যোগীরাজ্যে বড় ঘোষণা, ১ মার্চ থেকে খুলে যাচ্ছে সব ক্লাস। অর্থাৎ মার্চ মাসের শুরু দিন থেকেই প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস চালু হচ্ছে। এছাড়া ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলে যাচ্ছে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির স্কুল। শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বেসিক শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ সতীশ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, ভারত সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিকে ধীরে ধীরে পড়ুয়াদের পড়ানোর জন্য ক্লাস শুরু হচ্ছে।
অন্যদিকে এ রাজ্যেও কোভিড বিধি মেনে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলতে চলেছে স্কুল। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় একথা জানিয়েছেন। তবে এখনই সব ক্লাস না, শুধুমাত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।
যেহেতু রাজ্যে দ্রুতহারে নীচের দিকে নামছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। ফলে ধীরে ধীরে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একটা অংশও চাইছে খোলা হোক স্কুল।
করোনা দাঁত বসানোর পর থেকে প্রায় ১০ মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলতে চলেছে স্কুল। ফলে স্কুল খোলা ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। কড়া নজর রাখা হবে স্যানিটাইজিং ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার ওপরে। ইতিমধ্যে কয়েকটি স্কুল স্যানিটাইজিং এর ব্যাপারে তৎপরতা শুরু হয়েছে।
অন্যান্য রাজ্যে ইতিমধ্যেই খুলে গিয়েছে স্কুল। মহারাষ্ট্রের থানে ও পুনে জেলায় যথাক্রমে ২৭ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল চালু হয়েছে। দুই জেলাতেই কঠোর ভাবে করোনভাইরাস সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনে চলতে বলা হয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে অন্ধ্রপ্রদেশে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে জানানো হয়েছে পড়ুয়াদের অভিভাবকের লিখিত সম্মতিতে ক্লাসে আসতে পারবে পড়ুয়ারা। নির্দেশিকা অনুসারে, প্রতিটি ক্লাসে ২০ জন পড়ুয়া থাকতে পারবেন। অন্যদিকে এই রাজ্যে নভেম্বরেই খুলে গেছে কলেজ।
১ ফেব্রুয়ারি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস চালু হয়েছে হরিয়ানায়। তবে অভিভাবকের লিখিত সম্মতিতে ক্লাসে আসতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। একই সঙ্গে পড়ুয়াদের চিকিৎসকের কাছ থেকে ফিট সার্টিফিকেট আনতে হচ্ছে।
১ ফেব্রুয়ারি থেকে তেলেঙ্গনায় কলেজ শুরু হয়েছে। ক্লাস ৯ থেকে ১২ এর ক্লাসও শুরু হবে ফেব্রুয়ারিতেই। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে হিমাচলপ্রদেশেও অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি অবধি ক্লাস পুনরায় চালু হয়েছে।