ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জের। রাজ্যের উপকূল(costal) ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল জুড়ে চলছে নাগাড়ে বৃষ্টি(rain)। এমনটাই দেখা যাচ্ছে হাওয়া অফিসের (IMD) তথ্যে। সঙ্গে কলকাতাতেও(kolkata) চলছে বৃষ্টি। লাগোয়া হাওড়াতেও (howrah) হচ্ছে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি(scattered heavy rain)।
দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলা জুড়েই বৃষ্টি শুরু হয়েছে সোমবার থেকেই। পূর্বাভাস মতোই ক্রমে ক্রমে তা বেড়েছে। ক্ষণিকের জন্য সূর্যের দেখা মিলেছে। নিমেষেই হারিয়েছে আলো। মেঘের রাশি ঘিরে ফেলেছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিকে। আজ বুধবার কিছুক্ষন বাদে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। এমত অবস্থায় বৃষ্টির তেজ বাড়ছে। বেড়েছে হাওয়ার বেগ।
শেষ আপডেট অনুযায়ী দিঘায় ৫০.৩ মিলিমিটার, ডায়মন্ড হারবারে ২০.১ মিলিমিটার ও হলদিয়ায় ১০.৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বালাসোর যেখানে ঝড় আছড়ে পড়বে সেখানে ৪০.৫, ২২০.৯ ও পারদ্বীপে ১৮০.৯, ভুবনেশ্বরে ৩০ ও পুরিতে ২০.১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আজ সকাল পর্যন্ত ১১.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যথারীতি সকাল থেকেই মেঘে ঢাকা আকাশ। আজ দিনভর বৃষ্টি হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতায়।
বৃষ্টির জেরে মঙ্গলবারের তুলনায় আরও কমেছে তাপমাত্রা(temperature)। বুধবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি কম। আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯৫ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৭৯ শতাংশ।
মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯৫ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৭২ শতাংশ।
“ইয়াস” আসছে, শোনার পর থেকেই কলকাতার (kolkata) মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। ২০ মে-র এসেছিল আমফান। শহরকে এক কথায় লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেছিল সুপার সাইক্লোন আমফান(amphan)। “ইয়াস” আসছে, এর খবর জানার পর কলকাতার মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছিল। একে করোনা তার ওপর আবার ইয়াস। এই দুইয়ের অভিঘাতে কলকাতার মানুষ নাজেহাল হয়ে পড়েছিল।
সোমবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, “পশ্চিমবঙ্গ নয়, ওডিশায় আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Yaas Cyclone) । বুধবার দুপুরে বুধবার দুপুরে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রূপে ইয়াস ওড়িশার পারাদ্বীপ ও পশ্চিমবঙ্গের দিঘার মধ্যে ওড়িশার বালেশ্বরের (Balasore) কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে। তার পরে ঝাড়খণ্ডের দিকে এগিয়ে যাবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরে (East Midnapur) সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে। তার পর প্রভাব পর্বে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) উপকূলের জেলায়। তার পর প্রভাব পড়বে ঝাড়গ্রামে।” তাই কলকাতায় তেমন বড় কিছু হবে না।