রাজ্যজুড়ে করোনার দাপট। আগামিকাল থেকে রাজ্যের সব স্কুল বন্ধ। এগিয়ে আনা হল গরমের ছুটি। স্কুলে আসতে হবে না শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি বিপজ্জনক আকার নেওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত সরকারের। পড়ুয়া, শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীদের সুরক্ষার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশিকা না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকছে বাংলায়।
ভোটের বাংলায় বেলাগাম সংক্রমণ। প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন এরাজ্যে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। সংক্রমণ মোকাবিলায় দিশেহারা রাজ্য সরকার। ঘোর উদ্বেগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর। রাজ্যে পর্যাপ্ত ওষুধ ও ভ্যাকসিন পাঠাতে আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর। করোনা আবহে কয়েকমাস আগে অন্য একাদিক রাজ্যের পাশাপাশি এরাজ্যে খুলে যায় স্কুল। তবে কেবলমাত্র নবম, দশম ও একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের নিয়েই চলছিল স্কুলগুলি। করোনার সংক্রমণ এড়াতে কোভিড প্রোটোকল মেনেই এতদিন স্কুল চলছিল রাজ্যে।
তবে বর্তমানে পের রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে স্কুল চালু রেখে বিপদ বাড়াতে চায় না সরকার। সেই কারণেই তড়িঘড়ি স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নবান্নের। আগামিকাল থেকেই রাজ্যের সব স্কুল বন্ধের নির্দেশ। এগিয়ে আনা হল গরমের ছুটি। স্কুলে আসতে হবে না শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও।
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। গত বছরের চেয়েও করোনা আর ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে এবার। নির্বাচনের বাংলায় করোনার সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল দশা চিকিৎসক, নার্স-সহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের। রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে বেডের আকাল। আইসিইউ, অক্সিজেনের জোগান সীমিত।
প্রতিদিন নতুন করে হাজার-হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ঘোর উদ্বেগে চিকিৎসক মহল। এমনটা আর কয়েকদিন চলতে থাকলে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো পুরোপুরি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন কেউ-কেউ। করোনার সেকেন্ড ওয়েভে বেসামাল বাংলা। হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। চিন্তায় ঘুম উড়ছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। একদিনে ফের ৮ হাজার ৪১৯ জন এরাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯২৭ জন। রাজ্যে সবথেকে বেশি সংক্রমিত হচ্ছেন কলকাতার বাসিন্দারা।