প্রথম দু’দফার ভোট হয়ে যাওয়ার পর বিজেপি নেতা মুকুল রায় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছিলেন, “পাঁচে পাঁচ বিজেপি।” তারপর তৃতীয় দফায় আরও পাঁচটি আসনে ভোট হয়ে গিয়েছে বাংলায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা প্রেস ক্লাবে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বিজেপি রাজ্য সভাপতি আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে জানিয়ে দিলেন, “এই দশটায় তৃণমূলের বউনি হবে না।”
প্রথম দু’দফার পাঁচ আসনে ভোট হয়ে যাওয়ার পর যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “এখন আর বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ নয়। যে পাঁচটিতে ভোট হয়েছে সবকটিতেই তৃণমূল জিতবে। তাই এখন সাঁইত্রিশে সাঁইত্রিশ।” মমতাও দাবি করেছেন দশে দশ হচ্ছে। কিন্তু দিলীপবাবুর বক্তব্য, “ও সব কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর জন্য বলতে হয় বলছে। তৃণমূল খাতা খুলতে পারেনি এখনও। এটা তৃণমূল ও জানে।”
এ বার বিজেপি কটি আসন বাংলা থেকে পায় সে দিকে নজর সকলের। কারণ কম ঢক্কানিনাদ হচ্ছে না। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ গত বছরের মাঝামাঝি সময়েই রাজ্য নেতাদের কোটা বেঁধে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, “একুশটি আসন চাই-ই চাই।” রাজ্য নেতাদের অনেকেই ইদানিং বলছেন, “তেইশটি আসন নিশ্চিত।” এ দিনও খড়্গপুরের বিধায়ক বলেন, “বাংলায় কমপক্ষে ২৩টি আসন পাবে বিজেপি।” কিন্তু কোন কোন আসন? দিলীপের জবাব, “২৩ মে বিকেলে ২৩টি আসন দেখে নেবেন।”
এমনিতে তাঁর কথা বলা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে কম ঝড় বয়নি। অনেকেই তাকে ‘কুকথা’ বলেন। কিন্তু মানতে রাজি নন দিলীপ। তাঁর কথায়, “যে, যে ভাষা বোঝেন, তাঁকে সে ভাষাতেই বোঝাতে হয়। নাহলে তিনি বুঝতে পারেন না।” সেই সঙ্গে তিনি এ-ও দাবি করেন, তাঁর এই ধরনের কথার জন্যই বাংলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে বিজেপি । তবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি আরও বলেন, “এখন আর আমি সে সব বলছি না। কারণ যা বলার বলা হয়ে গিয়েছে।”
তৃণমূলের খাতা খুলবে না বলে দিলীপ যে মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে শাসক দলের এক নেতা বলেন, “সব বুথে যাঁদের এজেন্ট দেওয়ার সাংগঠনিক শক্তি নেই তাঁরাই দেখছি বড় বড় ভাষণ দিচ্ছেন। গণনার দিন দুপুরের পর মুখ দেখাতে পারবেন তো?”