করোনা (Covid-19) আক্রান্তের মুখ ও নাক থেকে বেরনো শ্বাস-প্রশ্বাস ও লালা থেকে অন্যরা সংক্রমিত (Infected) হয়ে পড়েন। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আজই বাড়ি বা অফিসের ভেন্টিলেশন (Ventilation) সিস্টেমকে উন্নত করুন। কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি নিয়ে নতুন একটি গাইডলাইন (Guideline) প্রকাশ করেছে। সেদিকে নজর রাখুন।
করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভে তোলপাড় দেশ। দেশজুড়ে হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। বাড়ছে মৃত্যু। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন বাড়ি বা কাজের জায়গার ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা নিয়ে। বদ্ধ জায়গায় ভাইরাসের দাপট বেশি। বদ্ধ কোনও জায়গায় দ্রুত ভাইরাস (Virus) একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে গিয়ে বাসা বাধতে পারে। সেই কারণেই করোনার সংক্রমণ এড়াতে খোলামেলা জায়গা রাখতে হবে।
যাতে সহজেই বাইরের হাওয়া ঘরে ঢুকতে পারে। বা ঘর থেকে হাওয়া যাতে বাইরে বেরোতে পারে। কেন্দ্রের ওই গাইডলাইনে আরও বলা হয়েছে, হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকেও অবশ্যই ঘরগুলিতে হাওয়া ঢোকা-বেরনোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। যে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালগুলিতে করোনার টিকাকরণ অভিযান চলছে, সেখানেও এই একই নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রের ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বাজে গন্ধ যেমন দূষণ ছড়ায় তেমনি বাইরের হাওয়া ঘরে ঢুকলেও করোনার সংক্রমণ এড়ানোর পক্ষে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। চলতি মাসের শুরুতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বদ্ধ ঘরে করোনাভাইরাসের সক্রিয় হয়ে ওঠার আশঙ্কা নিয়ে সতর্ক করেছিল।
করোনার সংক্রমণ এড়াতে কেন্দ্রের তরফে প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। ঘরের দরজা-জানলা বন্ধ থাকলে এগজস্ট ফ্যান (exhaust fans) চালিয়ে রাখা ভালো। ঘরের ভিতরে করোনার সংক্রমণ থেকে সর্বাধিক সুরক্ষার জন্য একটি পেডেস্টাল ফ্যানকে (pedestal fan) এগজস্ট ফ্যানের দিকে মুখ করে চালিয়ে দিন। এতে ঘরটি ভাইরাসের কবল থেকে অনেকটা মুক্ত হতে পারবে। যে বাড়িতে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা নেই সেখানে এগজস্ট ফ্যান বা জালিযুক্ত আউটলেট বসানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে।
করোনার সংক্রমণ এড়াতে বাড়ির দরজা-জানলা বেশিরভাগ সময় খোলা রাখা ভালো। বাড়িতে এগজস্ট ফ্যান লাগানো যেতে পারে। অফিস, অডিটোরিয়াম, শপিং মল ও অন্য ক্ষেত্রগুলিতে নিয়মিতভাবে ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা পরিস্কার করে রাখতে হবে।