বিধাননগর ভোটের আগে বিস্ফোরণে কাঁপল সল্টলেক, চাঞ্চল্য এলাকায়। আহত দুই শিশু।

সল্টলেকের নয়াপট্টিতে বিস্ফোরণের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালের এই ঘটনায় দুই শিশু আহত হয়েছে। দু’জনই বিধাননগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিধাননগরে ভোট ঘোষণা হতেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই ডগ স্কোয়াড পৌঁছেছে ঘটনাস্থলে। এদিন সকালে একটি ডাস্টবিনে এই বিস্ফোরণ ঘটে। ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশের দাবি, ব্যাটারি ফেটে এই ঘটনা। বিস্ফোরণস্থলে পৌঁছন বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু।

আগামী ২২ জানুয়ারি বিধাননগর পুরনিগমে ভোট। সেই নির্বাচনের আগে এই ধরনের বিস্ফোরণ স্বভাবতই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে নয়াপট্টিতে। সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন কী ভাবে প্রকাশ্যে এই ধরনের বিস্ফোরণ ঘটল? ডাস্টবিনের কাছে বোমা রাখা মানে, কেউ সতর্কভাবেই তা রেখে গিয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। তাঁদের কথায়, ভোট ঘোষণা হতেই যদি এই পরিস্থিতি হয়, ভোটের দিন যত এগোবে বিপদ আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা।

এলাকাবাসীর কথায়, বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপট্টি এলাকার বেশ কিছু বাচ্চা খেলা করছিল। ডাস্টবিনের সামনে রোলের মতো কতগুলো জিনিস পড়েছিল। এক শিশু তা তুলে ছুঁড়ে মারতেই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। গোটা এলাকায় ধোঁয়ায় ভরে যায়।

এক প্রত্যক্ষদর্শী কবিতা সানা জানান, “দু’টো বাচ্চা গুরুতর জখম হয়েছে। একটা বাচ্চা মাথার একপাশ দিয়ে চুল পুরো পুড়ে কালো হয়েছে। আরেকজনের গালের পাশ দিয়ে লাল হয়ে গিয়েছে। ওরা এখানে খেলছিল। এখানে ময়লা ফেলা এখন বন্ধ। শুনলাম বুধবার দুই ভ্যান ময়লা কারা যেন ফেলে দিয়ে গিয়েছে। আমরা শব্দ শুনে ছুটে আসি। দেখি কালে ধোঁয়া চারপাশে ভরে গিয়েছে।”

এদিন যে শিশুরা নয়াপট্টির ওই এলাকায় খেলছিল, তার মধ্যেই একজন জানায়, “আমরা এখানে খেলছিলাম, একজন ওখান থেকে রোলের মতো একটা জিনিস ছুঁড়ে মারে। খুব জোরে শব্দ হয়। এরপরই দেখলাম চারদিকে ধোঁয়া।”

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী রঞ্জন রাজবংশী জানান, “আমি এখান দিয়ে যাচ্ছিলাম স্টিকারের মতো কী যেন দেখি কতগুলো বাচ্চা বের করছে ডাস্টবিন থেকে। আমিও একটা টেনে নিয়ে দেখতে যাই ভাল না খারাপ! হাতে নিতেই অন্য একটা বাচ্চা বলছে আমি ওটা নেব। এরই মধ্যে একটা বিস্ফোরণের শব্দ। বাচ্চাগুলোর খুব লেগেছে। একজন ছুটে বাড়ি চলে যায়। আরেকজন এখানেই বসে পড়ে। পোশাকও ছিঁড়ে গিয়েছে ওর। আমারও মুখ জ্বলছে। লোকজন ছুটে এল। আমাদের তো মনে হচ্ছে বোমা ছিল। এত জোর আওয়াজ। আর এত জ্বলছিল। মনে হল যেন আগুন মুখে এসে লেগেছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.