শাসনের তৃণমূল সভাপতি শুকুর আলিকে গ্রেফতার করল এসটিএফ। তাঁর বাড়ি থেকে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় এসটিএফ। জানা গেছে বুধবার শুকুর আলিকে বারাসত আদালতে তোলা হবে।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। শাসন ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা এমনিতেই স্পর্শকাতর। সেখানে নির্বাচনের সময়ে বাড়তি নজরদারি থাকে। সেই পরিস্থিতিতে এলাকার একজন হেভিওয়েট নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
শুকুর আলির পাস্ট রেকর্ডও ঘেঁটে দেখছেন তদন্তকারীরা। শুকুর এলাকায় কোনও সন্ত্রাসমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। শাসনে তৃণমূল নেতার গ্রেফতারিতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
এ প্রসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফারাদ বলেন, ‘আইন আইনের পথে চলবে। আইনের শাসন পশ্চিমবঙ্গে প্রতিষ্ঠিত। দোষী প্রমাণীত হলে, যা শাস্তি তাই হবে’। বিজেপির জেলা সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, ‘সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য অস্ত্র মজুত করে রাখা হয়েছে। বিরোধীদের ভয় দেখাতেই এই কাজ’।