বিকেল গড়িয়ে সন্ধে ও রাত হয়ে গেলেও উত্তেজনা এক ফোটাও কমেনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বরং, দফায় দফায় তা বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে চাপ নিতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস ও সহ-উপাচার্য প্রদীপ মিত্র।
দু’জনকেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন দু’জনের অবস্থাই স্থিতিশীল। রক্তচাপ জনিত সমস্যা রয়েছে। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই পড়ুয়াও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস৷ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি৷ তবে ব্যর্থ হন৷
অভিযোগ, তাঁর পরামর্শ উপেক্ষা করেই বাবুলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বামপন্থী ছাত্ররা৷ কিল, চড় মারা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে৷ ক্ষমা না চাইলে কোনও ভাবেই তিনি ক্যাম্পাস ছাড়বেন না বলে, সাফ জানিয়ে দেন বাবুল সুপ্রিয়৷ প্রচণ্ড ক্ষোভে ক্যাম্পাসের মধ্যেই অবস্থান শুরু করেন তিনি৷ জানা গিয়েছে, প্রচণ্ড ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস৷
কেবল বাবুল সুপ্রিয় নন, বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের হেনস্থার মুখে পড়েছেন ফ্যাশন ডিজাইনার তথা বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল৷ ঘটনার নিন্দা করে তিনি বলেন, ‘‘এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই আমিও পড়াশোনা করেছি৷ আজকের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দার৷ আমারও শাড়ি ধরে টানা হয়েছে, অকথ্য গালিগালাজ করা হয়েছে৷’’ বাবুলের বিরুদ্ধে পালটা মারধরের অভিযোগে সরব হয়েছে বামপন্থী ছাত্ররাও৷