বলিউড ও ইসলামের প্রকৃত স্বরূপ

ইংরেজি ফিল্মের নকল হিন্দি সিনেমা দেখে পয়সা নষ্ট করা ঠিক নয়। স্বাধীনতার পর দূরদৃষ্টিহীন নেহরু সনাতন ধর্মের দেশ থেকে হিন্দুত্বকে শেষ করার জন্য রাষ্ট্রবিরােধী নেতা ও কমিউনিস্টেদের সাহায্য নেন। ভয় ও লােভ দেখিয়ে খ্রিস্টানরা এবং বলিউড নামক লঘুজিহাদের মাধ্যমে ভারতে থাকা পাকিস্তানপ্রেমীরা হিন্দুর ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে ধ্বংস করে চলেছে সাত দশক ধরে। কমিউনিস্টরা শিক্ষাক্ষেত্রগুলিকে আশ্রয় করে ভারতের ঐতিহ্য ও অতীত ইতিহাসকে উদ্দেশ্যপ্রণােদিতভাবে বিকৃত করেছে।

পেশীবহুল মুসলমান হিরাে যেমন সাল্লুমিয়াঁ, আমীর ও শাহরুখ, সাইফ আলি, ফারহান আখতার ও নাওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি-সহ ৫০ জন বলিউডে কাজ করেন। পাকিস্তান থেকেও আবার শত্রুদেশে এসেছেন অনেকে। হিন্দু ললনারা হয়েছেন। নিকা-করা-বিবি নয়তাে ইন্ডাস্ট্রিতে গার্লফ্রেন্ড। আমীর খানের প্রথমা স্ত্রী রীনা দত্ত। স্বার্থসিদ্ধির পর তালাক দিয়ে দ্বিতীয় নিকা কিরণ রাওকে। বাপকা বেটা’ সাইফ আলির প্রথমা বিবি অমৃতা ও দ্বিতীয়টি কারিনা কাপুর। পুত্রের নামটিও রেখেছেন নৃশংস হিন্দু হত্যাকারী তৈমুর লঙেরইনামে। শাহরুখের বিবি ব্রাহ্মণ কন্যা গৌরী। সাল্লুমিয়াঁর ভাই সােহেলের হিন্দুবিবি সীমা সচদেব হলে আরবাজের বিবি হলেন মালাইকা অরােরা। কট্টর মােদী-বিদ্বেষী নাসিরুদ্দিনের বিবি রত্না পাঠক ও সদ্যপ্রয়াত ইরফানের বিবি ছিলেন বাঙ্গালি হিন্দুকন্যা সুতপা শিকদার।

