রবীন্দ্রনাথের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানেই তাঁর বহু মত গ্রহণ করার বাণী লাঞ্ছিত হল বলে দাবি করলেন সম্পাদক-সাংবাদিক রন্তিদেব সেনগুপ্ত। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর সঙ্গে সুর মিলিয়ে প্রাক্তন উপাচার্য অচিন্ত্য বিশ্বাস প্রশ্ন করলেন, কোন অদ্ভুত কারণে নাগরিক আইনের সমর্থকদের ফ্যাসিস্ট বলে চিহ্ণিত করার চেষ্টা হচ্ছে? এটিকে মুক্তচিন্তার শেষের সেদিন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন দু’জনই।
সিএএ নিয়ে এক আলোচনাসভায় যোগ দিতে গিয়ে গতকাল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচ ঘন্টার ওপর বন্দী থাকেন রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। প্রতিষ্ঠানের পরিচালনমন্ডলির অন্যতম সদস্য অচিন্ত্যবাবু বলেন, বিশ্বভারতী আগে এ রকম দেখেনি।
মতের অমিল থাকলেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিধুভূষণ শাস্ত্রীকে ‘দেশিকোত্তম’ উপাধি দিতে দ্বিধা করেননি। প্রথাগত সংস্কৃতি থেকে কবিগুরুর ওই প্রতিষ্ঠান বিচ্যুত হচ্ছে দেখে খারাপ লাগছে। বিতর্কের মধ্যে দিয়েই অন্যের মতের ভালমন্দ বিচার করতে হবে। তা না করে তৈরি করা হচ্ছে গুন্ডামির পরিবেশ। অন্যের কথা শুনব না, যা বলছি আমি সেটাই মেনে নিতে হবে- এ রকম মানসিকতা ভয়ঙ্কর! বিরোধিতা করলেই হিটলারের সমর্থক বলে চিহ্ণিত করার চেষ্টা হচ্ছে, এ কী রকম সহিষ্ণুতা?
রন্তিদেব সেনগুপ্ত বলেন, রবীন্দ্রনাথ বহু মত গ্রহণের কথা বলতেন। কাল যারা ওখানে হামলা করল তারা কবিগুরুর আদর্শের বিরোধিতা করল। বাইরে থেকে অতি বাম কিছু লোক কাল এতে যোগ দিয়েছিল। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সত্তরের দশকের বিশৃঙ্খল পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে বামেরা।
এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্বভারতীর গতকালের ঘটনার ব্যাপারে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন ইন্ডিয়ান ইন্সটিট্যুট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির বরিষ্ঠ অধ্যাপক তথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিত্ চক্রবর্তী, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী নিশীথ দাস প্রমুখ।