নিজামুদ্দিনের(Nizamuddin) সমাবেশে যোগ দেওয়া ও তাদের সংস্পর্শে আসা মোট ৩০৩ জনকে নিউটাউনের হজ হাউসে রাখা হল। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে মহিলা আছেন ১২ জন।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোয়ারেন্টাইনে( Quarantine) রাখা ৩০৩ জনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের(West Bengal) বাসিন্দা ১৯৫ জন। বিদেশি আছেন ১০৮ জন।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এরাজ্যে থেকে দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও কলকাতা থেকে মূলত নিজামুদ্দিনের সমাবেশে গিয়েছিলেন। আর বিদেশিদের মধ্যে বাংলাদেশের ১৯ জন, ইন্দোনেশিয়ার ৩৪ জন, মায়ানমারের ২৫ জন, থাইল্যান্ডের ২১ জন, মালয়েশিয়ার ৯ জন রয়েছেন ।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারই টুইট করে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাঁরা (দিল্লির তবলিঘি জামাত) এই জমায়েতে অংশ নিতে গিয়েছিলেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। অতি দ্রুত তাঁদের কোভিড পরীক্ষা করানো হবে এবং ১৪ দিনের জন্য তাঁদের আবশ্যিক কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হবে। তারপরই নিউটাউনের হজ টাওয়ারকে কোয়ারণটাইন সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে, ভারতে (india)এখন প্রতি ৪ দিনে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। আর এর পিছনে বড় ‘ভূমিকা’ রয়েছে তবলিঘি জামাতের। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট বলছে, নিজামউদ্দিন মসজিদের বিপুল জমায়েতের কারণেই দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার ছুঁতে পারে। তাই নিজামুদ্দিনের ওই সমাবেশ দেশের করোনা মহামারির এপিসেন্টার হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন চিকিৎসকরা।