একদিকে করোনা একদিকে আমফান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে দুটিকে সামাল দিচ্ছেন এজন্য বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল।
বুধবার জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদ ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতি (Ajit Maiti)।
তিনি বলেন , উনি যেখানের সাংসদ সেখানকার মানুষ করোনা পরিস্থিতির কারণে লকডাউনে কি অবস্থায় রয়েছেন, পরিযায়ী শ্রমিকরা কি অবস্থায় রয়েছেন, আমফানের ঝড়ে ওঁনার সাংসদ এলাকার এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে, কত বাড়ি ভেঙ্গে গেছে। ঝড়ে গাছ পড়ে কোথায় কোথায় বিদ্যুৎ খুঁটি উপড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল উনি সে সবের কোনো খোঁজখবর রাখেননি। শুধু মাত্র বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কুৎসা আর সমালোচনা করে বেড়াচ্ছেন।
জেলার ক্ষেত্রেও বিজেপি নেতা কর্মীরা মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করতে বাধা দিচ্ছেন। ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন। কেউ ত্রিপল পেলে রাতের অন্ধকারে সেখানে তান্ডব চালাচ্ছে। তৃণমূল নেতা কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে।
অজিতবাবুর অভিযোগ, তাঁরা সমস্ত ঘটনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং রাজ্য যুব সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জিকে জানিয়েছেন।
লক ডাউনের প্রথম দিন থেকে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এই জেলার তৃণমূল নেতা, কর্মী, বিধায়করা ১৫০০ কুইনট্যাল চাল, ১২০০ কুইনট্যাল আলু, ১৫০ কুইনট্যাল ডাল অসহায় মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন। প্রতিদিন জেলা জুড়ে ২০০০ মানুষকে রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে, যা এখনো চলছে।
৮১৫০ টি পিপিই কিট চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের দেওয়া হয়েছে। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফিরতে যাতে কোনো সমস্যা না হয় এজন্য রাতদিন স্টেশনে রয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা।
অজিতবাবুর প্রশ্ন ঘাটালের সাংসদ দেব ওরফে দীপক অধিকারী দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ছুটে আসতে পারেন অথচ মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ এলাকার মানুষের কাছে আসেন না।
উনি শুধু বাংলা আর বাঙালিকে অপদস্থ করতে পারেন।
এসবই তাঁরা মানুষের সামনে তুলে ধরবেন