ধনী আরব শেঠরা বলিউডে টাকা খাটিয়ে, হিন্দু হিরােইন ভােগ করে, “জিহাদে মদত’ ও উপার্জিত টাকার সদ্ব্যবহার করে ভারতে ইসলামের প্রসার করে।‘রাম তেরী গঙ্গা মৈলি’র নায়িকা মন্দাকিনীর যৌনশােষণের কথা সবাই জানেন। ১৯৯৭ সালে ‘ডি’ কোম্পানির ভাড়াটে খুনি রসিদ আর রওফ ‘টি’ সিরিজের ভজন গায়ক ও প্রযােজক গুলশন কুমারকে নৃশংসভাবে খুন করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রযােজক নাদিম সারাভানের সুপারি পেয়ে। নাদিম লন্ডনে পালিয়ে যায়। রাজনৈতিক অশ্রয় নিয়ে। এনসিপি-র নেতা ও আইনজীবী মাজিদ মেমন ছিলেন তাদের পক্ষের উকিল। কংগ্রেসের সাংসদ, কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্সের ছাত্র, জালিয়াতির আসামি বিজয় মাল্যও লন্ডনে এখন আশ্রয়প্রার্থী। মুম্বইয়ের তাজ হােটেলে ২৬/১১-র ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড দাউদের ইশারায় হয়েছিল। সম্প্রতি এনসিপি-র নেতা প্রফুল্ল প্যাটেল ও কুখ্যাত আনিস ইব্রাহিম ও ইকবাল মির্চির নাম প্রকাশ পেয়েছে দাউদ ইব্রাহিমের সহযােগী হিসেবে। এসব দুষ্কৃতী রাজনেতাদের ছত্রছায়ায় থেকেই অপরাধ। জগতের কাজকারবার সামলায়। ৫০-এর দশকে পেশােয়ারের ইউসুফ খানকে বলিউডে টাকা কামানাের জন্য দিলীপকুমার নাম নিতে হয়। সাংসদ হন কংগ্রেসের অনুগ্রহে। দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কারও হাসিল করেন। খলনায়ক হামিদ আলি ওরফে অজিত, হিন্দুস্থান লিভারের কমেডিয়ান বদরুদ্দিন ওরফে জনি ওয়াকার’ এবং সৈয়দ ইসতিয়াক আহমদ জাফরি ওরফে ‘জগদীপ’ চার দশক ধরে হিন্দুদের চোখে ধুলাে দিয়ে পয়সা কামাতেন। একেই বলে ‘আল তাকিয়া। কাফেরদের ধোঁকা দেওয়ার পদ্ধতি। এখন সবাই ফেজটুপি পরে, ছাগল-দাড়ি রেখে, দম্ভের সঙ্গে হিন্দুদের বােকা বানিয়ে যােগ্য হিন্দু হিরােদের খেদিয়ে হিন্দু হিরােইনদের অঙ্কশায়িনী করে ইসলামের প্রচার প্রসার করে যাচ্ছে নির্বিচারে। সবাই এখন বুঝতে পেরেছে, বলিউড কীভাবে হিন্দু ও শিখদের বিরুদ্ধে বিষােদগার করছে এবং ইসলামকে। মহিমান্বিত করছে। আহমেদাবাদ আইআইএম-এর অধ্যাপক ধীরাজশৰ্মা তাঁর গবেষণায় দেখিয়েছেন, হিন্দি ফিল্মে স্ক্রিপট লেখক, অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের দিয়ে, বিশেষ গ্যাঙ্গের নির্দেশে বলিউড ইসলামিকরণের লঘুজিহাদ প্রক্রিয়া চালু রেখেছে। ওই গবেষক গত ছয় দশকে পঞ্চাশটি সিনেমা চয়ন ও বিশ্লেষণ করেছেন। ‘এ থেকে জেড’ পর্যন্ত নাম নিয়ে, পরিসংখ্যান সূত্র অনুযায়ী ‘রান্ডােমাইজেশন করে পক্ষপাতিত্বের ত্রুটি দূর করেছেন। প্রতিটি সিনেমাতে এটাই প্রতিপন্ন করা হয়েছে হিন্দু ও শিখরা পুরানােপন্থী এবং মুসলমানরা নবীনপন্থী।

