এর আগে এক নির্বাচনী সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘তুই’ বলে সম্মোধন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার পুরুলিয়ায় আরও এক কদম এগিয়ে যান তিনি। বলেন, মোদীর গালে গণতন্ত্রের থাপ্পড় মারতে চাই।
দিদির সেই মন্তব্যের পরই টুইট করে তাঁকে সতর্ক করতে চাইলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। সুষমা বলেন, সব সীমা ছাড়িয়ে গেছেন মমতা। অথচ ভবিষ্যতেও মমতাকে কিন্তু মোদীর সঙ্গে প্রশাসনিক কাজ করতে হতে পারে। তাই তিক্ততা এতোটা বাড়ানোও ঠিক না যে ভবিষ্যতে লজ্জিত হতে হয়।
বস্তুত বাংলায় লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে মোদী-মমতা শঠে শাঠ্যং চলছেই। বাংলায় ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন, “মমতা জমানায় ট্রিপল টি ছাড়া বাংলায় পাতাও নড়তে পারছে না। ট্রিপল টি হল – তৃণমূল, তোলাবাজি আর ট্যাক্স। গুণ্ডারাজ কায়েম হয়েছে বাংলায়।” তার প্রতিক্রিয়াতেই মঙ্গলবার মমতা বলেন,“আমার দলকে মোদী তোলাবাজ বলেছেন। আমি ওঁকে গণতন্ত্রের থাপ্পড় মারতে চাই।”
এর পরেই টুইট করেন বিদেশমন্ত্রী। সুষমা তাঁর টুইটারে বলেন, “মমতাজি, আজ আপনি সব সীমা লঙ্ঘন করে গেছেন ।আপনি আমাদের দেশের একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও মোদীজি প্রধানমন্ত্রী। তাই আমি উর্দু কবি বশির বদরের লেখা একটি কবিতার দুটি লাইন আপনাকে মনে করাচ্ছি” ওই উর্দু কবিতার অর্থ হল, চরম শত্রুতা করো কোনও ক্ষতি নেই, কিন্তু এটুকু মাথায় রেখো যে ভবিষ্যতে কোনও আবার বন্ধু হলে যেন লজ্জা পেতে না হয়।
এমনিতে বিজেপি-র রাজনীতিতে সুষমা মোদীর যে খুব প্রশংসক তা নয়। আবার সর্বভারতীয় রাজনীতিতে ভিন্ন মেরুতে থাকলেও মমতার ব্যাপারে আগে স্নেহশীল ছিলেন সুষমা। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠরা বলছেন, সুষমাজি রাজ-ধর্মের কথা স্মরণ করাতে চেয়েছেন মমতাকে। কারণ, রাজনীতিতে বিরোধিতা থাকবেই। কিন্তু ভাষার শালীনতা রক্ষা করাও কাম্য। এর পর যখন মমতাজি কুর্তা-মিষ্টি নিয়ে মোদীজির সঙ্গে দেখা করবেন, তখন দিদিরই লজ্জা হতে পারে।
যদিও তৃণমূলের নেতাদের বক্তব্য, মোদী বাংলায় এসে যে ভাষায় দিদির সমালোচনা করছেন তাও এক জন প্রধানমন্ত্রীর মুখে মানায় না। শব্দ চয়নের ব্যাপারে তাঁরও সতর্ক হওয়া উচিত।