ইতিমধ্যে ‘লাভ জেহাদ’ বন্ধের জন্য আইন করেছে বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্য। শুক্রবার অসমে ভোটের প্রচারে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ফের এই রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে লাভ জেহাদ তো বটেই সেই সঙ্গে ল্যান্ড জেহাদ বন্ধের জন্যও আইন করবে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ক্ষমতায় এলে প্রতিটি ‘নামঘর’-এর উন্নয়নের জন্য খরচ করা হবে আড়াই লক্ষ টাকা।
অমিত শাহ দাবি করেন, অসমে আর সন্ত্রাসবাদ নেই। আন্দোলনও নেই। বন্যাও বন্ধ করা গিয়েছে। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, ২০২২ সালের মধ্যে প্রতিটি ব্লকে বিএড কলেজ তৈরি করা হবে। দু’লক্ষ সরকারি স্কুল তৈরি হবে। ৮ লক্ষ প্রাইভেট চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে।
অসমে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার জন্য মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালের নেতৃত্বে লড়াই করছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ বেশ কয়েকবার জনসভা করেছেন অসমে। আগামী ২৭ মার্চ ও ৬ এপ্রিল সেখানে ভোট হবে।
অসম বিধানসভায় বিজেপির আসন সংখ্যা ৬০। তারা সেখানে একক বৃহত্তম দল। তার জোটসঙ্গী অসম গণ পরিষদের আছে ১৩ টি আসন। বিরোধী কংগ্রেস জোট বেঁধেছে তার একসময়কার প্রবল প্রতিপক্ষ এআইইউডিএফের সঙ্গে। এছাড়া আঞ্চলিক গণ মোর্চা এবং তিনটি বামপন্থী দলও তাদের জোটে আছে।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্য আরও দু’টি রাজনৈতিক দল তৈরি হয়েছে অসমে। তাদের নাম অসম জাতীয় পরিষদ এবং রাইজোর দল। আসুর প্রাক্তন সদস্যরা অসম জাতীয় পরিষদ তৈরি করেছেন। রাইজোর দল তৈরি করেছেন অখিল গগৈ নামে এক নেতার অনুগামীরা। ওই দু’টি দলও এবার বিধানসভা ভোটে লড়বে।
ভোটের আগে বিজেপি জোট ছেড়েছে বড়োল্যান্ড পিপলস পার্টি। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা হাগরামা মহিলারি জানিয়েছেন, তাঁরা এবার কংগ্রেস জোটে যোগ দিচ্ছেন। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, “অসমে শান্তি, ঐক্য ও উন্নয়নের জন্য এবং দুর্নীতি দূর করার লক্ষ্যে আমরা কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মহাজোটে যোগ দিচ্ছি।” পরে তিনি লিখেছেন, বিপিএফ আর বিজেপির বন্ধু নয়। অসমে আগামী বিধানসভা ভোটে আমাদের দল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মহাজোটের হয়ে লড়াই করবে।
বিপিএফ তৈরি হয় ২০০৫ সালে। কোকরাঝোড় জেলায় ওই দলের অনেক সমর্থক আছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ১২৬ টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে বিপিএফ পেয়েছিল ১২ টি। সর্বানন্দ সোনওয়ালের মন্ত্রিসভায় ওই দলের তিন মন্ত্রী আছেন। কিন্তু গত বছরের শেষের দিকে বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের নির্বাচনের সময় বিজেপি বিপিএফের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করেনি। কাউন্সিলে গরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য তারা অপর একটি দলের সঙ্গে জোট করেছিল।