নাগরিক সংশোধনী আইন (CAA) ও এনআরসির (NRC) বিরুদ্ধে উত্তাল যোগী রাজ্য। এমতাবস্থায় উত্তরপ্রদেশের উপদ্রুত এলাকায় আহত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে তৃণমূলের সংসদীয় দল পাঠাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকবেন ব্যারাকপুর লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী (Dinesh Trivedi)। তিনি ছাড়া প্রতিনিধি দলে থাকবেন জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল সহ রাজ্যসভার সাংসদ আবীর বিশ্বাস ও নাদিমুল হক।
তৃণমূল পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই চার সাংসদ মানবিক উদ্দেশ্য নিয়ে উত্তরপ্রদেশ যাচ্ছেন। রবিবার সকালে তাঁরা লখনউ পৌঁছবেন। উত্তরপ্রদেশে পুলিশের গুলিতে যাঁরা মারা গিয়েছেন বা আহত হয়েছেন মূলত তাঁদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তাঁরা। তবে এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি।
দিন কয়েক আগেই বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) জঙ্গিপুরে উপদ্রুত এলাকায় যেতে গিয়ে ব্যাপক বাধার সম্মুখীন হতে হয়। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখায় তাঁকে ঘিরে। মালদহের উপদ্রুত এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে গ্রেফতার হন বিজেপির কোচবিহারের সাংসদ নীশিথ প্রামাণিক ও মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু। এই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে কটাক্ষের সুরে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছিলেন, “বিজেপি নেতাদের ওসব জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার কোনও দরকার নেই।” এখন উত্তরপ্রদেশে কী করতে যাচ্ছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিদল ? প্রশ্ন তুলছে গেরুয়া শিবির।
এ প্রসঙ্গে বিজেপির (BJP) বৈষ্ণবনগরের বিধায়ক স্বাধীন সরকার বলেন, “তৃণমূল বলেছিল বিজেপি নেতাদের নাগরিক সংশোধনী আইন কার্যকর হওয়ার পর যে অশান্ত পরিবেশ বাংলায় তৈরি হয়েছে, তা দেখতে যাওয়ার অধিকার বিজেপি নেতাদের নেই। আগামীকাল যদি উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন তৃণমূল সাংসদদের ক্ষেত্রে একই কথা বলে তোলেন তাহলে কেমন লাগবে তৃণমূলের ?”