ফের রাজ্য সফরে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সোমবার সাড়ে ১২টা নাগাদ উত্তর ২৪পরগনার বনগাঁ স্টেশনসংলগ্ন আরএস মাঠে সভা করলেন যোগী।এদিনের সভাথেকে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি।পাশাপাশি বেকারত্বের জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান তিনি। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন না বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীশান্তনু ঠাকুর। তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
নির্বাচনের আগে প্রচারে ব্যস্ত সব দল।প্রতিপক্ষকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও রাজি নন কেউ।সেই কারণে, রাজ্যের সবকটিলোকসভা কেন্দ্রে চুটিয়ে প্রচার চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। সোমবার বনগাঁয় প্রচার সারলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এদিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ বনগাঁ স্টেশন সংলগ্ন সভাস্থলে পৌঁছান তিনি।সেখান থেকে মোদি সরকারের প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা সকলের সামনে তুলে ধরেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের উন্নয়ন ও বাংলার উন্নয়নের ব্যবধান প্রসঙ্গে তৃণমূলকে বিঁধলেন যোগী। সভা থেকে তিনি বলেন, ‘পরবর্তী দিনে নিজেরা ভাল থাকতে চাইলে, সব সুযোগ সুবিধা চাইলে, সর্বোপরি কৃষকদের স্বার্থে বিজেপিকেই ভোট দিতে হবে।’
সভামঞ্চ থেকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন তিনি।এ রাজ্যের বেকারত্বের সমস্যার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই দোষারোপ করেন যোগী।তাঁর কথায়, ‘মোদিজী যতবার রাজ্যে উন্নয়ন আনতে চেয়েছেন, ততবার সেখানে বাধা দিয়েছেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যতবার শিল্প আনার চেষ্টা করাহয়েছে, প্রতিক্ষেত্রেই তিনিই সমস্যা তৈরি করেছেন। সেই কারণেই উত্তরপ্রদেশএগিয়ে গিয়েছে, আর বাংলা আজ বেকারত্বের অসুখে ভুগছে। কারণ, রাজ্যে নতুন শিল্প আসতে পারেনি, ফলে চাকরি পাচ্ছে না যুব সমাজ।’
তবে, এদিনের সভা থেকে ফের প্রকাশ্যে এল বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের ছবি। জানা গিয়েছে,এদিনের আদিত্যনাথের সভায় ছিলেন না বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। যদিও এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে সভায় উপস্থিত হতে
পারেননি বিজেপি প্রার্থী।তবে তার এই অনুপস্থিতির পিছনে অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণ কেই দায়ী করছেন রাজনৈতিক মহল।