২০২১-এর ছক অনেক দিন আগেই কষতে শুরু করেছিল গেরুয়া শিবির। শনিবার তারই প্রতিফলন। অমিত শাহের সভায় ধরা পড়ল সেই ছবি।
প্রত্যাশিত হলেও শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজ্যবাসীর কাছে অবশ্যই একটা চমক। এদিন শুভেন্দু সহ ৭ তৃণমূল বিধায়ক, ২ বাম বিধায়ক ও এক কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে নাম লেখালেন।
অমিত শাহের মেদিনীপুরের সভায় যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী, বনশ্রী মাইতি, বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, সুকরা মুণ্ডা, সৈকত পাঁজা, শীলভদ্র দত্ত, দীপালি বিশ্বাস, তাপসী মণ্ডল, অশোক দিন্দা ও সুদীপ মুখোপাধ্যায়।
শুধু বিধায়ক নয়, বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল, প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ দশরথ তিরকে, প্রাক্তন বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, পুরশুড়ার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক পারভেজ রহমান ও গঙ্গারামপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
শনিবার মেদিনীপুরে বিজেপির সভার সময় খোলা চিঠি প্রকাশ করেন শুভেন্দু।
তৃণমূলের দীর্ঘদিনের সৈনিক তথা নন্দীগ্রাম আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা শুভেন্দুর দলবদল যে রাতারাতি নেওয়া কোনও সিদ্ধান্ত নয়, সেটা পরিস্কার। তবে কেন এমন সিদ্ধান্ত?
এদিন চিঠিতে তিনি যা লিখেছেন তা মোটামুটি এরকম, ‘গত ১০ বছরে কোনও পরিবর্তন হয়নি। আমাদের প্রিয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ একটা কঠিন সন্ধিক্ষনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ২০২১-এ রাজ্যবাসীকে একটা পথ বেছে নিতেই হবে, যার প্রভাব পড়বে গোটা বাংলায়।’ অর্থাৎ চিঠির শুরুতেই রাজ্যের পালাবদলের ইঙ্গিত দিতে চেয়েছেন তিনি।
তাঁর কথায়, ‘জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চলেছি।’ তাই তার আগে এই চিঠি দিলেন তিনি।
আক্ষেপ করে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘১০ বছরে কোনও পরিবর্তন হয়নি। দলে ব্যক্তিগত স্বার্থ প্রাধান্য পেয়েছে। যারা পার্টি তৈরি করেছে, তারা গুরুত্ব পায়নি।’ তাঁর বার্তা, রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ১০ বছর পর দুয়ারে সরকারর মত প্রকল্প কেন নিতে হচ্ছে, তা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, মানুষকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এদিকে, তৃণমূলের ঘরে বড়সড় ভাঙন ধরানোই লক্ষ্য বিজেপির। অমিত শাহের সভার দিকে গাড়ি লাইন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ছয় বিধায়কের নাম সামনে এসেছে। শুধু বিধায়ক নয়, রয়েছেন সাংসদ, প্রাক্তন সাংসদও।