দলের নেতারা দুর্নীতিতে যুক্ত। পদ পেলেও দলে থেকে মানুষের জন্য কাজ করা যায় না। এরকমই অভিযোগ আনলেন দুর্গাপুর পশ্চিমের তৃণমূলের বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল। ওনার এই মন্তব্যের জেরে অস্বস্তিতে শাসক দল। তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল অভিযোগ করে বলেন, আমি দলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি, এরপরেও আমাকে কাজ করতে দিচ্ছে না।
তৃণমূলের বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গুরতর অভিযোগ আনেন। তিনি সরাসরি ওনার নাম নিয়ে বলেন, ‘প্রভাত চট্টোপাধ্যায় আমাকে কাজ করতে দিচ্ছেন না। উনি কাটমানি খেয়ে বহিরাগতদের বিভিন্ন কারখানায় নিয়োগ করছেন। কিন্তু পয়সা দিতে না পারায় স্থানীয়রা কাজ পাচ্ছে না।” বিধায়কের অভিযোগের পর সোমবার দুর্গাপুরের একটি কারখানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে বিধায়কের অনুগামীরা। বিশ্বনাথবাবুর অনুগামীরা কারখানায় স্থানীয় যুবকদের কাজ দেওয়ার দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।
বিশ্বনাথ পাড়িয়াল অভিযোগ করে বলেন যে, দলের একাংশের নেতাদের মদতে সেখানে অবাধে বালি পাচার ও সিন্ডিকেট রাজ চলছে। তিনি বলেন, দামোদর থেকে অবৈধ ভাবে বালি পাচার করছে দলের নেতারাই।
জানিয়ে রাখি, দুর্গাপুরে এমনিতেই শোচনীয় অবস্থা তৃণমূলের। ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০১৯ এর লোকসভার নির্বাচনে ওই অঞ্চলে হারের সন্মুখিন হয় দল। ২০১৬ সালে দুর্গাপুরের ২ টি আসনেই হারে তৃণমূল। এরপর বিশ্বনাথ পাড়িয়ালকে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর এখন নির্বাচনের আগে তিনি দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলছেন, দলে থেকে কাজ করা সম্ভব নয়।
জানিয়ে রাখি, ২০১৬ এর নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হয়ে ময়দানে নেমেছিলেন বিশ্বনাথ পাড়িয়াল। তবে তিনি জোটকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। গতকাল শুভেন্দু অধিকারীর দুর্গাপুরে রোড শোয়ের পর বিশ্বনাথ বাবুর এহেন মন্তব্য জল্পনা বাড়াচ্ছে।