জল্পনা সত্যি হল। বিজেপিতে যোগ দিলেন অভিনেয়া যশ দাশগুপ্ত। এছাড়াও টলিউডের একঝাঁক তারকা এদিন বিজেপিতে যোগ দিলেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পাপিয়া অধিকারি, সৌমিলি বিশ্বাস সহ আরও অনেকে।
এদিন সকাল থেকেই জল্পনা চলছিল বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত ও একাধিক তারকা। বিকেলে সেই সেই জল্পনা সত্যি প্রমাণিত হল। মিন্টো পার্কে এদিন বিজেপির আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে টলিউডের একঝাঁক তারকা বিজেপিতে যোগ দেন। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অঞ্জনা বসু, মুকুল রায়, স্বপন দাশগুপ্ত ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁদের উপস্থিতিতেই পাপিয়া অধিকারি, সৌমিলি বিশ্বাস সহ টলিপাড়া একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রী গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। বিজেপিতে যোগ দেন টলিউডের প্রথম সারির নায়ক যশ দাশগুপ্তও।
এদিন অনুষ্ঠানে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, স্বাধীনতার সময় বাংলা স্থান ছিল অনেক উঁচুতে। কিন্তু ধীরে ধীরে বাংলা সেই জায়গা হারাতে শুরু করে। বাংলা দেশকে অনেক দিয়েছে। কথা প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ রচিত জাতীয় সংগীত, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বন্দে মাতরম,স্লোগান ও বিবেকানন্দের আদর্শের কথা তুলে ধরেন তিনি। বিজেপি বাংলায় যে যাত্রা শুরু করেছে তা সত্তা পাওয়ার জন্য নয়। কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। কিন্তু এই রাজ্যে বিজেপি শুধু সরকার বানাতে চায় না। এদিন বক্তৃতায় বাংলায় কর্ম সংস্থানের কথাও বলেন তিনি।
বিজেপিতে যোগ দিয়ে যশ দাশগুপ্ত জানান, এই সিদ্ধান্ত তিনি হঠাৎ নেননি। বলেন, “বিজেপি এমন একটি দল যে সবসময় যুব সমাজকে সুযোগ দিয়েছে। যুব সমাজের উপর অনেকটা বিশ্বাস রেখেছে। তারা মনে করেছে যে যুবরা পরিবর্তন আনতে পারে। রাজনীতি শব্দটা এলেই আমরা ভাবি এটা খারাপ টার্ম। কিন্তু আমাদের সমাজে ছোট ছোট জিনিসে রাজনীতি কাজে আসে। বাড়িতে দুজন কাজের লোক থাকলেও তাদের মধ্যে রাজনীতি চলে কে তাদের মধ্যে প্রধান হবে। কিন্তু এটা রাজনীতি নয়। রাজনীতি মানে বদল। সিস্টেমের বাইরে থেকে কখনও এই পরিবর্তন আনা যায় না। যদি সিস্টেমের মধ্য়ে পরিবর্তন আনতে হয় হবে তার অংশ হতে হবে।”
যশের কথার প্রসঙ্গ টেনে এদিন অঞ্জনা বসু বলেন, “সিস্টেমের মধ্যে থেকেই পরিবর্তন করতে হয়। সেটা ভেবেই আমরা সবাই এই প্ল্যাটফর্মে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই পরিবর্তন আনার জন্য প্রত্যেককে আমরা সঙ্গে পাব। স্বপনদা, মুকুলদার মতো নেতারা আমাদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য গাইড করার জন্য আছেন। আমাদের এই রাজ্যে সব বিষয়ে রাজনীতি চলে আসে। সেটা চাকরি ক্ষেত্রে হোক, স্কুলে হোক, আর আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে তো সাংঘাতিকভাবে। এই রাজনীতিকরণটা সর্বাগ্রে বন্ধ হওয়া দরকার।” নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে অভিনেত্রী এদিন বলেন, তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তিনি যে ধারাবাহিকে অভিনয় করতেন সেটি বন্ধ হয়ে যায়। সেটির সেকেন্ড হায়েস্ট টিআরপি ছিল। সিরিয়াল বন্ধ হওয়ার কোনও কারণও জানানো হয়নি। তারপর থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাননি তিনি।
যশ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে তিনি এমন কখনই বলছেন না অন্য দল খারাপ। একে অপরের দিকে আঙুল তুললে কাজের কাজ কিছুই হবে না। কাজ দিয়েই প্রমাণ করতে হবে যে বাংলা আজ যা ভাবে দেশ কাল তা ভাবে। যশ এদিন এও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা রয়েছে। ওনার আশীর্বাদ নিয়েই তিনি এগিয়েছেন। তবে নুসরতের সঙ্গে এনিয়ে কথা হয়নি বলে জানান যশ। তবে তাঁদের রাজনৈতিক মতাদর্শ অভিনয় জীবনে প্রভাব ফেলবে না বলেই এদিন জানান যশ দাশগুপ্ত।