শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ অগ্রাহ্য করে দক্ষিণ দিনাজপুরে রাতারাতি প্রাথমিকের দুই শিক্ষকের বদলি। লোকসভা নির্বাচনের আগে জেলার শিক্ষকদের বঞ্চিত করে আলিপুরদুয়ার থেকে দুই শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণ বালুরঘাটে। ক্ষোভে ফুঁসছেন জেলার শিক্ষক মহল। লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির। গোপন লেনদেনেই চলছে এমন কারসাজি দাবি শিক্ষক সংগঠন গুলির। জেলার শিক্ষকদের বঞ্চিত করে এমন বদলির প্রভাব ভোট বাক্সে যথেষ্টই পড়বে আশঙ্কা করছে তৃণমূল।
বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর স্কুল পরিদর্শক তেমন কিছু না বললেও, আলিপুরদুয়ারের স্কুল পরিদর্শক শ্যামল রায় জানিয়েছেন, রাজ্যের নির্দেশ পাওয়ার পরে তা কার্যকর করা হয়েছে।
জেলায় জেলায় প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক শিক্ষিকাদের বদলি নিয়ে তৈরি জটিলতা রয়েছে দীর্ঘদিনের। যে সমস্যা এড়াতে খোদ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এক নির্দেশিকা জারি করে বদলি প্রক্রিয়া বন্ধ রাখে। কিন্তু তারপরেও ভোটের মুখে আচমকা রাতারাতি আলিপুরদুয়ার থেকে দুই শিক্ষককে বদলি করে আনা হয় বালুরঘাটে। ফালাকাটার প্রাথমিক শিক্ষক সোমনাথ গোস্বামী বালুরঘাটের বোল্লা এবং আলিপুরদুয়ারের শিক্ষক তমোঘ্ন কিশোর সরকারের বদলি হয়েছে বাউলের একটি প্রাথমিক স্কুলে। যে খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুরের শিক্ষক মহলে। জেলার শিক্ষকদের ব্রাত্য রেখে কেন অন্য জেলা থেকে শিক্ষককে এনে এ জেলার স্কুলগুলোর শূন্যপদ পূরণ করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। বিষয়টি নিয়ে রহস্যের গন্ধ খুঁজছেন বিরোধী শিক্ষক সংগঠন গুলি। এদিকে এ ঘটনা নিয়ে গোপন আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তুলেছেন জেলার বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনগুলি।
নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির তরফে শঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, তাদের সংগঠন বদলির পক্ষে। তবে তার নিয়ম নীতি মেনে সঠিকভাবে করা হোক। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীই বদলি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। তার পরেও এই ধরনের বদলি অনৈতিক ও অসৎ উপায়ে হয়েছে।
তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের বালুরঘাট ব্লকের সভাপতি ব্রতীন রায় জানিয়েছেন, জেলার শিক্ষকদের দিয়েই স্কুলের শূন্য পদ পূরণ করা যেত। কিন্তু এখানে অন্য জেলা থেকে বদলি হয়ে আসায় ভোটের আগে শিক্ষক সংগঠন ও দলের ক্ষতি হবে। যার প্রভাব পড়বে ভোট ব্যাঙ্কেও। বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।