ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে নোটার থেকেও কম ভোট পেয়েছে তৃণমূল। হারতে হয়েছে মেঘালয়ে। বাংলায় সাগরদিঘি উপনির্বাচনেও ভরাডুবি হয়েছে শাসকদলের। এই তিন হার নিয়ে ঘাসফুল শিবিরকে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, তৃণমূলের জাতীয় দলের স্বীকৃতি বাতিল করা হোক।
বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, জাতীয় দলের তকমা ধরে রাখার শর্ত পূরণ করতে পারেনি তৃণমূল। এটা সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত আঞ্চলিক দল। তাই এদের জাতীয় দলের তকমা কেড়ে নেওয়া হোক। জাতীয় দল হতে গেলে যে শর্তগুলি পূরণ করতে হয় সেগুলিও উল্লেখ করেছেন বিরোধী দলনেতা। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় দল হতে গেলে দেশের মোট লোকসভা আসনের ২ শতাংশ পেতে হয় ৩ রাজ্য থেকে। কিন্তু তৃণমূলের বাংলার বাইরে কোনও লোকসভা সাংসদ নেই।
শুভেন্দুর দাবি অনুযায়ী, জাতীয় দল হতে গেলে অন্তত চারটি আলাদা আলাদা রাজ্য থেকে বিধানসভা বা লোকসভা নির্বাচনে অন্তত ৬ শতাংশ বা তার বেশি ভোট পেতে হয়। যেটা তৃণমূল পায়নি। জাতীয় দল হওয়ার আরেকটা উপায় আছে। সেটা হল চারটি রাজ্যে আঞ্চলিক দলের স্বীকৃতি পাওয়া। সেটার জন্যও অন্তত চার রাজ্যে ন্যূনতম ২ জন করে বিধায়ক বা ৬ শতাংশ ভোট পেতে হয়। সেটাও নেই তৃণমূলের। উদাহরণ হিসাবে গোয়া, মেঘালয় এবং ত্রিপুরায় তৃণমূলের ফলাফল তুলে ধরেছেন বিরোধী দলনেতা।