অন্ধ্রপ্রদেশ, পাঞ্জাব, গুজরাত ও অসম। এই চার রাজ্যে করোনা ভ্যাকসিন প্রোগ্রামের ড্রাই রান শুরু হচ্ছে সোমবার। করোনা ভ্যাকসিন মজুত রাখার জন্য কোল্ড স্টোরেজ ঠিকঠাক আছে কিনা, যথাসময়ে সব জায়গায় ভ্যাকসিন পাঠানো যাবে কিনা, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে কারও শরীরে যদি বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তখন কী করা যেতে পারে, সে সবই খতিয়ে দেখা হবে ড্রাই রানের সময়ে। ড্রাই রান চলবে দু’দিন। তারপর সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলি কেন্দ্রীয় সরকারকে জানাবে, তার ফলাফল কী হল। সেই অনুযায়ী দেশ জুড়ে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি তৈরি করবে মোদী সরকার।
প্রথম দফায় ৩০ কোটি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হবে বলে স্থির হয়েছে। টিকা দেওয়ার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ৭ হাজারের বেশি সরকারি অফিসার। মোট ২৩৬০ টি ট্রেনিং সেশনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশের স্বাস্থ্য কমিশনার কাটামানেনি ভাস্কর জানিয়েছেন, টিকাকরণের ড্রাই রান হবে কৃষ্ণা জেলায়। তাঁর কথায়, “এর ফলে বোঝা যাবে, আগামী দিনে ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় কোনও সমস্যা সৃষ্টি হবে কিনা। টিকাকরণ কী পদ্ধতিতে করা যাবে, তাও স্থির হবে ড্রাই রানের সময়।”
চারটি রাজ্যে কয়েকটি নির্দিষ্ট জায়গায় ড্রাই রান চালানো হবে। যাঁদের প্রথমে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, তাঁদের চিহ্নিত করার জন্য ‘কো-উইন’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। সেই অ্যাপ কতদূর কার্যকরী তা বোঝা যাবে ড্রাই রানের সময়। ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় যে অপারেশনাল গাইডলাইন মেনে চলতে হয়, তা ঠিকমতো মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে কিনা তাও বোঝা যাবে। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, টিকাকরণের জন্য অ্যাডভার্স ইভেন্ট ফলোয়িং ইমিউনাইজেশন প্যানেল নামে একটি সংস্থা তৈরি হয়েছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে ওই প্যানেল।
অন্ধ্রপ্রদেশের হেলথ কমিশনার বলেন, “ড্রাই রানের পরে স্টেট টাস্ক ফোর্সের জন্য রিপোর্ট তৈরি করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছেও একটি রিপোর্ট পাঠানো হবে।”
অসমে ড্রাই রান চালানো হবে শোনিতপুর ও নলবাড়ি জেলায়। ভ্যাকসিন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ঠিক সময়ে সব জায়গায় পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
ভারতে এখনও পর্যন্ত কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১০ হাজার মানুষ। মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৭ হাজার।