হাওড়া পুর-বিল আটকে দেওয়ার পর এবার রাজ্যের পুরভোট নিয়ে সুর চড়ালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মঙ্গলবার তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। সেখানে রাজ্যের সব পুরসভার ভোট একসঙ্গে করানোর কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি, কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পরামর্শ দেন তিনি। কমিশনকে চিঠি দিয়ে সতর্কও করলেন রাজ্যকে।
নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকে রাজ্যপাল তাঁকে কমিশনের ক্ষমতা কথা মনে করিয়ে দেন। বৈঠকের পর টুইট করেও সেকথা জানিয়েছেন রাজ্যপাল। ধনখড় নির্বাচন কনমিশনারকে জানিয়েছেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারের কোনও সংস্থা নয়। এটি একটি স্বাধীন সংস্থা। তাই তাকে স্বাধীনভাবে, পক্ষপাত মুক্ত হয়ে কাজ করতে হবে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মতোই রাজ্য নির্বাচন কমিশনেও স্বাধীন ক্ষমতা রয়েছে। এনিয়ে নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠিও দিয়েছেন রাজ্যপাল।
কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনার তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কোনও অবস্থাতেই যেন রাজ্য সরকারের হয়ে কাজ না করেন। অর্থাৎ তাঁকে নিরপেক্ষ ভাবে চলতে হবে। রাজ্য সরকারের শাখা সংগঠন হিসেবে কাজ না করেন।
বিরোধীরা বরাবরই বলে আসছে রাজ্যের সব পুরসভার ভোট একসঙ্গে হোক। সূত্রের খবর, রাজ্যপালও একই কথা বলেছেন। কমিশনের যুক্তি ছিল সব পুরসভার ভোট একসঙ্গে হয়ে যতগুলি ইভিএমের প্রয়োজন হবে তা কমিশনের হাতে নেই। পাশাপাশি এতে টিকাকরণেও বাধার সৃষ্টি হবে।
এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টে হওয়া এক জনস্বার্থ মামলায় রাজ্য সরকার আদালতে জানিয়েছে ১৯ ডিসেম্বর হাওড়া ও কলকাতা পুরসভায় ভোট করাতে চায় রাজ্য সরকার। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে হাওড়া পুরসভাকে নিয়ে। হাওড়া পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডকে বালি পুরসভায় জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে একটি বিলও রাজ্য বিধানসভায় পাস করিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই বিলে এখনও সাক্ষর করেননি রাজ্যপাল। ফলে হাওড়া পুরসভার ভোট কবে হবে তা নির্ভর করছে রাজ্যপালের উপরেই। রাজ্যপাল ওই বিলটির ব্যাপারের বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়েছে। এমতাবল্থায় হাওড়ায় পুরভোট না করানো গেলে কলকাতা পুরসভার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিতে পারে সরকার।