রাজ্যে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য বন্ধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবিতে এবার রাজ্যজুড়ে গণ-অবস্থানে বসছে প্রদেশ কংগ্রেস। ২৪শে জুন, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে এই বিক্ষোভ কর্মসূচী৷প্রতিটা জেলায় মাসব্যাপী এই কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে বলে বিধানভবন জানিয়েছে৷
লোকসভা নির্বাচন মিটে গেলেও হিংসা মিটছে না রাজ্যে। ভোটের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। সম্প্রতি বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সন্দেশখালিতে বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন তিন জন। তাদের মধ্যে দু’জন বিজেপি কর্মী ও একজন তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করা হয়েছে। এরমধ্যেই অগ্নিগর্ভ ভাটপাড়া৷ সেখানে বোমা-গুলির লড়াইয়ের দুই নিরীহ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে৷এই পরিস্থিতির জন্য বিজেপি ও তৃণমূল দু’দলকেই দায়ী করছে প্রদেশ কংগ্রেস।
এই হানাহানি বন্ধের দাবিতে ১৪ তারিখ গাঁধীমূর্তির নীচে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অবস্থানে বসেছিলেন সোমেনবাবুরা। পরেরদিন প্রদেশ কর্মসমিতির বৈঠকে ঠিক হয়, রাজ্যের যা পরিস্থিতি তাতে দলকে আরও বেশি করে ময়দানে লড়াই করতে হবে৷ এরপরই জেলায় জেলায় ধর্ণা কর্মসূচী ঘোষণা করেন প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্র৷
সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই অবস্থান চলবে৷ ২৪শে জুন উত্তর কলকাতায় ডেপুটি কমিশনারের দফতরের বাইরে অবস্থানে বসবে কংগ্রেস৷ ২৫শে জুন দক্ষিণ ২৪ পরগণায় বারুইপুরের এসডিও অফিসের সামনে,২৬ তারিখ হাজরা মোড়ে ও ২৭ তারিখ বারাকপুর রেলগেটের সামনে ধর্ণা কর্মসূচী রয়েছে কংগ্রেসের৷বাকি জেলাগুলির ক্ষেত্রে এখনও দিন ঠিক হয়নি বলে বিধানভবনের তরফে জানানো হয়েছে৷
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের বক্তব্য, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও রাজ্যের তৃণমূল সরকার এই রাজ্যের সর্বনাশের খেলায় নেমেছে। এই ধরণের ভোট পরবর্তি হিংসা আগে দেখা যায়নি। এমনকী মানুষের মধ্যের ব্যক্তিগত গন্ডগোলকেও রাজনৈতিক রং লাগানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, এ সবের ফলে আখেরে ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। কংগ্রেসের অভিযোগ, সাধারণ মানুষের কাছে এত বন্দুক, বোমা আসছে কোথা থেকে? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক পুলিশ জেলা বানাচ্ছেন। কিন্তু তারপরেও কেন সন্ত্রাস থামছে না?