কেন বিপর্যয়, জানতে চাইলেন অমিত শাহ

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে বিজেপি-র বিপর্যয় হলো কেন? তার কারণ জানতে চেয়েছেন অমিত শাহ। রবিবার দুপুরে এই কথা জানিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। রবিবার ভোট গণনাপর্ব চলার সময়েই কার্যত কৈলাস বিজয়বর্গীয় মেনে নিয়েছেন বিধানসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র ভরাডুবি হয়েছে।

পাশাপাশি, টালিগঞ্জে বাবুল সুপ্রিয় এবং চুঁচুড়ায় লকেট চট্টোপাধ্যায়, হাবড়ায় রাহুল সিনহা-র পিছিয়ে থাকার ঘটনাকে ‘আশ্চর্যজনক’ বলেনও কৈলাস বিজয়বর্গীয় মন্তব্য করেছেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানান, ভোটের পূর্ণাঙ্গ ফল পাওয়ার পর বিজেপি নেতৃত্বে তা নিয়ে পর্যালোচনা করবে। বাংলার মানুষ হয়তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চান, এটা আমাদের বিশ্লেষণ করতে হবে।

বিধানসভা ভোটের প্রচারপর্বে রাজ্যে এসে একাধিক বার ২০০ আসনে জেতার দাবি করে গেছেন বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । কিন্তু ভোটগণনার গতিপ্রকৃতির ইঙ্গিত দিচ্ছে ১০০ আসনেও পশ্চিমবঙ্গে জিততে পারবে না বিজেপি। যদিও ৩ বছর আগে লোকসভা ভোটে অনেকটাই হিসেব মিলিয়েছিলেন অমিত শাহ। ২০১৯-এর রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের অর্ধেক আসনে জেতার দাবি করেছিলেন তিনি। বিজেপি জিতেছিল ১৮টিতে।

তবে এর আগে দিল্লি সহ দেশের বহু রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে অমিত শাহের ভবিষ্যৎবাণী মেলেনি। তাই অমিত শাহ যখন বলছিলেন ২০০-র বেশি আসন নিয়ে বিজেপি রাজ্যে জিতবেন তখন একটা প্রশ্ন উঠছিল রাজনৈতিক মহলে। শেষ পর্যন্ত সেই প্রশ্নই বাস্তব হতে চলেছে। আর এই ফলকে বিজেপি তাদের পরাজয় বলেই মেনে নিয়েছেন।

আসলে বিজেপি এর রাজ্যে নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে আসা সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রীদের দলে জায়গা দিয়ে সঠিক কাজ করেনি বলে বিজেপি-র একটি অংশ বলছেন। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, “নব্য বিজেপি, যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা এবং তাদের গুরুত্ব দিয়ে প্রার্থী করা এই পরাজয়ের কারণ হতে পারে।” এদিকে বিজেপি-র আরও এক নেতা সায়ন্তন বসু বলেছেন, “মানুষ যখন আমাদের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন তখন বুঝতে হবে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর ভরসা রেখেছেন। তা ছাড়া বিজেপি-র প্রার্থী নির্বাচন সঠিক নাও হতে পারে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.