ্গোলিনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আবার কেউ কেউ বলছেন, ওই পরীক্ষাগারে যে প্যাঙ্গোলিনের ওপর পরীক্ষা চলছি, সেটি চুরি হয়ে গিয়ে বাজারে আসে, সেটিরমাংস যারা খেয়েছেন, তারাই সবার প্রথমে সংক্রমণের বাহক হয়েছেন। প্রসঙ্গত, এই ভাইরাসের নাকি একমাত্র সুবাহক হচ্ছে প্যাঙ্গোলিন। অন্য কোনাে জীব বা পাখি নয়।
অন্যদিকে ২০১৫ সালের রেডিয়াে ফ্রি এশিয়ার একটি রিপাের্ট সম্প্রতি অনেক সংবাদমাধ্যমের হাত ধরে আমাদের সামনে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, উহানের ওই ল্যাবে ভয়ংকর ও প্রাণঘাতী সব ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চলছে। আর সেই গবেষণার মাধ্যমে বেইজিং জৈব রাসায়নিক জীবাণু মারণাস্ত্রের দিকে হেলে পড়ছে।
এই প্রসঙ্গে আরেকটি বিষয় বেশ রটেছে। অনেকে বলছেন, যা রটে তার কিছুওতাে বটে। সেটা একবার দেখা যাক। এই ভাইরাসের প্রাথমিক বিষয়টা কানাডার একটি ল্যাব থেকে চুরি করেছে চীন। এরপর সেটির আমূল জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়েছে চীনের ওই গবেষণাগারটি। তার ফলশ্রুতি এই নােভেল করােনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯। | মার্কিন সেনেটর টম কটন একধাপ এগিয়ে গিয়ে দাবিকরেছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট করােনা বিষয়ে অনেক কিছুই লুকাতে চাইছেন। তার আরও দাবি, চীন জীবাণুযুদ্ধের জন্যই এই ভাইরাসটি ল্যাবে বানানাে হচ্ছিল। আর প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে এটি লুকোবার কারণ, এখন আন্তর্জাতিক আইনে জীবাণুযুদ্ধ নিষিদ্ধ। সেক্ষেত্রে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে।
আবার ফিরে আসি ড. ফ্রান্সিসের কথায়। তিনি বলেছেন, সার্স বা ইবােলা ভাইরাসের চরিত্র যখন প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে, তখন অভিযােগের তির কিন্তু গিয়েছিল এই গবেষণাগারের দিকেই। এই গবেষণাগারটি রােগ প্রতিরােধ নয়, প্রাণঘাতী অস্ত্র বানাতেই মত্ত এমনটাও বলেন ফ্রান্সিস। এই দাবি ইতিমধ্যে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত। ফলে এই করােনা ভাইরাসকে নিয়ে চীনের দিকে যে বারে বারে আঙুল উঠছে, সেক্ষেত্রে কোনাে সদর্থক যুক্তি দিয়ে সেই অভিযােগ থেকে বেরােতে পারছে না চীন।
স্বপন দাস