আসলে উলটোটাই কিন্তু সত্যি। অত্যন্ত ধূর্ততার সঙ্গে ভেবেচিন্তে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের রাজনীতির সঙ্গে তালমিলিয়ে এক বিশেষ ‘মত বা ইজমের প্রবর্তনের জন্য সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। হিন্দু ও শিখ ধর্ম সবসময়ই অযৌক্তিক এবং ন্যায়বিরুদ্ধ, পক্ষান্তরে ইসলাম সর্বদাই ন্যায়পরায়ণ। হিন্দু-শিখদের অনেক দোষের মধ্যে ‘কাউ, কারী ও কাস্টমে’র বিচ্যুতিই সবথেকে মারাত্মক। উঁচু-নীচু জাতিভেদ প্রথা যেন হিন্দু-শিখদের মজ্জাগত অসংশােধনীয় ত্রুটি কিন্তু মুসলমানরা সেসবের একেবারেই ঊর্ধ্বে। এই প্রথম মনুসংহিতার সঠিক মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ যেন বলিউডের কাহিনিকার ও সংলাপ রচয়িতারাই তাদের উর্বর মস্তিষ্ক থেকে আবিষ্কার করলেন। এগুলির জন্য চাই গভীর অধ্যয়ন ও সুনিয়ােজিত পরিকল্পনা। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদানপ্রাপ্ত দিল্লি, যাদবপুর, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তথাকথিত বুদ্ধিজীবী বা অধ্যাপকরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে এগুলির গবেষণা করেন এবং বলিউডে বিক্রি করে অনেক উপরিলাভ করেন। অন্ধকার জগতের বাদশা হাজি মস্তান, রক্ত হিম করা দাউদ ইব্রাহিম, দুষ্কৃতী করিম লালা, ছােটা শাকিল ও আবু সালেমরাই হলেন বলিউডের আসল মালিক ও চালক। নির্দেশক মহেশ ভাট নিজেই স্বীকার করেছেন বলিউডের ছােটো-বড়াে সবাইকে মাফিয়াদের সঙ্গে সহযােগিতা করে চলতে হয়। হপ্তা দিতে হবে, নইলে প্রাণ। ১৯৯৩ সালের মুম্বাইয়ের দাঙ্গার ষড়যন্ত্রে ধৃত ও আবু সালেমের সহযােগী সঞ্জয় দত্তকে পাঁচ বছর জেলের হাওয়া খেতে হয়। বলিউডের মনিকা বেদি ও আবু সালেম, সােনা ও হাজি মস্তান, হৃত্তিকের বাবা রাকেশ রােশনের আক্রমণকারী কুখ্যাত আলিবাবা কুঁদেশের কথা কে না জানে! প্রফেসর ধীরাজের গবেষণায় দেখানাে হয়েছে, হিন্দি ফিল্মে পলিটিসিয়ানদের মধ্যে ৫৮ শতাংশই ব্রাহ্মণ হন। আগরওয়াল বা জৈন, ওইরকম জাতিবাচক শব্দের প্রয়ােগে তার পেশা ও ধর্মবিশ্বাসের পরিচিতি দর্শকমনে মুদ্রিত করা হয়। হিন্দি সিনেমাতে ৬২ শতাংশ বৈশ্য ব্যবসায়ীরা অবশ্যই ভেজাল বা চোরাচালানের কারবারি হয়। হিন্দি সিনেমার ৭৪ শতাংশ শিখের ভূমিকাকে কমবুদ্ধিযুক্ত কমেডিয়ানের রােল দেওয়া হয়। বলিউডের সিনেমায় ধীরাজ শর্মা দেখিয়েছেন, ৭৮ শতাংশ ক্ষেত্রেই স্থলিত চরিত্রের মহিলার ভূমিকায় যারা কাজ করেছেন, তারা নামে ও পদবিতে খ্রিস্টান। ছাগলদাড়ি ও ফেজটুপি লাগিয়ে এক সাচ্চা,ইমানদার এবং আল্লার পাক্কা বান্দা মুসলমানের ভূমিকায় অভিনয় করছেন ইবাদত পাবার জন্য হিন্দু অভিনেতা। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে বলছেন, একমাত্র আল্লাই সর্বশ্রেষ্ঠ ঈশ্বর’!

সবথেকে আশ্চর্য লাগে যখন দেখা যায় পাকিস্তান সৃষ্টির অল্প কিছুদিনের পর থেকেই সিনেমা জগতের এই অপকীর্তি অপ্রতিহত গতিতে চলে আসছে। প্রফেসর শর্মা তাঁর গবেষণায় দেখিয়েছেন যে, এর পিছনে আছে এক আন্তর্জাতিক চক্রান্ত যা প্রশাসনের পরােক্ষ সাহায্যে আজ এক ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সম্প্রতি, বলিউডে ৩৪ বছরের হিন্দু অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের হত্যা অন্ধকার জগতের সঙ্গে সম্বন্ধিত বলেই অনুমান করা হচ্ছে।

