নাইট কার্ফু না মানলে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে জেলা প্রশাসনকে। শনিবার জেলাশাসকদের এমনই নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। এখন রাজ্য সরকারের জারি করা বিধিনিষেধ অনুযায়ী, রাত ৯টার পরে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। সকাল ৫টা পর্যন্ত জারি থাকবে এই নিয়ম। এ বার কেউ সেটা না মানলে জেলা প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। মোটা অঙ্কের জরিমানাও চালু করা হতে পারে।
গত ১৪ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নতুন নির্দেশিকা চালু করেছেন, তাতে রাজ্য সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিলেও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সব কিছু বন্ধ রাখার নিয়ম এখনও বজায় রাখার কথা বলে হয়েছে। কিন্তু তা যথাযথ মানা হচ্ছে না বলেই মনে করছে নবান্ন।
শনিবার এ নিয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী একটি বৈঠক করেন। সেখানে রাজ্যের সব জেলাশাসক এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা ছিলেন। সেই বৈঠকেই বলা হয়েছে, নাইট কার্ফু মানায় বাধ্য করতে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে প্রশাসনকে। বিধি না মানলে জরিমানাও চালু করতে হবে। রাজ্যের সর্বত্র নাকা চেকিং আরও কঠোর করারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
নবান্ন সূত্রে খবর, করোনার তৃতীয় ঢেউ রাজ্যে আসার আগে থেকেই কী ভাবে সতর্ক থাকা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয় শনিবারের বৈঠকে। সেখানেই সর্বত্র নিয়ম মেনে দোকান, বাজার খোলা হচ্ছে কি না, নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে কেউ দোকান খুলে রাখছেন কি না, সে সব দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। খেয়াল রাখতে হবে সবর্ত্র রাজ্য সরকারের ঠিক করে দেওয়া গাইডলাইন যথাযথ ভাবে মেনে চলা হচ্ছে কি না।
শুধু কড়া পদক্ষেপ করাই নয়, জেলায় জেলায় সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজ চালিয়ে যেতে হবে বলেও নবান্নের পক্ষে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় স্তরে ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে নিয়মিত আলাপ আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। যাঁরা নিয়ম মানছেন না, তাঁদের সতর্ক করার কাজে ওই সব সংগঠনকেও কাজে লাগাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এ ছাড়াও নবান্ন ঘোষিত বিধিনিষেধ এবং নাইট কার্ফু সম্পর্কে মাইক নিয়ে প্রচার চালিয়ে যেতে হবে।