পুরভোটের আর ৪ দিন বাকি। করোনা বিধি মেনেই তাই পুরোদমে চলছে প্রচার। এই পরিস্থিতিতে, বেহালার ১২০ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির হোর্ডিং, পতাকা ছেড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায়, থানায় লিখিত অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি, নির্বাচন কমিশনেও অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি প্রার্থী উজ্জ্বল বড়াল।
১২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী উজ্জ্বল বড়াল অভিযোগ করে বলেন, “তৃণমূলের বর্তমান কো-অর্ডিনেটর বুঝে গিয়েছেন তাঁর শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই কী করবেন বুঝতে না পেরে এমন কাজ করছেন। তৃণমূলের লোক রাতের অন্ধকারে আমাদের অন্তত ৫০ টা হোর্ডিং ছিড়েছে, নষ্ট করেছে। পতাকাও বাদ রাখেনি।” তাঁর আরও সংযোজন, “সাধারণ মানুষ তো তৃণমূলকে আর মানছে না, ওয়ার্ডের লোকেরাই বলাবলি করছেন, তৃণমূল নেত্রী তা বুঝে গিয়েছেন। তাই ভয় পেয়ে এসব করছেন। কিন্তু, এসব করে মানুষর মনে জায়গা পাওয়া যায় না।” দলের হোর্ডিং ছেড়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেহালা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি।
যদিও, তৃণমূলের তরফে এই ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাঁরা ফোন ধরেননি। কলকাতা পৌরনিগমের ১৩ নম্বর বোরোর অন্তর্গত ১২০ নম্বর ওয়ার্ড। বেহালা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এই ওয়ার্ডটিতে ২০০৫ সালে কাউন্সিলর হয়েছিলেন সুশান্ত ঘোষ। তখন অবশ্য তিনি কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন।
পরে ২০১০ সাল এবং ২০১৫ সাল – দুই বারের পৌরভোটেই এই ওয়ার্ডটি থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে কাউন্সিলর হন তৃণমূল প্রার্থী সুশান্ত ঘোষ। গতবারের পৌরনিগম নির্বাচনে তিনি পেয়েছিলেন ৭১৪৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাম প্রার্থী অরিন্দম ঝাঁ পেয়েছিলেন ৩২০৭ ভোট। বিজেপি প্রার্থী তপন কুমার ঘোষ পেয়েছিলেন ১৭৪৩ ভোট। আর কংগ্রেস প্রার্থী দেবাশিস ঘোষ পেয়েছিল ৩৯৫ ভোট।
আসন্ন কলকাতা পৌরভোটে তৃণমূল এখান থেকে আরও একবার প্রার্থী করেছে সুশান্ত ঘোষকে। বিজেপির পদ্ম প্রতীকে তৃণমূলকে টেক্কা দিতে তৈরি উজ্জ্বল বড়াল। কংগ্রেসের টিকিটে এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিশ্বনাথ দাস। আর বামেরা এখানে প্রার্থী করছে গৌতম অধিকারীকে।