উদাহরণস্বরূপ দেখা যায়, ‘বজরংগী ভাইজানে’ কীভাবে ‘বৈষম্যমূলক ও পুরানােপন্থী চিন্তাধারার কথা ভারতীয় জনমানসে প্রতিফলিত হয়েছে। পাকিস্তানিরা মানে মুসলমানরা যেন হিন্দুদের তুলনায় কতাে মহান ও মুক্তমনা। ভারতীয়রা আজ জানতে চাইছে, প্রতিনিয়ত এইভাবে হিন্দুদেরকে নীচ দেখানাে, হিন্দু দেবদেবীর। অবমাননা, হিন্দুমন্দির যেন মেয়ে-পটানাের নির্জনস্থান ইত্যাদির পিছনে কাদের হাত আছে ? আজ যদি এই ষড়যন্ত্র সমূলে উৎপাটিত করা না হয়, তবে গাজওয়া-ই-হিন্দের’বিশাল চক্রান্ত সনাতন ধর্মের সঙ্গে শীঘ্রই সারাদেশকে গ্রাস করে। ফেলবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে জনমানসের স্মৃতিতে অডিও-ভিসুয়ালের গভীর প্রভাবের কথা অনেক আগেই প্রমাণিত হয়েছে। প্রতিদিন নাটক, থিয়েটার, টিভি, সিরিয়াল এবং সিনেমার চরিত্র এবং হিন্দুধর্মগ্রন্থের। যেমন, রাময়ণ ও মহাভারতের চরিত্রকে বিকৃতরুচির সঙ্গে পরিবেশন করার বিষয়ে সাবী ঋতম্ভরার উক্তি বিশেষ প্রণিধানযােগ্য।‘দেব কি দেব মহাদেব’-এ শিবচরিত্রে পার্বতীর প্রেমলীলা যেন মানবীয় প্রেমরসে অভিসিক্ত। হিন্দুনামধারী মুসলমান সিনেমা নির্দেশক এবং কামুক আলাউদ্দিন খিলজির চেয়েও নরাধম, সঞ্জয় বনসালীর ‘পদ্মাবতী চরিত্রটি রাজস্থানের মহান বীরাঙ্গনাদের চরিত্র শুধু ভূলুণ্ঠিত নয়, কলঙ্কিতও করেছে।

পাকিস্তানে দেখানাে হয়েছে এমন বাছাই করা ২০টি হিন্দি ফিল্মের বিশ্লেষণে প্রফেসর। ধীরাজ বলছেন, অন্ততপক্ষে ১৮টি ফিল্মে ভারতীয়দের তুলনায় পাকিস্তানিদের উদার, মুক্তমনা ও যুক্তিবাদী দেখানাে হয়েছে। পাকিস্তানি মিলিটারি শাসক যে কট্টরপন্থী মতবাদের সমর্থক তাও দেখানাে হয়েছে। দেখানাে হয়েছে ভারত সরকারের আধিকারিকরা প্রায়শই ঘুষখাের ও ভ্রষ্টাচারী এবং জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করেন বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিভেদমূলক আচরণ করেন।

কাহিনিকার তার গল্পের নায়ক-নায়িকাদের দিয়ে একটি ‘ইজমের’ প্রতি যেমন পক্ষপাতিত্ব করছেন, তেমনি অন্য একটিকে হীনভাবে জনমানসে প্রতিফলিত করছেন। হিন্দুদের টাকায় হিন্দুদেরই ধ্বংস করার অদ্ভুত এক রণনীতি! অভিনেতা নাসুরুদ্দিন শা, স্ক্রিপ্ট লেখক সেলিম কিংবা জাভেদ আখতার ও শাবানা আজমিদের জায়গা নিয়েছে এখনকার বলিউডের তিন খান’ যারা সরাসরি পাকিস্তান ও ইসলামের প্রতি সমর্থন এবং হিন্দুবিরােধী অ্যাজেন্ডা চালিয়ে যাচ্ছেন।

