মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যই তৃণমূলের বিরুধ্যে ব্যবহার করে চায় বিজেপি। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তাঁর ৫০ মিনিটের ভাষণের বেশিরভাগটাও ছিল বিজেপি বিরোধিতা। কিন্তু, মমতার উৎকণ্ঠায় ধরা পড়েছে সমানতালে। রাজ্যে গেরুয়া শক্তির উত্থানকে নিয়ে তিনি চিন্তিত এবং দলের একাংশের আচরণে। যারপরনাই ক্ষুব্ধ – তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা উৎকণ্ঠা বা রাগ তাঁর বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই ঝরে পড়ছে। ৬ নম্বর মুরলিধর সেন লেনে বসে নোট নিয়েছেন বিজেপির ম্যানেজারের। মমতার কথাতেই তাঁকে আক্রমণ বানাবার ক্ষেত্র প্রস্তুত হচ্ছে।
রবিবার ২১ জুলাই মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ১৮ টা আসন পেয়ে এত …। মনে রাখবেন ওরা ৪২ তা পায়নি। তাই বলছে তৃণমূল নাকি নেই। চলে গিয়েছে। তৃণমূল যাওয়ার দল নয় আসার দল। মমতার এই বক্তব্য কেই হাতিয়ার করে এগিতে চায় বিজেপি। শীর্ষ নেতৃত্ব বলছে, গেরুয়া শিবিরের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে এই বক্তব্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বলছেন তৃণমূল যাওয়ার দল নয়। অর্থাৎ, এই রাজ্যে যে তৃণমূলের প্রভাব কমেছে তা তিনি একপ্রকার স্বীকার করে নিচ্ছেন। তাও আবার ২১ শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে।
সিপিএম এবং কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে মমতার বক্তব্য, যে দলে বসে আছেন সেই ডাল কাটবেন না। আপনারা বিজেপির বিরুধ্যে লড়াই করুন। তৃণমূলকে সমর্থন করার দরকার নেই। এই মন্তব্য নিয়ে রাজ্য বিজেপির ব্যাখ্যা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের জোটকে ভয় পাচ্ছেন। লোকসভা নির্বাচনে বাম কংগ্রেস ভোটের একটা বড় অংশই বিজেপিতে পড়েছে তা এখন ‘ওপেন সিক্রেট।’ এছাড়া বিধানসভায় বিজেপির বিরুধ্যে একযোগে লড়াই করার প্রস্তাবও খারিজ করেছে বাম-কংগ্রেস। এই অবস্থায় মমতার রাগ হওয়াটাই স্বাভাবিক। বিজেপি এই মন্তব্যের রাজনৈতিক ফায়দা নেবেই।
মুখ্যমন্ত্রী দলবদল ঠেকাতে বিশেষ চিন্তিত। তবে প্রদীপ ভট্টাচার্যের মতো কংগ্রেস নেতা তাকে কংগ্রেসের ১৬ জন বিধায়ককে ফেরত দিয়ে যেতে বলেছেন। আবার কাটমানি ইস্যুকে মহৎ বানাতে না পেরে কালো টাকা ইস্যু বানাতে হয়েছে মমতাকে। বিজেপি নেতাদের অনেকেই বলছেন, রাস্তার ধারে কাটমানি ফেরত পর্ব চলছে। যা মিডিয়ার মাধ্যমে সকলে দেখছে। কালো টাকার কথা বলে তা চাপা দেওয়া যাবে না।