ভারতবর্ষে হিন্দু ও হিন্দুত্ব নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন, কটু হলেও বলতে বাধ্য হচ্ছি, তাঁরা একান্তই অর্বাচীন। কারণ তারা হিন্দু ও হিন্দুত্বকে মুসলমান ও মুসলমানত্ব এবং খ্রিস্টান ও খ্রিস্টানত্বের মতো কয়েকটি কেবলমাত্র বিশেষ উপাসনা পদ্ধতি ও একটি বিশেষ বিশ্বাসের সঙ্গে তুলনা করেন। তাঁদের জানা দরকার যে বর্তমান পৃথিবীর প্রাচীনতম উত্তরাধিকারী হলেন হিন্দু এবং বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্বাস ও জীবন পদ্ধতি হলো হিন্দুত্ব। হিন্দুর উপাসনা পদ্ধতি বিচিত্র। আল্লা ও মহম্মদকে বাদ দিলে মুসলমান ও মুসলমানত্ব শূন্যে এসে যায়। একইভাবে খ্রিস্ট ও যিশুকে বাদ দিলে খ্রিস্ট ও খ্রিস্টানত্ব বিলীন হয়ে যায়। এদের বয়সও অতি অল্প। একটির প্রায় দেড় হাজার বছর, অপরটির দু’হাজার বছর। হিন্দু ও হিন্দুত্বের বয়স খুব কম করে ধরলেও পাঁচ হাজার বছর। তাই বলা যায় যে, অন্য দুটি হিন্দু ও হিন্দুত্বের হাঁটুর বয়সি। আর হিন্দুত্বে ঈশ্বরকে বাদ দিলেও হিন্দু থাকা যায়, হিন্দুত্বের হানি হয় না।
হিন্দু ও হিন্দুত্বের বিরোধিতা ও নিন্দা একটি ফ্যাশন মাত্র। না আছে গভীরতা, না আছে। যুক্তিবত্তা। যে কোনো ফ্যাশনই প্রায়ই পরিবর্তিত হয় এবং এর প্রকাশ বাহ্য ব্যক্তির অন্তরের সঙ্গে ফ্যাশনের কোনো সম্পর্ক থাকে না। ফ্যাশনেরও গভীরতা ও যুক্তিবত্তা নেই। প্রাণের গভীরতায় ফ্যাশন পাল্টায় না। কোনো বিশিষ্ট ফ্যাশনিস্টদের কথায় ফ্যাশন পরিবর্তিত হয়। হিন্দু ও হিন্দুত্বের বিরোধিতার সঙ্গে প্রাণের বা জ্ঞানের সম্পর্ক নাই। কোনো বিশিষ্টদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে এই ফ্যাশন এসেছে।
হিন্দু ও হিন্দুত্বের বিরোধিতা ও নিন্দা করে অনেকেই গ্রাসাচ্ছাদন করেন, করে থাকেন। তাদের মখের ভাত কেড়ে নিতে চাই না। শুধ। তাদের মূঢ়তা দূর করার জন্য এবং গ্রাসাচ্ছাদনের দ্বিতীয় কোনো পন্থা নেওয়ার জন্য একটি গল্প এই প্রবন্ধের শেষ ভাগে বলছি।
বর্তমানে হিন্দু ও হিন্দুত্বের প্রতিভা সম্পর্কে তাদের একটু জ্ঞান দিচ্ছি। এই জ্ঞান দেওয়া আমার ধৃষ্টতা নয়, আমার কর্তব্য। অর্বাচীনদের জ্ঞান দেওয়া প্রাচীনদের কর্তব্য—এইবিচারধারা সকলেই মানেন। এদের বলা দরকার যে, প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে আরম্ভ করে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত (যখন খ্রিস্টত্বের বয়স ১২০০ বছর এবং ইসলামত্বের বয়স ৬০০ বছর) ভারতের হিন্দু প্রতিভার বিকাশ বিশ্বে অনন্য ছিল। ১২০০ শতাব্দী থেকে ভারতে মুসলমান আধিপত্যের কারণে সেই বিকাশ রুদ্ধ হয়ে গেছিল।
দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে বিশ্বের কোনো দেশেই ব্যাস ও বাল্মীকির মতো মহাকবি জন্মগ্রহণ করেননি। কালিদাস, ভবভূতির মতো কবিও কেউ ছিলেন না। শূদ্রকের মতোনাট্যকার, বিষ্ণু শর্মার মতো ছোটো গল্প লেখক, পাণিনি ও কাত্যায়নের মতো বৈয়াকরণিক, পিঙ্গলের মতো ছন্দ শাস্ত্রবিদ অন্য কোনো দেশেই ছিলেন না। ছিলেন না যাজ্ঞবল্ক্য, গৌতম ও শঙ্করের মতো দার্শনিক। আর্যভট্ট, বরাহমিহির, ব্রহ্মগুপ্ত ও ভাস্করাচার্যের মতো জ্যোতির্বিদ ও গণিতজ্ঞ তখনও বিশ্বের কোনো দেশেই ছিলেন না। চরক ও শুশ্রুতেরমতো চিকিৎসাশাস্ত্রবিদ, কৌটিল্যের মতোরাজনীতি ও অর্থশাস্ত্রবিদ এবং নাগার্জুনের মতো রসায়নশাস্ত্রবিদ কোথাও ছিলেন না। দিল্লির দ্রষ্টব্য অশোকস্তম্ভের ইস্পাত এবং অজন্তার ফ্রেসকো রং আজও অনাবিষ্কৃত । শিল্পকলা, স্থাপত্য ও ভাস্কর্য ভারতের মতো অন্য কোথাও ছিল না। ছিল না তক্ষশীলা নালন্দা প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।
এত ধর্ম, দর্শন এবং এত ধর্ম, সম্প্রদায়ও অন্যত্র পাওয়া যায় না। ভারতবর্ষের প্রভাব ছিল সমগ্র পূর্ব উত্তর ও পূর্ব দক্ষিণে। এছাড়াও মধ্য এশিয়ায়। দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত ভারতের অনন্যতার আলোচনা এ প্রবন্ধে সম্ভব নয়। কৌতুহলীরা India’s contribution to World thought and culture. (Vivekananda Rock Memorial কর্তৃক ১৯৬১ সালে প্রকাশিত), পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ প্রণীত প্রাচীন ভারতের সভ্যতার ইতিহাস, এই লেখক প্রণীত ভারতের প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাস (দুটি বই তুহিনা পাবলিশার্স, কলকাতা) পড়ে নিতে পারেন। পড়ে নিলে নিজেকে হিন্দু এবং ভারতীয় ভেবে গর্ববোধ করবেন। অর্বাচীন থাকবেন না। ফ্যাশনিস্টদের প্রবর্তিত কোনো ফ্যাশনও আপনাকে প্রভাবিত করতে পারবে না। হিন্দু ও হিন্দুত্বের নিন্দাবাদীরা সবসময় যে সভাবে, আপন বিশ্বাসের ভিত্তিতে নিন্দা করেন তা নয়। শোনা যায়, এবং বিশ্বাস করার কারণ আছে যে জর্জ সরোস এবং তার মতো যারা আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী এবং যারা প্যান ইসলামিক প্রভাবান্বিত, তারা (ব্যক্তি, সংবাদমাধ্যম, সাংবাদিক, বিদ্বমূল প্রমুখ) অর্থের বিনিময়ে এই কাজটি করেন—যে গাছের ডালে বসে আছেন সেই গাছটিই কর্তনের কাজে রত থাকেন। এঁরা কখনও বিশ্লেষণ করে দেখাতে ও প্রমাণ করতে পারেননি যে, হিন্দু ও হিন্দুত্ব। নিন্দনীয় অথবা হিন্দুত্বের মধ্যে কোনো সাম্প্রদায়িকতা আছে। এরা কিছু কথা নিরন্তর বলে যান এবং ভাবেন এই কথাগুলি (অবশ্যই মিথ্যা) বারংবার বলতে থাকলে সাধারণের কাছে তাই-ই সত্য বলে মনে হবে।
হিটলারের নাৎসিপার্টির প্রচার প্রমুখ। গোয়েবলস্ এই রকমই বলেছিলেন—একই বিষয় যদি বারবার উচ্চারণ করা হয় এবং পুনরাবৃত্তিটি যদি যথেষ্ট মাত্রায় ঘটে, তবে জনগণের মনেও ঢুকিয়ে দেওয়া যায় যে, একটি চতুর্ভুজ আসলে একটি বৃত্ত।
আমরা ‘দশচক্রে ভগবান ভূত’ প্রবাদটি জানি। এছাড়া সেই গল্পটি যাতে ধূর্তরা ব্রাহ্মণকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছিল যে তার কাধের ছাগলটি একটি কুকুর।