একজন গবেষক হিন্দি ফিল্মের কিছু অংশ দেখিয়ে ১৫০ জন ছাত্রের উপর এক সমীক্ষা চালান। তাতে দেখা যায় ৯৪ শতাংশ ছাত্রই সিনেমাতে দেখানাে কল্পকাহিনিকে সত্য বলে মনে করেছে। বলিউডের হিন্দু নায়িকার নগ্ননাচ ও পেশীযুক্ত মুসলমান নায়কদের রােমহর্ষক ‘অ্যাকশন ফিল্ম পাকিস্তান-সহ আরবদেশ, আফ্রিকা, আমেরিকা এবং ইউরােপের মুসলমানদের মধ্যে ভীষণ জনপ্রিয়।

আজ সারাবিশ্ব ইসলামি তাণ্ডব সম্পর্কে কম-বেশি ওয়াকিবহাল। বিশ্বের সর্বত্র মুসলমান মানেই দাঙ্গাবাজ, দুষ্কৃতী, ‘কাফেরদের হত্যা ও বলাৎকারী। ইসলামের এই কুৎসিত ও মলিন ছবিকে শুদ্ধ ও পবিত্র করার দায়িত্ব যেন দেওয়া হয়েছে বলিউডের তারকাদের।উলটে বলিউডে দেখানাে হচ্ছে ভারতের হিন্দুরাই সন্ত্রাসবাদী এবং সংখ্যালঘু মুসলমানরা সন্ত্রাসপীড়িত। উর্দু সংবাদপত্র ‘সাহারা’-র সম্পাদক আজিজ বার্নির লেখা ‘আরএসএস কি সাজিস’ নামক বইটির উঘাটন করে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ ১৯৯৩ সালে বােম্বে- দাঙ্গা ও তাজ হােটেলের অগ্নিসংযােগে ‘হিন্দু সন্ত্রাসবাদীদের দায়ী করেন। শাহরুখের সিনেমা ‘ম্যায় হুনা’তে সন্ত্রাসবাদী দলের সর্দারের নাম রাখা হয় এক হিন্দুর। শিল্পী হিসেবে সুনীল শেট্টিকে নামানাে হয়।

বলিউডের দুই জিহাদি জাভেদ আখতার ও সেলিম খান। হিন্দুদের হীন দেখানাের জন্য ব্রাহ্মণকে মিথ্যাবাদী ও পাখণ্ডী, পুরােহিতকে ঠগ ও বাটপাড়, বৈশ্যকে সুদখাের ও ভেজালদার এবং শিখকে মুখ ও হাসিরপাত্র কমেডিয়ানের রােলে দেখানাে হয়। ৮০ শতাংশ হিন্দু গঁাটের টাকা খরচ করে ৩ ঘণ্টা ধরে সেইসব বিষ গিলে হিন্দুবিরােধী হয়ে উঠেন। ধর্মেন্দ্র ‘শােলে’ সিনেমাতে হেমামালিনীকে শিবমন্দিরে প্রেমজালে ফাসাচ্ছেন। অন্যদিকে এ.কে. হাঙ্গলের মতাে হিন্দু নেকিমুসলমানের রােল করছেন। ধর্মপ্রাণ রহিম চাচা ছেলে আহমদের শবযাত্রায় গেলেন না কিন্তু আল্লার ইবাদতের জন্য নামাজকেই প্রাধান্য দিলেন। দীবার ফিল্মে পকেটে রাখা ‘৭৮৬’ লেখা পিতলের তকমা বিল্লা ওরফে অমিতাভকে বিপদমুক্ত করে। ‘জঞ্জির’ ফিল্মে অমিতাভ নাস্তিক এবং ঈশ্বরে আস্থাহীন জয়া হতাশাজনক গান গাইছেন। কিন্তু ‘শের খান’ হয়েছেন এক নেকি মুসলমান। হিন্দি ফিল্মে ‘শান’ -এ অমিতাভ ও শশীকাপুর সাধুর বেশে ভক্তদের ঠকাচ্ছেন অথচ আব্দুল এমনই এক নেকি মুসলমান যে সত্য রক্ষার জন্য নির্দ্বিধায় প্রাণবিসর্জন দিচ্ছেন!‘ক্রান্তি সিনেমাতে শেরওয়ালির পূজারি রাজা প্রদীপকুমার একজন দেশদ্রোহী। অন্যদিকে করিম খান একজন মহান দেশভক্ত যিনি দেশের জন্য জীবন বিসর্জন দিচ্ছেন।

