করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসার অন্তত তিন মাস পর ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে, এদিন এমনটাই জানাল কেন্দ্র সরকার। শুধু তাই নয়, কোভিড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর যাঁরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রেও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভি কে পালের নেতৃত্বে ন্যাশানাল এক্সপার্ট গ্রুপ অন ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন করোনার টিকাকরণ বিষয়ে নতুন এই নিয়ম জারি করেছে। বলা হয়েছে, প্রথম ডোজ নেওয়ার পর কোভিডে আক্রান্ত হলে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজটি নিতেও অন্তত তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে। এযাবৎ এমন পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম ছিল না। ডাক্তাররা রোগীর জন্য দুই থেকে চার সপ্তাহের একটা সময়সীমা বেঁধে দিতেন।
Asha
দিন কয়েক আগেই কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যেকার সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছিল সিরাম ইনস্টিটিউট নির্মিত ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর নিতে হবে দ্বিতীয় ডোজ। এর আগে এই সময়সীমা ছিল ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ।
দেশে এমনিতেই ভ্যাকসিনের আকাল দেখা দিয়েছে। চাহিদার তুলনায় জোগান যথেষ্ট নয়, দাবি করেছে একাধিক রাজ্য। তার মাঝে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যেকার সময় বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। তিন মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এই সময়সীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্র সরকার। অনেকেই বলেছেন, টিকার জোগান নেই বলেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। দাবি উঠেছে অন্য সংস্থাকেও টিকা তৈরির বরাত দিক কেন্দ্র। তবে কোভিশিল্ড আর কোভ্যাকসিনের পাশাপাশি খুব শিগগিরই ভারতে রুশ টিকা স্পুটনিক ভি ব্যবহার শুরু হবে।