‘ডিজে বাজাও, আমি নাচব’। প্যান্ডেলে এসে এমনই আবদার করেছিলেন তৃণমূল প্রধানের স্বামী। কিন্তু রাজি হননি পুজো উদ্যোক্তারা। এতেই প্রচণ্ড রেগে গিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিলেন পুজো কমিটির সদস্যদের। ঘটনায় আহত ৪। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিজয়ার দিন ঘটনাটি ঘটেছে ঘাটালের মনসুকা এলাকার।
ঘড়োইঘাট ব্যাবসায়ী পুজো কমিটির অভিযোগ, দশমীর রাত্রে ঠাকুর বিসর্জন করার সময় হঠাৎ এসে হাজির হন মনসুকা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রাত্রি সাতিকের স্বামী প্রসেনজিৎ সাতিক। মত্ত প্রসেনজিৎ বাঁশ হাতে তাণ্ডব চালান পুজো মণ্ডপে। ডিজে না বাজানোয় বাঁশ দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় ২ পুজো কমিটি সদস্যের। তাকে বাধা দিতে গেলে আরও ২ জন আহত হয়। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে ৩ জন। তাঁদের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘নটায় ঠাকুর নামানোর কথা ছিল। সাড়ে নটার মধ্যে বিসর্জন। নটা পাঁচ নাগাদ প্রসেনজিৎ এসে হাজির হন। বলেন, ডিজে বাজছে না কেন? ওঁকে বলা হয়, ডিজে বাজানোর কোনও অনুমতি নেই। ওই কথা শুনে প্রসেনজিৎ বলেন, ডিজে বাজাতে হবে। আমি নাচব। ডিজে না বাজলে আমি ঠাকুর নামাতে দেব না। এই বলে যারা ঠাকুর নামাচ্ছিল তাদের মারধর করে। ওর হাতে মার খেয়ে ২ জন হাসপাতালে ভর্তি’।
ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মনসুকা ঘোড়ই ঘাটাল ব্যাবসায়ী সমিতির সমস্ত দোকান বন্ধ করে রাস্তায় নেমেছে। তাদের দাবি অভিযুক্ত ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। অভিযুক্তরা সকলেই এলাকার দাপুটে তৃণমূলের নেতা কিঙ্কর পন্ডিতের জামাই ও মনসুকা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রাত্রি পণ্ডিত সাতিকের স্বামী। লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে থানাতেও।