পাকিস্তানের সৃষ্টি নাকি হিন্দুরাই করেছিল ১৯৪৭ সালে। মমতা বলেন, হিন্দু মানে ত্যাগ, শিখ মানেই আত্মবলিদান, মুসলমান মানে ইমান আর ইশাই মানেই সেবা। আহারে, কী ক্ষুরধার বুদ্ধি! ‘অমরআকবর-অ্যান্টনি’র তিন শিশুর পিতা কিশনলাল একজন খুনি ও চোরাকারবারি।

কিন্তু আকবর ও অ্যান্টনির পালনকর্তা দরিদ্র দর্জি মুসলমান এবং ইশাইটি মহান! ভারতীকে বাঁচিয়ে দর্জিটি মহত্তর হয়েছেন। সেলিম-জাভেদদের সিনেমাতে নাস্তিক অথবা ভগবানকে উপহাসকারী হবে হিন্দু কিন্তু একজন মুসলমান শের খান পাঠান বা আব্দুল, ডিএসপি ডিসুজা, পাদরি মাইকেল ও ডেভিডের মতাে আদর্শ চরিত্রগুলি শুধুই খ্রিস্টান ও মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য একচিটিয়া থাকবে। কাদের খান, কায়েফি আজমি ও কাশ্মীরি মহেশ ভাট ও সেকুলারপন্থী হিন্দুবিদ্বেষী। বলিউডের তিন খানের মধ্যে‘সত্যমেব জয়তে’র পরিচালক আমীরখান হচ্ছেন ধূর্ত চূড়ামণি এবং ভয়ংকর হিন্দুবিদ্বেষী। “পিকে’ সিনেমাতে আল্লাকে বাঁচিয়ে রেখে, হিন্দুদেবতাদের খতম করেছেন ! বজরংবলীর মূর্তি হীন কুস্তি-আধারিত ফিল্ম ‘দঙ্গল’-এ দেখানাে হয়েছে জয়ের জন্য, হিন্দু কুস্তিগিরকে মাংস ও কসাইয়ের দেওয়া প্রসাদ খেতেই হবে। সাল্লু মিয়ার ‘বজরঙ্গী ভাইজান’-এ পাকিস্তানিকে মুক্তমনা ও ভারতীয়কে পুরানাপন্থী দেখিয়েছেন। মমতার ব্রান্ড অ্যাম্বাসাডার শাহরুখ খানের, ‘মাই নেম ইজ খান’-এ তিনি স্পষ্টই ইসলামি জিহাদের ডাক দিয়েছেন।

হলিউডের সিনেমাগুলি খ্রিস্টধর্মকে আঘাত দেবার সাহস দেখায় না, বরং ইউরােপীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির ধারকবাহক হিসেবে কাজ করে। ভারতে উলটো হয়। শাহরুখের কথায়, ভারতীয় ইতিহাসের শুরু নাকি মুঘল সাম্রাজ্য থেকে, তাই সংস্কৃতিটাও ইসলামি। সেজন্য আজও ভারতে ৮০ শতাংশ হিন্দুরা বেঁচে আছে ইসলামের শান্তিদূতদের কৃপায়। হিন্দু সংস্কৃতি বা সভ্যতার সঙ্গে বলিউডের কোনাে সম্পর্ক নেই। পাকিস্তানি গজলের ‘রাব্বা ও মৌলা’-র কাছে ‘হিন্দুর ভজন’ নীরস ও নিরর্থক।

সংগীতকার সনু নিগম, অভিজিৎ বাপ্পি লাহিড়ীর নাম এরাই মিটিয়ে দিয়েছে। সুর, সংগীত ও বাদ্যে মুসলমানদের যেন একচেটিয়া অধিকার।তাই আসুন শপথ করি, সংবদ্ধ হয়ে বলিউডের বিরােধিতা করি।

ডাঃ আর এন দাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.