দ্য ওয়াল ব্যুরো: দুপুরে টুইট করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কথা বলেছিলেন, রাতে টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি উড়িয়ে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
মঙ্গলবার নবান্ন থেকে বেরনোর সময় জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাবেন। কিন্তু চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবিধানিক অনুষ্ঠানে বিজেপি রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। টুইটে তিনি লেখেন, “শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান গণতন্ত্রের মহতি উদযাপন। রাজনীতির স্বার্থে কেউ যেন তার মর্যাদা খাটো না করে।” বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। নরেন্দ্র মোদীজি আমার ইচ্ছা ছিল ‘সাংবিধানিক আমন্ত্রণকে’ গ্রহণ করে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার। কিন্তু আমি কিছু মিডিয়া রিপোর্ট পাচ্ছি যে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বাংলার থেকে ৫৪ টি পরিবারকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যারা নাকি বাংলায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসের স্বীকার হয়েছে। আমি জোর গলায় বলছি যে বাংলায় কোন রাজনৈতিক খুন হয়নি। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁরা হয় কোনও পারিবারিক অশান্তিতে অথবা অন্য কোনও কারণে মারা গিয়ে থাকতে পারেন। এ রাজ্যে কোন রাজনৈতিক সন্ত্রাস হয় না।”
This moment of glory and pride for “BJP-Paschim Banga” has been made possible by the heroic sacrifices of our brave “Karyakarta Martyrs”.
Let us solemnly remember our fallen heroes with heart felt gratitude. pic.twitter.com/HZlsVDPiwU— Dilip Ghosh (@DilipGhoshBJP) May 29, 2019
কয়েক ঘণ্টার মধ্যে টুইট করে বিজেপি-র শহিদ তালিকা দিলেন দিলীপ। উত্তর দিনাজপুর থেকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, ঝাড়গ্রাম থেকে পুরুলিয়া, একেবারে জেলা জেলা ধরে তালিকা। সেই সঙ্গে দিলীপবাবুর এ-ও জানিয়েছেন, নিহতদের পরিবার থেকে কারা মোদীর শপথে উপস্থিত থাকবেন। সেই তালিকায় যেমন নাম রয়েছে গতবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর পুরুলিয়ার বলরামপুরে নিহত দুই বিজেপি কর্মী ত্রিলোচন মাহাতো এবং দুলাল কুমারের, তেমনই নাম রয়েছে গত তিনদিন আগে কাঁকিনাড়ায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত তরুণ বিজেপি কর্মী চন্দন সাউ-এর। নামের তালিকা দিয়ে দিলীপবাবু লিখেছেন, “এঁদের আত্মত্যাগের জন্যই বাংলায় এটা সম্ভব হয়েছে।”
দুপুরেই মেদিনীপুরের সাংসদ বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন বলেই দিল্লি আসছেন না। রাতে একেবারে তালিকা দিয়ে দিলেন।