ছোটবেলায় নোবেলা পাওয়ার কথা থাকলেও তা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাই প্রতিবাদে রবিবার সন্ধ্যায় হাওড়া ব্রিজের ৪ নম্বর পিলারের মাথায় উঠে পড়লেন এক মহিলা। তাঁকে নামাতে বেশ ভালই বেগ পেতে হল পুলিশ ও দমকলকে। প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় কোনওরকমে নামিয়ে তাকে নর্থ পোর্ট থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন। তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
ওই মহিলার কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁর নাম ডলি ঘোষ এবং তিনি উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের বাসিন্দা। তিনি নিজেকে স্কুলশিক্ষিকা বলে দাবি করলেও স্কুলের নাম বলতে পারেননি। তাঁর পরনে ছিল নীল কুর্তি, লাল লেগিংস ও লাল ওড়না। গোলাপি রঙের একটি ব্যাগ ওড়নার সঙ্গে বেঁধে রেখেছিলেন তিনি। তাকে হাওড়া ব্রিজের ৪ নম্বর পিলারে ওপরে দেখে অনেকেই ভিডিও করতে শুরু করেন। পরে সেগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
সেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি বলছেন, সারোগেসি বিষয়ে তাঁর গবেষণাপত্র নোবেল কমিটির দ্বারা চূড়ান্ত হয়েছিল। কিন্তু বয়স কম থাকার তখন তিনি পুরস্কার গ্রহণ করেননি।
তিনি নোবেল পেয়ে সেটা অমর্ত্য সেনের কাছে রাখতে দিয়েছিলেন। এখন সেই নোবেল তাঁকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। নোবেল প্রদানকারী কমিটিও এতে হস্তক্ষেপ করছে না। এভাবেই তার প্রতি অন্যায় অবিচার হচ্ছে।
তাঁর অনেকগুলি বাচ্চা আছে, যাদের রামকৃষ্ণ মিশনে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তাঁর দু’টি বাচ্চা নাকি অমর্ত্য সেনের কাছে আছে। অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও আছে। প্রথম দফায় নোবেলের টাকা দিয়ে তিনি বিবিসি ওয়ার্ল্ডের মতো একাধিক সংবাদমাধ্যম কিনেছিলেন।
পুলিশের দাবি, মহিলাকে দেখে সাধারণ কোনও ঘরেরই মনে হচ্ছে। ব্যক্তিগত জীবনে কোনও মারাত্মক মানসিক আঘাতে তাঁর এই পরিণতি হয়েছে। মহিলা অসংলগ্ন কথা বললেও কোনও অস্বাভাবিক আচরণ করেননি। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পাশাপাশি তাঁকে মনোবিদ দেখানো যায় কিনা, সেই বিষয়ে চেষ্টা করছে পুলিশ।