পৃথিবীতে আমরা অনেকগুলি দেশেরই প্রাচীন সভ্যতা ও সংস্কৃতির কথা পড়েছি, মিউজিয়ামে দেখেওছি। গ্রিস, রোম, মিশর, মেসোপটেমিয়া (এখন বহুধা বিভক্ত) প্রভৃতি দেশ তাদের প্রাচীন সভ্যতা ও সংস্কৃতির সামান্যতম অংশও বর্তমানে অনুসরণ করে না। সেই সব দেশে খ্রিস্টান অথবা ইসলামের আক্রমণ ঘটেছিল। যে সব প্রাচীন দেশে খিস্টান আক্রমণ হয়েছিল সেই সব দেশ এখন এই দু’হাজার বছরের খ্রিস্টীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতিই অনুসরণ করে। এই সব দেশগুলির মধ্যে বিশেষভাবে মনে পড়ে গ্রিস ও রোমের কথা। আবার যে দেশগুলি ইসলামের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল–তারা ওই দেড়হাজার বছরের ইসলামি রীতিনীতি পালন করে চলে। এই দেশগুলির মধ্যে বিশেষ করে মিশর ও বর্তমানে বহুধাবিভক্ত মেসোপটেমিয়ার নাম মনে পড়ে। এইসব দেশের মানুষরা এখন তাদের প্রাচীন সভ্যতা ও সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পর্কহীন। আক্রমণকারীদের প্রদত্ত রীতিনীতি তারা গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে।
অপরদিকে ভারতবর্ষ ও ইসলাম ও খ্রিস্টানদের দ্বারা এবং অন্যান্য কিছু বিদেশি শক্তির দ্বারাও আক্রান্ত হয়েছিল। ইসলাম ও খ্রিস্টান শতশত বছর চেষ্টা করেছে ভারতবর্ষকে। ইসলামি দেশ বা খ্রিস্টান দেশে পরিণত করার। সেই ৩২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে বিদেশিরা ভারত আক্রমণ শুর করে। এই বিদেশি আক্রমণকারীদের অনেকেই ভারতীয় হয়ে গেলেও খ্রিস্টান ও ইসলামিরা ভারতীয় হয়ে যায়নি। শক, হুন এক দেহে লীন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু পাঠান মোগল কখনও নয়। তারা এদেশে বাস করে যাবতীয় সুযোগ সুবিধা পায়, ‘সংখ্যালঘু’নামে বিশেষ সুবিধা পায়। তবু এরা এদেশের সঙ্গে একাত্ম হতে পারেনি। সর্বদাই নিজেদের স্বতন্ত্রতা জাহির করতে থাকে। অন্যদের আক্রমণও করে নিজেদের উপাসনা পদ্ধতির শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে। খ্রিস্টানদের ক্ষেত্রে বর্তমানে বিষয়টি এতটা মারাত্মক না হলেও ইসলামিদের ক্ষেত্রে এই মারাত্মক মনোভাব সবসময়ই ছিল, এখনও আছে। এরা ভারতবর্ষকে নিজেদের পবিত্রভূমি ভাবে না। এক সময় এরা ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পৃথক দেশ গড়েছে ভারতেরই অংশে (১৯৪৭)। এখনও যারা আছে তাদের অনেকেই আবার ভারতের মধ্যেই আর একটা নিজেদের ধর্মীয় দেশ চাইছে।
ভারতীয় সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ধর্ম এই তিনের মহত্ত্ব এখানেই যে এই প্রাচীন দেশটি অদ্যাপিও তার নিজস্বতা বজায় রেখেছে, রেখে চলেছে। এটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র হিন্দু ও হিন্দুত্বের কারণে। ইসলামি ও খ্রিস্টানরা বাইরে থেকে এদেশে এসেছে। ভারতের হিন্দুরা বরাবরই এই ভৌগোলিক খণ্ডের অধিবাসী। ভারতবর্ষের যে অংশগুলি নিয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে, লক্ষ্য করে দেখুন, তারা নিজস্ব ভারতীয়তা হারিয়ে অন্যদেশীয় রীতিনীতি গ্রহণ করছে। ভারতের প্রাচীনত্ব ও ধারাবাহিকতা দুটিই আছে। উল্লিখিত অন্য দেশগুলির প্রাচীনত্ব আছে। ধারাবাহিকতা নাই।
