আরামবাগে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় “অসহিষ্ণুতা গ্যাং” চুপ কেন? রবিবার আরামবাগে বিজেপি কর্মী কাশীনাথ ঘোষের মৃত্যুর ঘটনায় টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেন এই বিজেপি নেতা। সেই সঙ্গে তিনি খোঁচা দেন প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে চিঠি লেখা বিদ্বজ্জনেদের।
মুকুলের প্রশ্ন, বিরোধী দলের সদস্যরা খুন হলে কেন চুপ করে থাকেন “অসহিষ্ণুতা গ্যাং”য়ের সদস্যরা? যে কথাটি মুকুল এদিন টুইটে না লিখেও বোঝাতে চেয়েছেন, তা হল এই বিদ্বজ্জনেরা কেবলমাত্র একপক্ষ নিয়ে কথা বলে বিজেপিকে দেশের অস্থির পরিস্থিতির জন্য দায়ী করছেন। যা কোনওভাবেই কাম্য নয়।
প্রকৃত বিদ্বজ্জনদের উচিত নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ করা। তাই তিনি “ইন্টলারেনট গ্যাং” বলে নিজের টুইটে কটাক্ষ করেছেন ওই বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের।
প্রসঙ্গত, দিন দুয়েক আগেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৪৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশ্যে চিঠি লেখেন। তাতে উল্লেখ করেন ক্রমবর্ধমান বেড়ে যাওয়া গণপিটুনির ঘটনা থেকে শুরু করে “জয় শ্রীরাম” ধ্বনি দিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘু তথা দলিতদের আক্রমন করার বিষয়গুলি। যদিও তারপর নরেন্দ্র মোদীপন্থী ৬২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা চিঠি দিয়ে ওই বিশিষ্টজনদের সমালোচনা করেন।
ঘটনাচক্রে সমালোচিত ওই বিশিষ্টজনেদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, অনুপম রায়, ঋদ্ধি সেন, রুপম ইসলাম প্রমূখ। কিন্তু মুকুল এদিন প্রশ্ন তুলেছেন ধারাবাহিকভাবে বাংলায় বিরোধী দলের কর্মীরা খুন হয়ে যাওয়ার পরও যারা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে চিঠি লিখেছিলেন, তারা নীরব কেন? তাঁর টুইটে কারও নাম উল্লেখ করা না থাকলেও, টুইটের নিশানা যে কারা তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি।