করোনা নিয়ে ফের সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল এদিন হুঁশিয়ারি দেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এখন ও শেষ হয়নি। তাই দেশগুলি লকডাউন তুলে দিয়ে খুব ভুল করছে। লকডাউন তুলে দেওয়ার অর্থ করোনাকে স্বাগত জানানো।
হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেডরস অ্যাডানম ঘিব্রিইয়েসাস এদিন বলেন যত বেশি করোনার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে কোনও দেশ, তত বেশি লকডাউন তুলে নেওয়া হোক। তবে তার আগে নয়। যেসব দেশ করোনার সংক্রমণ শেষ ভেবে লকডাউন তুলে নিচ্ছে, তা সঠিক পদ্ধতি নয়। করোনার পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে পদক্ষেপ নিতে হবে।
জেনেভায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন আপাত দৃষ্টিতে এই বিষয়টা কঠিন, এইভাবে ব্যালেন্স রেখে চলা যায় না। কিন্তু মানুষের জীবনের কথা ভেবে তা করতে হবে। চারটি বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন হু প্রধান। তিনি বলেছে প্রথমে কোনও ব্যক্তি বা সমষ্টিকে চারটি বিষয় মেনে চলতে হবে। প্রতিরোধ করা, রক্ষা করা, খুঁজে বের করা ও চিকিৎসা করা।
উল্লেখ্য দিন কয়েক আগেই জানা যায়, কোভিড-১৯ অতিমারির ‘গ্রাউন্ড জিরো’ উহানে খুলে যাচ্ছে স্কুল এবং কিন্ডারগার্ডেন। পয়লা সেপ্টেম্বর থেকেই স্কুল-কিন্ডারগার্ডেন খুলে যাবে বলেই জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। শহরের প্রায় ২৮৪২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দরজা খুলে যাচ্ছে। ১.৪ মিলিয়ন ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রতিষ্ঠান খুলেই পরীক্ষা শুরু হবে। উহান বিশ্ববিদ্যালয় সোমবার খুলে গিয়েছে।
জরুরি অবস্থায় পড়াশোনা অনলাইনে শুরু করা হয়েছিল। তবে পরিস্থিতি সাপেক্ষে তা আবার পরিবর্তন করা হচ্ছে। সকলকে মাস্ক পরে স্কুল যাওয়া এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্টেশনকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
এদিকে, শুধু করোনা ভাইরাস নয়, বাতাসে ভেসে বেড়ায় আরও অনেক ব্যাকটিরিয়া, টক্সিন। আর সেইসব এয়ারবোর্ন ব্যাকটিরিয়া ও ভাইরাসকে চিহ্নিত করার জন্য এবার নতুন ডিভাইস নিয়ে এল রাশিয়া।
ইতিমধ্যেই ভ্যাক্সিন তৈরি করে সাড়া ফেলেছে মস্কো। আর এরই মধ্যে করোনা ভাইরাস খুঁজতে নয়া প্রযুক্তি এনে ফেলল সেই দেশ। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ডিভাইসের নাম “Detector Bio”. Army ২০২০ নামে মস্কোতে এক বিশেষ প্রদর্শণীতে সেই ডিভাইস দেখানো হয়েছে। Zenit ক্যামেরা প্রস্তুতকারী সংস্থা KMZ ফ্যাক্টরি এই ডিভাইস প্রদর্শন করেছে।