গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও রেল মন্ত্রক যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিক, তীর্থযাত্রী ও ছাত্রছাত্রীদের নিজ নিজ রাজ্যে ফেরানোর। জানানো হয়, প্রত্যেক রাজ্যে এক্ষেত্রে একজন করে নোডাল অফিসার নিয়োগ করবে। সেই নোডাল অফিসার মারফত আটকে থাকা মানুষজনকে ফেরানোর কাজ শুরু হবে। কিন্তু শনিবার লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) অভিযোগ করেছেন, সবাই উদ্যোগ করে আটকে থাকা শ্রমিক পর্যটকসহ ছাত্র-ছাত্রীদের ফেরানোর উদ্যোগ নিলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার এক্ষেত্রে উদাসীন। যাকে নোডল অফিসার করা হয়েছে তিনি ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসে আছেন বলেও অভিযোগ তাঁর।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার এল স্বরাষ্ট্র ও রেলমন্ত্রক মিলে তেলেঙ্গানা থেকে ঝাড়খন্ডে ১২০০ জন শ্রমিককে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। তারপরে উদ্যোগ শুরু করেন লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী। দু’দফায় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের (Piyush Goel) সঙ্গে কথা বলে রাজ্য আটকে থাকা পশ্চিমবঙ্গবাসীর জন্য ট্রেনের বন্দোবস্ত করেন তিনি। এদিন তিনি অভিযোগ করেন, ওড়িশা থেকে তিনি জেনেছেন পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকদের ফেরাতে এখনও উদ্যোগ শুরু করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার (Mamata Banerjee Govt.)। অধীরের দাবি, ওড়িশা সরকারকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিয়োজিত নোডাল অফিসার জানিয়েছেন, আটকে থাকা পশ্চিমবঙ্গবাসীকে ফেরাতে এখনই ফেরাতে পারছে না তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার এই কাজের জন্য নোডাল অফিসার নিয়োগ করেছে পি বি সালেমকে। বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদদের অভিযোগ, যে সমস্ত আটকে থাকা মানুষজন নূন্যতম আশার আলো দেখতে শুরু করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বদান্যতার কারণে তারা এখন ঘোর অন্ধকার দেখছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার যদি তাদের ফেরাতে অপারগ হন তাহলে বিরোধী দলের সাংসদ হিসেবে তাঁকে বিষয়টি জানান। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলে ভিন রাজ্যে আটকে থাকা মানুষজনকে প্রয়োজনে তিনি ফেরার বন্দোবস্ত করবেন।