দেশজুড়ে চলছে করোনার দ্বিতীয় পর্বের টিকাকরণ অভিযান। টিকাকরণের এই পর্বে ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ নাগরিক ও ৪৫ বছরের উপরের বয়সী যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে তাঁদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। দেশের অন্যান্য অংশের পাশাপাশি করোনার দ্বিতীয় পর্বের টিকাকরণ অভিযান চলছে কলকাতাতেও। কলকাতায় আরও ৫০টি টিকাকরণ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। সব মিলিয়ে কলকাতায় ৯৮টি করোনা টিকাকরণ কেন্দ্র চালু রয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, কেন্দ্রের কো-উইন অ্যাপের সমস্যার জেরে টিকাকরণ কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে করোনার টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়। টিকাকরণের প্রথম পর্বে দেশের ৩ কোটি ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারকে টিকা দেওয়া হয়। এই পর্বে চিকিৎসক, নার্স-সহ সব স্বাস্থ্যকর্মী ও দেশের নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের টিকা দেওয়া হয়েছে। তারপর দিন কয়েক আগে থেকেই দেশে শুরু হয়ে গিয়েছে করোনার দ্বিতীয় পর্বের টিকাকরণ অভিযান।
টিকাকরণের এই পর্বে ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ নাগরিক ও ৪৫ বছরের উপরের বয়সী যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে তাঁদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। কলকাতা শহরেও টিকাকরণ কেন্দ্র চালু রয়েছে। দ্বিতীয় পর্বের টিকাকরণে যাঁরা বিবেচিত হচ্ছেন তাঁদের টিকাকেন্দ্র থকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। কলকাতা শহর ছাড়া জেলাগুলিতেও একইভাবে চালু করা হয়েছে টিকাকরণ কেন্দ্র।
স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘রাজ্য জুড়ে ৫ হাজার টিকাকেন্দ্র তৈরির সক্ষমতা রয়েছে আমাদের। তবে কো-উইন অ্যাপে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে আমরা আমাদের ইচ্ছে মতো করোনার টিকাকরণ কেন্দ্র চালু করা যাচ্ছে না।’’ কলকাতা পুরনিগমের প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কলকাতা শহরের ৬০টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনার টিকাকরণ চলছে।
ইতিমধ্যেই সেই টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে সাড়ে ৩ হাজার প্রবীণ নাগরিককে টিকা দেওয়া হয়েছে। ৬০ বছরের বেশি বয়সী যে কোনও ব্যক্তি সচিত্র পরিচয়পত্র বা বয়সের যে কোনও প্রমাণপত্র নিয়ে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে যেতে পারেন। সেখানেই তাঁদের নাম নতিভুক্ত করা হবে। নাম রেজিস্ট্রেশনের পর তাঁদের টিকা দেওয়া হবে। ৪৫ বছরের উপরে যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে তাঁরাও টিকা নিতে পারবেন। তবে তাঁদের অসুস্থতার জন্য মেডিকেল সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।