সিটি স্ক্যানের সময় রোগিণীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে আটক হলেন হাসপাতালের সিটিস্ক্যান বিভাগের এক কর্মী। সোমবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ চত্বরে।
রোগিণীর পরিবার পরিজনেদের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে সিটি স্ক্যান করাতে নিয়ে গেলে আমিদ শেখ নামে সিটিস্ক্যান বিভাগের টেকনিশিয়ান পদে কর্মরত এক ব্যক্তি শ্লীলতাহানি করে। সিটিস্ক্যানের সময় ইউনিটের বাইরে বের করে দেওয়া হয় রোগিণীর স্বামী ও পরিবারের সদস্যদের। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বাইরে বেরিয়ে আসেন ওই রোগিণী। তিনি জানান, তাঁর সম্মানহানি করেছেন হাসপাতালে কর্মরত ওই যুবক।
আচমকা রোগিণীর চিৎকারে স্বাভাবিক ভাবেই হাসপাতালে হুলুস্থুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এদিকে রোগিণীর আত্মীয়রা সিটি স্ক্যান বিভাগের ভিতরে যান। সেখানে মহিলা কাঁদতে কাঁদতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতেই উত্তেজনা তৈরি হয়। সূত্রের খবর, ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিটি স্ক্যান ইউনিটের টেকনিশিয়ান পদে কর্মরত রয়েছেন।
এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ এসে অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার পেছনে কী রহস্য রয়েছে তা উদঘাটন হোক, চাইছেন হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরাও। ওই ব্যক্তিকে জিঞ্জাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।
মৃত্যুঞ্জয় দাস নামে এক ব্যক্তির দাবি, এদিন তাঁর বন্ধুর স্ত্রীয়ের সিটি স্ক্যান করানোর জন্য এদিন হাসপাতালে আসেন তাঁরা। তাঁর কথায়, “সিটি স্ক্যানের সময় পরিজনদের সবাইকে বের করে দিয়ে গোপন জায়গায় হাত দেওয়া হয়েছে। বউদি চিৎকার করে বের হয়ে আসেন।” তাঁর অভিযোগ, তার পর থেকে ওই রোগিণী বারবার বলে যাচ্ছেন ‘ছেলেটা ভাল না’, ‘ছেলেটা ভাল না’।
তিনি আরও জানান, ওঁনার শরীর খারাপ বলে রোগিণী বাড়ি চলে যান। পরে পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় বলে জানান মৃত্যুঞ্জয়বাবু। তাঁর কথায়, “আজ ওঁনার সঙ্গে হয়েছে। কাল অন্য় কারও সঙ্গে এমন ঘৃণ্য কাজ করতে পারে ও। তাই অভিযুক্তের কড়া শাস্তি দাবি করছি।”
এদিকে এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। যেহেতু পুরো বিষয়টি এখন পুলিশ দেখছে, তাই তাঁরা এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না।