দেশে করোনা নিয়ে ফের উদ্বেগজনক পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, দেশের ১০ জেলায় করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সক্রিয়তা রয়েছে। পুণে, নাগপুর, মুম্বই, থানে, নাসিক, আওরঙ্গবাদ, বেঙ্গালুরু আরবান, নান্দেদ, জলগাঁও, অকোলা এই জেলাগুলিতে পরিস্থিতি ভয়ংকর। এই ১০ টি জেলার মধ্যে ৯ টি জেলা মহারাষ্ট্রে ও একটি জেলা কর্ণাটকে।
বুধবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব বলেন, মহারাষ্ট্র ও পঞ্জাব গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘন্টায় ২৮ হাজারেরও বেশি করোনা কেস সামনে এসেছে। পঞ্জাবেও মোট জনসংখ্যার অনুপাতে প্রচুর নতুন কেস সামনে আসছে বলে জানা গিয়েছে। এই দুই রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গেও একপ্রস্থ বৈঠক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে ৩,৬৮,৪৫৭ টি সক্রিয় করোনা কেস রয়েছে। ১০ টি রাজ্য তাঁদের স্বাস্থ্যকর্মীদের ১০০ শতাংশ টিকাকরণের কাজ নিশ্চিত করেছে। সরকারি ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ বছরের বেশি বয়সের যে কেউ করোনা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। এমন সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, দেশে করোনার জেরে মোট মৃতের মধ্যে ৪৪% হল ৪৫ বছরের বেশি বয়সের মানুষ।
কোন রাজ্যে কত অ্যাক্টিভ করোনা কেস –
মহারাষ্ট্র – ২৮ হাজার ৬৯৯
পঞ্জাব – ২ হাজার ২৫৪
গুজরাত – ১ হাজার ৭৯০
মধ্যপ্রদেশ – ১ হাজার ৫০২
কর্ণাটক – ২ হাজার
তামিলনাড়ু – ১ হাজার ৪৩৭
ছত্তিশগড় – ১ হাজার ৯১০
চন্ডীগড় – ২১৪
অন্যদিকে একাধিক রাজ্যের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমেই উদ্বেগ বাড়ছে কেন্দ্রীয় সরকারের। বিশেষ করে ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ বিপজ্জনক আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। করোনার সংক্রমণে লাগাম পরাতে তাই রাজ্যগুলির জন্য একগুচ্ছ নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিটি রাজ্যকে এই নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
করোনা রোগী চিহ্নিত করার প্রক্রিয়াটি দ্রুত গতিতে সারতে হবে। পাশাপাশি সংক্রমণের উৎস খুঁজে বের করে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের জন্য জারি করা নতুন গাইডলাইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে আরও কড়া অবস্থান নিতে হবে রাজ্যগুলিকে।