শেষ ভাগে একটি গল্প বলব। গল্প’ বলছি বটে তবে এটা ঘটনা। অনেকের চোখ খুলে দিতে পারে যদি তারা অন্ধ না হয়ে থাকে বা জন্ডিস রোগগ্রস্ত না হয়ে থাকে। আমি যে শহরে থাকি সেখানে অনেকগুলি ছাগল ও মুরগির মাংসের দোকান আছে। প্রধানত গুমটি ঘর। আমি সেই দোকানদারদের একজনের দোকান থেকেই বারবার মাংস কিনে থাকি। সে প্রতিদিনই পাঁচ-ছয়টি ছাগল ভ্যান রিকশায় শুইয়ে দিয়ে বেঁধে নিয়ে আসে যাতে সেগুলি রিকশা থেকে পড়ে না যায়। ছাগলগুলি ভাবে হেঁটে হেঁটে পা ব্যথা হয়ে যায়, লোকটি কত ভালো মানুষ –রিকশায় করে নিয়ে যাচ্ছে—-আবার খাদ্য হিসাবে মুখের সামনে বটপাতার ডালও রেখেছে।
সে রিকশা থেকে নামিয়ে নিজের গুমটির সামনে ছাগলগুলি বেঁধে রাখে। তাদের মুখের সামনে বটপাতার ডাল ঝুলিয়ে রাখে
ছাগগুলি আরাম করে বটপাতা খায়। দোকানদারের প্রতি তাদের চোখে কৃতজ্ঞতা ঝরে পড়ে। এবার মাংস কেনার খরিদ্দাররা ভিড় করেছেন। তাদের পছন্দের একটি ছাগল সে জবাই করে। অন্য ছাগলগুলি নির্বিকারে বটপাতাই খেতে থাকে। আবার একটি ছাগল জবাই করে। বাকি ছাগলগুলি একইভাবে বটপাতা খেতে থাকে। এখনও নির্বিকার। এক এক করে খরিদ্দারদের চাহিদামতো সে সবগুলি ছাগল জবাই করল। সর্বশেষ ছাগলটিও আগের মতো মনের সুখে নির্বিকার ভাবে বটপাতাই খাচ্ছিল। সঙ্গীগুলি যে কোথায় গেল তা নিয়ে কোনো হেলদোল ছিল না। দিনের শেষে দোকানদার সেই শেষ ছাগলটির মুখ থেকে বটাপাতা সরিয়ে দিয়ে তাকেও জবাই করল।
ভারতবর্ষের গৌরব এদেশের মূল অধিবাসী হিন্দুরা বটপাতা খাওয়া ছাগল ছিলেন না। তারা নিজেদের ধর্ম ও সংস্কৃতি রক্ষায় বীরের মতো যুদ্ধ করেছেন, আক্রমণকারী বিদেশি শক্তির বিরুদ্ধে প্রাণ দিয়েও নিজস্বতা রক্ষা করেছেন। আমরা তাঁদেরই উত্তরাধিকারী। ধর্ম ও সংস্কৃতির এই বীর যোদ্ধারা না থাকলে আমরাও কোনো খ্রিস্ট বা ইসলামি দেশের নাগরিক হয়ে যেতাম।
সেই আলেকজান্ডারের সময় থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৩০০ বছর ধরে ভারতীয় হিন্দুরা স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছেন- ধর্মীয় স্বাধীনতা, সভ্যতা ও সংস্কৃতির স্বাধীনতা। এবং সেই যুদ্ধে তারা শতভাগ সফল। আমরাই তার প্রমাণ। রাজনৈতিক স্বাধীনতা হয়তো অনেক। সময় ধরে ছিল না। পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ আছে যে দেশ ২৩০০ বছর ধরে ধর্ম ও সংস্কৃতির স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছে এবং সফল হয়েছে? এটা সম্ভব হয়েছে ভারতের সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের কারণে। সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছে হাজার হাজার বছর ধরে।
অর্থ, যশ ও প্রতিপত্তির লোভে আজ যে হিন্দুরা বটপাতা খেয়ে চলেছেন—তারা জানবেন যে প্রয়োজনে তাদের জবাই-ই করা হবে, রিকশায় চাপানো হবে না, বটপাতাও কেড়ে নেওয়া হবে। হিন্দু ধর্ম আবর্তিত ধর্ম, প্রবর্তিত নয়। হিন্দু ধর্মে কোনো বিশেষ ব্যক্তি, বিশেষ গ্রন্থ ও বিশেষ উপাসনা পদ্ধতি নির্ভর নয়। এই ধর্মের কোনো প্রবর্তক বিশেষ ব্যক্তি নেই, কোনো একটি বিশেষ ধর্মগ্রন্থও নেই, নেই কোনো বিশেষ উপাসনা পদ্ধতি। এটি যেমন গভীর, তেমনই বিশাল। এর নিন্দা করা মূঢ়তা।
অমলেশ মিশ্র