এলাকা দখল করা নিয়ে একাধিকবার নাম জড়িয়েছে শাসকদলের। আবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃতি। এক আশা কর্মী ও দুই কলেজ ছাত্রীকে মারধর সঙ্গে তাঁদের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
মালদার রতুয়ার ঘটনা। দুষ্কৃতীদের হামলায় গুরুতর জখম হয়েছেন তাঁরা। বর্তমানে মালদা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন তিনজন। ঘটনায় হামলাকারী মীর আইয়ুব আলী, মীর একলাখ এবং মীর আজম সহ তার দলবলের বিরুদ্ধে রতুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অসহায় মহিলা। সেই অভিযোগের জেরে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। পাশাপাশি পুরো ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,আহত মহিলা পেশায় আশাকর্মী। তাঁর দুই মেয়ে রয়েছে। দু’জনই কলেজে পড়ছে। তারা কলেজের প্রথমবর্ষের ছাত্রী। তাদের উপরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি এবং লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আক্রান্ত মহিলা পুলিশকে অভিযোগে জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে তার স্বামী মারা গিয়েছেন। তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি রয়েছে। সেটি তার প্রতিবেশী মীর আইয়ুব আলী এবং তার দলবল দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে । বাড়ির সামনে কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের এই জায়গা দখলের প্রতিবাদ তারা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছিলেন। কিন্তু পরিবারে কোনও পুরুষ না থাকায়, তাদের দুই মেয়ের উপর নানা ভাবে অত্যাচার চালিয়ে আসছিল অভিযুক্তেরা।
এরপর হঠাৎই অভিযুক্ত ও তার দুই ছেলে দলবল নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। জায়গা দখলের কথা বলে তাদেরকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনার পর মহিলাদের আর্ত চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। তখনই অভিযুক্তরা এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় মা এবং দুই মেয়েকে চিকিৎসার আনা হয় মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।