নমাজ পড়তে ঢাকতে পারেন মাথা কিন্তু কপালে টিকা নিতে অস্বীকার, ভিডিও পোস্ট করে মমতার ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন সুকান্তর

আবারও একবার মু্খ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, নমাজ পড়তে গিয়ে অবলীলায় মাথা ঢাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু অসুবিধা কপালে টিকা নিতে।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যে ভিডিও শেয়ার করেছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি অনুষ্ঠান স্থলে ঢুকছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে শুভ রীতি অনুযায়ী তাঁকে কপালের টিকা লাগাতে এগিয়ে যান এক মহিলা। কিন্তু তিনি দ্রুত তার কাছ থেকে মাথা সরিয়ে নেন। এমনকি তিনি হাত তুলে না করার ভঙ্গিতে টিকা দিতে বারণ করেন। বোঝাতে চান দরকার নেই।

এই ভিডিও পোস্ট করে, সুকান্ত লিখেছেন তৃণমূল সুপ্রিম লম্বা চওড়া বক্তব্য রাখেন তার নিজস্ব ব্র্যান্ড ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে। সম্মানীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু নমাজের সময় মাথায় ঢাকা দিতে পারেন কিন্তু টিকা নিতে পারেন না। তবে এটাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। তিনি রাজবংশীদের সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্যকে অপমান করেছেন। (যদিও এই ভিডিও’র সত্যতা যাচাই করেনি আমাদের ভারত)।

ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করেছেন সুকান্ত। আর তারপর থেকেই নানা মন্তব্য করা হয়েছে ওই পোস্টে। কেউ লিখেছেন গেরুয়া তিলকে কেমন বিজেপি বিজেপি গন্ধ আছে। শিবাজী শিবাজী ব্যাপার আছে। ওসব কপালে পড়লে রাষ্ট্রবাদী রোগ হয়ে যেতে পারে, তাহলে কি করে পশ্চিম বাংলাদেশ বানাবেন? আর প্রধানমন্ত্রী হবেন?

একদিকে তিলক না কাটতে দেওয়া অন্যদিকে নামাজের সময় মাথায় ঢাকা দেওয়া। এ দুই বিষয়কে তুলে ধরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।

তবে সম্প্রতি মমতার একটি বেঁফাস মন্তব্য বিতর্ক বাড়িয়েছে। তিনি বলেছেন আমার এক হাত যদি হিন্দু তবে আরেক হাত মুসলমান। আমার একটা পা যদি হয় আমার রাজবংশী আর একটা পায়ে আমি চলি, তাদেরকে দেখে নমস্কার করি সেটা হচ্ছে মতুয়া।

মমতার ঐ বক্তব্যের পরেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মতুয়া ও রাজবংশী উভয়েই। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এপ্রসঙ্গে বলেছেন, যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া যায় বিভিন্ন সম্প্রদায় কতটা প্রিয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সেটা বোঝাতে গিয়ে উনি দেহের বিভিন্ন অংশ বিশেষের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন, তাহলে কাউকে প্রশংসা করার জন্য নয়নের মণি, হৃদয় অথবা কর্মঠ বাহুর সঙ্গে তুলনা টানা হয়। কখনো শুনেছেন কাউকে পায়ের সাথে, নখের সাথে তুলনা করতে? কেউ তা করেন না কারণ সেটা অপমানের সামিল বলেই তা গণ্য হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.