চলতি বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়া উচিত কি উচিত নয়, তা নিয়ে প্রবল দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে শিক্ষামহলের অন্দরেই। কয়েক দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ঘোষণা করেছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের তারিখ। কিন্তু তার পরেই আইসিএসই এবং সিবিএসই বোর্ড দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করার পরে ফের দ্বন্দ্বের মুখে পড়ে শিক্ষা দফতর।
এবার এ বিষয়ে স্থির সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করেছে সরকার। তাঁরা সবদিক বিবেচনা করে, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে, তিনটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রথমত, এই কোভিড আবহে মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা আদৌ হওয়া উচিত কিনা, দ্বিতীয়ত, যদি হয় তাহলে তা কীভাবে নিরাপদে নেওয়া সম্ভব, তৃতীয়ত, যদি না হয় তবে মূল্যায়ন হবে কোন পদ্ধতিতে।
কমিটি গড়ার পাশাপাশি, এবার এবিষয়ে সাধারণ মানুষের মতামতও জানতে চাইল রাজ্য সরকার। অভিভাবক, পড়ুয়া অথবা সাধারণ মানুষ মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়া না হওয়া নিয়ে মতামত দিতে পারেন। আগামীকাল সোমবার ২টোর মধ্যে নিজেদের মত ইমেল করে জানাতে হবে। ইমেল আইডিগুলি হল: [email protected], [email protected] এবং [email protected]।
এদিন এই বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা হওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে টুইট করে লেখেন, “আমাদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণেই আমরা একটি এক্সপার্ট কমিটি গড়েছি, ক্লাস ১০-১২র বোর্ড পরীক্ষা কী হবে তাই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। এবার আমরা ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, সাধারণ মানুষেরও মতামত চাইছি সমস্ত ক্ষেত্র থেকে।”
২০২১-এর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে ইতিমধ্যেই স্কুল শিক্ষা দফতরে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ছয় সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেই রিপোর্টই যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও। নবান্ন সূত্রের খবর, মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়তো বাতিলও হয়ে যেতে পারে ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে। সেক্ষেত্রে নবম ও দশম শ্রেণির মার্চ মাসের ইন্টারনাল পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতেই পরীক্ষার্থীদের মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করা হতে পারে। উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে কী হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা আরও বেশি।
এখন আগামীকালের মধ্যে কত মানুষের কী কী মতামত জমা পড়ে, সেটাও দেখার বিষয়।