বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই ঘর গোছাতে চাইছে রাজ্য বিজেপি। তাই পদ্মভূষণ পুরষ্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর বাড়িতে গিয়ে জনসংযোগ করলেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি মুকুল রায়, বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন তাঁরা। আর পণ্ডিতজির বাড়িতে হঠাৎ করে রাজ্য বিজেপি’র প্রথমসারির নেতাদের আগমনে জল্পনা চরমে উঠেছে।
এদিকে বুধবার দু’দিনের সফরে রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। তখন তিনি দলীয় কর্মসূচির বাইরে রাজ্যের বিশিষ্ট কিছু মানুষদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে সূত্রের খবর। সেই তালিকায় পণ্ডিতজি–কে রাখতেই এই উদ্যোগ কিনা তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে শুধু সৌজন্য সাক্ষাৎ এটা নয় বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি মুকুল রায় বলেন, ‘অজয় চক্রবর্তীর সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। তাই পুজোর পর বিজয়া করতে এসেছিলাম। আজ আমাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে রাজনৈতিক বিষয় থাকলেও নির্দিষ্টভাবে কোনও ব্যাপারে আলোচনা হয়নি।’ কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, মুকুলের সঙ্গে কৈলাস–অর্জুন কেন? ২০১১ সালের দিকে তাকালে দেখা যাবে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনেক বিশিষ্টজনেরা ছিলেন। যার প্রভাব পড়েছিল ভোটে এবং ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই পথে গেরুয়া শিবির হাঁটল বলে মনে করা হচ্ছে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত বাঙালিকে টানতে তাঁদের ঘরে ঘরে যাওয়া শুরু করেছিলেন রাজ্য বিজেপি নেতারা। এবার সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য নেতাদের বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেশি আসন পেতে গেলে শিক্ষিত বাঙালির ঘরে ঢুকে যেতে হবে। সেটাই সুকৌশলে করা হল বলে মনে করা হচ্ছে। আসলে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই স্ট্র্যাটেজি নিতে চাইছে গেরুয়া শিবির।