রাজ্যে ফের ধর্ষণ, ১১ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে গাছে ঝুলিয়ে দিয়ে গেল অপরাধীরা।

প্রথমে ধর্ষণ আর তারপর খুন। শুধু তাই নয়, খুনের পর মৃতদেহ লোপাট না করে সোজা দেহটিকে গাছের উপর ঝুলিয়ে রেখে গেল অপরাধী। ঘটনাটি ঘটার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

ঘটনাস্থান উত্তর দিনাজপুর। পরিবার সূত্রে খবর বছর এগারোর ওই নাবালিকা গত বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধার মেলেনি। এক সপ্তাহ পর অবশেষে আজ মাঠের পাশের একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় তার দেহ। প্রতিবেশীরা দেহটি দেখতে পেয়েই খবর দেয় পরিবারের সদস্যদের। ঘটনাস্থানে এসে উপস্থিত হন পরিবারের সদস্যরা।

তাদের অভিযোগ, ছোট মেয়েটিকে ধর্ষণ করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই অভিযোগ তুলে দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানও।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল পাঠায়। তবে গ্রামবাসী, পরিবার এমনকি পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকেও ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তুলে দ্রুত অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি তুলেছেন।

তবে ওই কিশোরী গত বৃহস্পতিবার থেকে কীভাবে নিখোঁজ হল, বা ঘটনার পেছনে কি রহস্য আছে তা খতিয়ে দেখতে তদন্তে পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগেই বাঁকুড়ায় এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। নির্যাতিতার ছেলে জানায়, কিছুদিন ধরেই তাঁর বাড়িতে কাজ করছিলেন রাজমিস্ত্রী। ঘরের কাজ বেশি থাকায় ওই রাজমিস্ত্রীকে সহযোগিতা করার জন্য একজন সহযোগীও কাজ করছিল সেখানে। এরপর সন্ধে নাগাদ বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সহযোগী ওই মিস্ত্রী বৃদ্ধার উপর এই নোংরা অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ। পরে নির্যাতিতার ছেলে বাড়িতে চলে আসায় সে বৃদ্ধাকে ছেড়ে দেয়। ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিষ্ণুপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতিতার ছেলে। ইতিমধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্তকে।

ঘটনার বিষয়ে নির্যাতিতার ছেলে বলেন, “আমাদের বাড়িতে কয়েকদিন ধরেই প্লাস্টারের কাজ চলছিল। রাজমিস্ত্রী ও তার সহযোগী কাজ করছিল বাড়িতে। গতকালও তার অন্যথা হয়নি। বিকেল নাগাদ আমি চা আনতে কিছুক্ষণের জন্য বাইরে যাই। ঘরে ফিরে আমি চমকে উঠি। আমার মা ও সহকারি রাজমিস্ত্রীকে অশালীন অবস্থায় দেখেই আমি পাড়ার ক্লাবে খবর দিই। পরে বিষ্ণুপুর থানায় অভিযোগ জানালে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.